Homeআঘোরী বাবার সন্ধানে বারানসীঃ...

আঘোরী বাবার সন্ধানে বারানসীঃ অপর্ণা দেব

 

মার সাথে কালী মন্দিরে প্রায়ই যাওয়া হয়, সেখানে এক বিশাল বট বৃক্ষ আর সেই গাছের নীচে এক লাল কাপড় পরা সাধু বাবাকে দেখতাম। উনি কেবল এক মনে বসে থাকতেন। কালী পূজার রাত্রিতেও মা বাবার সাথে গিয়েছিলাম মন্দিরে, কিন্তু সেই দিন সেই সাধু বাবাকে দেখতে পায়নি। এর বেশকিছুদিন বাদে আবার যখন গেলাম তখন ওনাকে সেই বট গাছের তলায় দেখতে পেলাম কিন্তু ওনাকে দেখে তখন খুবই ভয় পেয়ে গেলাম..ওনার হাতে তখন এক নর মুণ্ড, চোখ দুটো যেন লাল, এক অলৌকিক তেজ দেখতে পেরেছিলাম ওনার মুখমণ্ডলে। মন্দিরের ঠাকুর মশাই এর মুখে শুনলাম উনি নাকি ‘অঘোরী’ বাবা। তাই তো, আমাদের কলকাতার নিম তলার শশ্মানেও প্রতিবছর দীপাবলির সময় এমনই কিছু অঘোরী সাধুদের তন্ত্র সাধনা করতে দেখা যায়, কিন্তু ওরা কোথায় থেকে আসছে তা কারোরই জানা নেই। সেই থেকেই ওদের কে চেনার জানার এক প্রবল ইচ্ছে মনের মধ্যে চেপে বসল। আর সেই ইচ্ছের টানেই পৌঁছলাম বারানসীতে।

বারানসীর গাঙ্গার ধারে ঘুরছি, ঠিক ঘুরছি না খুঁজছি। প্রায় খানিকটা হাঁটার পর এসে পৌঁছলাম শশ্মান ঘাটে। সেখানে  এক বয়স্কা মহিলার মৃত দেহ রয়েছে চিতায়, কিছু লোক স্বল্প কাঠ দিয়ে সেই মৃতদেহে মুখগ্নি করে আর খানিকবাদেই আগুন নিভিয়ে মৃতদেহটিকে ফেলে দেয় গঙ্গায়। আর ঠিক তখনই সাথে সাথে কোথায় থেকে কাল কাপড় পড়া এক সাধুবাবা ছুটে আসেন এবং মৃতদেহটিকে তুলেনেন নিজের কাঁধে। কিছুটা আন্দাজ করেই আমিও পিছু নিলাম ওনার। শশ্মানের আরেক কোণায় ছিল ওনার আস্তানা। এবার ওনার সাথেই আমিও এসে পড়লাম সেই আস্তানায়, লোকটা আমাকে দেখছেন তবুও আমি জেন অদৃশ্য হয়ে রয়েছি ওনার কাছে, আমার কৌতূহল ক্রমশ বেড়েই চলছে কিন্তু বুকের ভিতর হচ্ছিল একটা চাপা ভয়। উনি মৃতদেহটিকে স্বযত্নে  রাখলেন। কি করবেন উনি এখন!!! কাউকে তো এতদিন দেখেনি এইভাবে কোন মরা লাশ নিয়ে আসতে। আবার এইদিকে যে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হতে চলছে। অনেকটা সাহস জুগিয়ে ওনাকে জিগ্যেস করলাম, “আমি কি কিছু কথা বলতে পারি”,খুব শান্ত গলায় উনি বললেন, “আমাকে জানতে এসেছিস বুঝি, কিন্তু আমি তো কেউ নয়ই, আমিতো অঘোরী” কথাটি বলেই উনি চোখ বুজে ধ্যান মগ্ন হয়ে গেলেন। আমার থাকা বা না থাকা কোন কিছুতে ওনার আপত্তি নেই। আমিও চুপটি করে বসে রইলাম। রাত কিছুটা গড়াবার পর যা দেখলাম তা মনে করলে আজও গাঁয়ে কাঁটা দিয়ে উঠে। সেই মৃতদেহের পাশে অগ্নি জ্বালিয়ে অঘোরী বাবা যজ্ঞ করতে বসলেন, ওনার এক হাতে ছিল এক নর কঙ্কাল হাড় ও অন্য হাতে কারণবারি। অগ্নির চারিদিকে ঘুরছেন, ঘুরতে ঘুরতে মৃতদেহটির উপর হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলেন, জপ করে জাচ্ছেন কিছু মন্ত্র চোখ দুটো দেখাছিল লাল রক্তাভ। মৃতদেহটির মুখে ডেলে জাচ্ছিলেন কারণ। খনিক বাদে হাতে খড়গ নিয়ে বসে পড়লেন। আর নির্বিকারে কেটে ফেলেন সেই মৃতদেহের মস্তিষ্ক। সেই পরিস্থিতিতে ওখানে বসে থাকার ক্ষমতা আমার আর রইল না, চলে এলাম শশ্মান থেকে। পরদিন সকাল হতে না হতেই আবার ছুটে গেলাম সেই শশ্মানে। বেশ কয়েকবার অনুরধের পর অঘোরী বাবা আমার সামনে তুলে ধরলেন “অঘোরী”র প্রকৃত রূপ :

মানুষের জীবনে সবচেয়ে রহস্যময় তার হৃদয় বা মস্তিষ্ক। এই মস্তিষ্কের এক অদ্ভুত মানসিকতায় বশীভূত হয়ে কিছু কিছু মানুষ তার স্বাভাবিক  জীবনযাত্রাকে ত্যাগ করে বেঁছে নিচ্ছে কঠোর অঘোরপন্থাকে, এমনকি আধুনিক বিজ্ঞানও একে পুরোপুরি ভাবে অস্বীকার করতে পারছে না!!  এই অঘোর পন্থার সঠিক উৎপত্তি কাল ঠিক কবে তা কাউর জানা নেই, তবে এদেরকে ভগবান শিবের সাধক বলা হয়ে থাকে।

প্রাচীন হিন্দু ধর্ম অনুসারে অঘোরীদেরকে পৃথিবীতে ভগবান শিবের জীবিত রূপ হিসেবে মানা হয়ে থাকে। শিব ঠাকুরের পাঁচ রূপের মধ্যে এক রূপ ছিল অঘোর রূপ। এদের জীবন প্রক্রিয়া যেমন কঠিন তেমনই রহস্যময়।

অঘোর কথাটির অর্থ হল যার কোন ঘোর নেই বা যা খুবই সহজ সরল। যাদের মনে কোন ভেদাভেদ থাকে না। এই জগতের কোন জীবিত বা মৃত, কোন প্রাণী বা বস্তু, মানুষ বা জন্তু জানোয়ার কোন কিছুর মধ্যেই ভেদাভেদ করে না।  ওদের মতে  সমগ্র পৃথিবী ওদের বাসস্থান আর এর সবকিছুই ওদের খাদ্য, পানীয়, এমনকি ওরা যেকোনো মৃত জীব বা জানোয়ারের মাংসকেও কোন সুস্বাদু খাবার রূপে খায়। অনেকের মতে এই সাধু বাবারা কাউর উপর নাকি প্রসন্ন হলে দুহাত ভরে তাকে আশীর্বাদ করেন, আবার অঘোরীদের সম্বন্ধে রয়েছে এমন কিছু অজানা রহস্য ও ভয়ঙ্কর তথ্য যা জানলে হয়ত আপনার শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠবে!!

 

 

অঘোরীরা মূলত তিন প্রকার সাধনা করে থাকেন। শিব সাধনা, শব সাধনা এবং শশ্মান সাধনা। শিব সাধনার মূলরূপ হল মা কালীর দ্বারা শিব ঠাকুরের বুকের উপর পা রাখা, তাই এই সাধনা অঘোরীরা মৃতদেহের উপর দাড়িয়ে করে থাকেন। আর প্রসাদ রূপে মৃত দেহকে দেওয়া হয় মাংস ও মদিরা। শব সাধনা, যার জন্য প্রয়োজন মৃত দেহের। কিন্তু কোথায় পাবেন মৃত দেহ! কিছু প্রথা অনুযায়ী আজও যদি কোন পাঁচ বছরের ছোট শিশুর বা সাঁপে কামরে অথবা কেউ যদি আত্মহত্যা করে তবে তার দেহকে দাহ না করে আমরা গঙ্গায় ভাসিয়ে দেই অথবা কবর দেই। আর অঘোরী সাধুরা এমনই কোন মৃত দেহকে নিয়ে যান নিজের তন্ত্র সিদ্ধি বা শব সাধনার জন্য। শশ্মান সাধনাতে ওনারা সাধারণত গঙ্গা জল দিয়ে শশ্মানের পূজা করে থাকেন।

 

দেখতেও অঘোরী সাধুরা হন কিছুটা অদ্ভুত। এদের চোখ দুটো হয় লাল,সমগ্র শরীরে মাখানো থাকে মৃতদেহের ভস্ম, কপালে থাকে লাল টিকা, অর্ধ নগ্ন রূপে অথবা কাল বা লাল বস্ত্র পরিধানে গলায় থাকে ধাতু নির্মিত নর মুণ্ডের মালা। এবং থাকে কিছু নর কঙ্কাল ও এক নর মুণ্ড। গো মাংস ছাড়া এরা খাচ্ছে বাকি সবকিছু। মানব মল -মূত্র থেকে শুরু করে মৃত মানব দেহ ও জন্তু জানোয়ারের মাংসও। এদের মন থেকে দূর হয়ে যায় সব ঘৃণা- দ্বেষ তাই তো এরা তৃষার্ত অবস্থায় পান করে নেয় নিজেদের মূত্র টুকুও। শশ্মান সাধনাই হল অঘোরীদের মূল সাধনা তাই অধিকাংশ সময় ওনারা শশ্মানেই কাটান। অনেক কম লোকদেরই এটা জানা যে অঘোরীদের সাধনাতে নাকি এত শক্তি থাকে যে ওরা মৃতদেহের আত্মার সাথেও কথা বলতে পারে, ওনাদের মতে যখন  চিতা জ্বালানো হয় তখন মৃত ব্যক্তির আত্মা তার আশেপাশেই থাকে, তন্ত্র সাধনার দ্বারা এরা পর শক্তিকেও নিজেদের বশে করতে পারে। এই সাধনা শশ্মানেই হয়ে থাকে, ভারতে এমনই চারটি প্রসিদ্ধ শস্মান আছে যেখানে অঘোরীদের তন্ত্র সাধনার দ্রুত ফল পাওয়া যায়- পশ্চিম বাংলার তারাপীঠ শশ্মান, আসামের কামাখ্যা পীঠের শশ্মান, নাসিকের ত্রম্বকেশ্বর ও মধ্যপ্রদেশ উজ্জয়ন এর শশ্মান।

 

 

তারাপীঠ :

পশ্চিম বাংলার বীরভূম জেলায় অবস্থিত এই তারাপীঠ মন্দির। পৌরাণিক মতে মা কালীর নেত্র পড়েছিল এইখানে, তাই নয়ন তারা মন্দিরও বলা হয়ে থাকে। মন্দিরের পাশেই রয়েছে মহাশশ্মান ঘাট। আর এই শশ্মান ঘাটের চিতার অগ্নি কখনো নিভে না, তাই অঘোরীরা সাধনার জন্য চলে আসেন এই মহাশশ্মানে।

 

কামাখ্যা পীঠ :

আসামের রাজধানী দিসপুর থেকে প্রায় ৮কিমি দূরে নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা মন্দির প্রাচীন কাল থেকেই তন্ত্র সাধনার শ্রেষ্ঠ স্থান। এখানে দেবী সতীর গর্ভ এবং যনি পড়েছিল, তাই দেবীর শক্তিপীঠের মধ্যে এই শক্তিপীঠের রয়েছে খুব মহত্য।  পৌরাণিক গ্রন্থ অনুসারে কাম দেবতা এক শাপের জন্য নিজের পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলেন এবং পরে দেবী শক্তির জননাঙ্গ ও গর্ভের মধ্যে দিয়েই উনি শাপ মুক্তি হতে পেরেছিলেন, আর তখন থেকেই এই মন্দিরের নাম হয় ‘কামাখ্যা’ মন্দির। মন্দিরের গর্ভ গৃহে রয়েছে দেবীর গর্ভ ও যনি, আর প্রতি বছর জুন মাসে তিনদিনের জন্য এখান থেকে বের হয় রক্ত।

বড় মেলা বসে, দূর দূর থেকে ভক্তরা আসেন নিজেদের প্রার্থনা নিয়ে। আর এই সময়টাই হল তন্ত্র সাধনার সবচাইতে উপযুক্ত সময়। অঘোরীদের মতে এই সময়টাতে সাধনা করলে খুব সহজেই দেবীমা কে প্রসন্ন করা যায় আর যার ফলসরূপ অঘোরীরা হয়ে উঠতে পারে সর্ব শক্তিমান।

 

 

নাসিক :

 

 

মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলায় অবস্থিত ত্রম্বকেশ্বর জ্যোতিরলিঙ্গ। ব্রহ্ম গিরি পর্বতে অবস্থিত এই মন্দিরে ভিতরে রয়েছে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের ছোট ছোট লিঙ্গ। এই মন্দিরকে ভগবান শিবের অন্যতম প্রধান মন্দির হিসাবে মানা হয়ে থাকে। শিব হলেন তন্ত্র শাস্ত্রের দেবতা। তন্ত্র ও অঘরবাদের জন্মদাতা ভগবান শিবকে মানা হয়ে থাকে। তাই এইখানে অবস্থিত শশ্মান তন্ত্র কার্যের জন্য প্রসিদ্ধ। অঘোরীরা সমগ্র শরীরে ভস্ম মেখে নর কঙ্কাল, হাতে নর মুণ্ড নিয়ে জলন্ত চিতার সামনে বসে পান করেন নর রক্ত। আর হারিয়ে যান গভীর সাধনায়।

 

 

উজ্জয়ন :

মধ্য প্রদেশের উজ্জয়ন জেলায় অবস্থিত মহাকালেশ্বর মন্দির ১২ টি জ্যোতিরলিঙ্গের মধ্যে অন্যতম। স্বয়ংভু, ভব্য ও দক্ষিণমুখী হওয়ার জন্য মহাকালেশ্বরের মহাদেবের মন্দিরকে খুবই পুন্যদায়ি মন্দির হিসেবে মানা হয়ে থাকে। সেই কারনে তন্ত্র শাস্ত্রেও এখানে খুব শীঘ্র ফল পাওয়া যায় বলে ধারণা। এখানের শশ্মানে বহু দূর দূর থেকে অঘোরীরা তন্ত্র সাধনার জন্য এসে থাকেন।

 

 

 

 

- A word from our sponsors -

spot_img

Most Popular

আরও খবর...

Kolkata Metro services partially hit: যান্ত্রিক গোলযোগে আটকে গেল মেট্রো, ব্যাহত পরিষেবা, কতদূর চলছে এখন?

যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে শোভবাজার-সুতানটি স্টেশনে আটকে গেল একটি...

- A word from our sponsors -

spot_img

সব খবর...

Mamata sends Sujit to Odisha: ওড়িশায় দুর্ঘটনা, উদ্ধারের তদারকিতে সুজিতকে পাঠালেন মমতা, নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ

ওড়িশার জাজপুর জেলায় সোমবার রাতে বাস দুর্ঘটনায় রাজ্যের পাঁচ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা অনেক বলে জানা গিয়েছে। নিহতদের ৫ জনই পূর্বমেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা বলেও জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে সরকারি আধিকারিকদের ওড়িশা পাঠিয়েছেন। রাজ্যের বাসিন্দাদের উদ্ধার কাজে তদারকির জন্য দলকলমন্ত্রী সুজিত...

শেষ অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ রাজস্ব দিয়েছে গার্ডেনরিচ, বিতর্কের মধ্যে খুশির খবর কলকাতা পুরসভায়

গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় কলকাতা পুরসভাকে সকলে কাঠগড়ায় তুলেছিল। রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছিল। পৃথক তদন্ত কমিটি গড়তে হয় কলকাতা পুরসভাকে। আর তার রিপোর্টের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তিনজন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বেআইনি নির্মীয়মাণ কেমন করে হচ্ছিল?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বহুতল ভেঙে...

KMC advertisement policy: বিজ্ঞাপন নীতিতে বদল আনছে কলকাতা পুরসভা, শহরের দুটি রাস্তা হবে ‘অ্যাড ফ্রি জোন’

শহরের দৃশ্যদূষণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে  বিজ্ঞাপন নীতিতে বদল আনতে চলেছে পুরসভায়। যত্রতত্র বিজ্ঞাপন দেওয়া রুখতে এবার আরও কড়া ব্যবস্থা আনতে চলছে।পাশাপাশি শহরের দুটি  রাস্তা সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন মুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। এই দুটি রাস্তা হল পার্ক স্ট্রিট এবং ক্যামাক স্ট্রিট। এছাড়া উৎসবের মরশুমে লাগামহীন বিজ্ঞাপনে...

Kolkata Metro services partially hit: যান্ত্রিক গোলযোগে আটকে গেল মেট্রো, ব্যাহত পরিষেবা, কতদূর চলছে এখন?

যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে শোভবাজার-সুতানটি স্টেশনে আটকে গেল একটি মেট্রো। তবে ঠিক কী হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে মেট্রো রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন যে ৩২০১ নম্বর কোচে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ হয়েছে। তার জেরে শোভবাজার-সুতানটি স্টেশনে একটি মেট্রো আটকে আছে। আপাতত দমদম...

North Bengal Tornado Compensation: টর্নেডোর ক্ষতিপূরণের অঙ্কে ‘হেরফের’ ১ লাখের! এই কারণেই মেলেনি কমিশনের অনুমতি?

আরওবেশ কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি সহ একাধিক জায়হায় ভয়াবহ টর্নেডো হয়েছিল। এর জেরে শতাধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন। এদিকে টর্নেডোর খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই টর্নেডোর ক্ষতিপূরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রসঙ্গত, টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের ফের বাড়ি তৈরির...

IIT Kharagpur: ক্যাম্পাসের মদ্যপান, বাইরে অশান্তি করলেই আইআইটি খড়্গপুরের মোটা অঙ্কের জরিমানা

ক্যাম্পাসের মধ্যে বসে মদ্যপান করলে জরিমানা করার ঘোষণা করল আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে প্রথমবার ধরা পড়লে ৫০০০ টাকা এবং পরের বার একই অভিযোগে ফের ধরা পড়লে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।এই বিজ্ঞপ্তিটির সম্পর্কে...

Fire at Gardenreach Hospital: গার্ডেনরিচে হাসপাতালে আগুন, রোগীদের উদ্ধার করলেন RPF জওয়ানরা

গার্ডেনরিচে অবস্থিত রেলের হাসপাতালের চোখের অপারেশনের কক্ষে আগুন লাগে সকাল সকাল। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়ায় রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়দের মধ্যে। জানা গিয়েছে, সকাল সকাল যখন চোখের অপারেশন থিয়েটারে আগুন লাগে, তখন সেখানে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন রোগী ছিলেন। এই আবহে দ্রুত...

1st mayor of Kolkata: প্রথমবার ভোটে জিতে মেয়র, শতবর্ষ আগে আজকের দিনে কলকাতার মহানাগরিক হন চিত্তরঞ্জন

রাজ্য জুড়ে ভোট উৎসবের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে মানুষ যাতে তাঁর পছন্দ মতো প্রার্থীকে বেছে নেন, তাঁর আওয়াজ লোকসভার অন্দরে পৌঁছে দিতে পারেন। তার জন্য জোর কদমে চলছে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মানুষের কাছে জাহির করছেন তাঁর পোর্টফোলিও। সেই...

ওড়িশায় সেতু থেকে পড়ে গেল কলকাতাগামী বাস, অন্তত ৫ জনের মৃত্যু, অনেকে আহত

সোমবার রাতে ওড়িশার জাজপুর জেলায় একটি সেতু থেকে কলকাতাগামী একটি বাস পড়ে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। একজন মহিলা-সহ পাঁচজনের মৃত্যু এবং বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে,৫০ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি পুরী থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বরাবতী সেতুতে দুর্ঘটনার কবলে...

Calcutta High Court: পদমর্যাদা রক্ষা করা আপনাদের দায়িত্ব, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবকে মনে করাল আদালত

আদালত অবমাননার রুল জারি ও বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে ভার্চুয়াল হাজিরা দিলেন রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের ৩ কর্তা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে হাজিরা দেন মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় ও এডিজি সিআইডি রাজশেখরণ। এদিনের শুনানিতে তিন শীর্ষকর্তাকে...

EDর বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে বয়ান আদায়ের শাহজাহানের অভিযোগ শিকেয় তুলে দিল আদালত

ইডির বিরুদ্ধে শাহজাহানের জোর করে বয়ান আদায়ের অভিযোগে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করল না আদালত। সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারক জানিয়েছেন, বিষয়টি বিচারের সময় বিবেচিত হবে। এদিন শাহজাহানের আইনজীবীরা জামিনের কোনও আবেদন না করায় তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন PMLA আদালতের বিচারক।শাহজাহানের আবেদন আপাতত শিকেয়শনিবার শাহজাহানকে...

KMC: পুকুর ভরাট রুখতে তৎপর পুরসভা, প্রতিটি বরোয় ১০ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ

কলকাতা পুরসভায় বর্তমান পুর বোর্ড ক্ষমতায় আসার পরেই বারবার দাবি করেছে তাদের আমলে শহরে কোনও পুকুর ভরাট হয়নি। তবে গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পর পুকুর বুজিয়ে বহুতল তৈরির বিষয়টি সামনে এসেছে। তারপরে শহরে পুকুর ভরাট রুখতে তৎপর হল কলকাতা পুরসভা। এর জন্য নজরদারি চালাতে বরো ভিত্তিক...