Home ভুঁড়িভোজ ক্ষীর কদম্ব – রেসিপি

ক্ষীর কদম্ব – রেসিপি

ক্ষীর কদম্ব – রেসিপি

মিষ্টি ছাড়া আমাদের বাঙালীদের একেবারেই চলে না। খাবার শেষে একটি মিষ্টি খেয়ে অনেকেই খাবারে পরিপূর্ণতা পান। তাছাড়া  আনন্দে, সুসংবাদে মিষ্টি ছাড়া কি চলে ?  আর সেটা যদি হয় নিজের হাতে তৈরি মিষ্টি তাহলে তো কথাই নেই  । হাতে বানানো মিষ্টির স্বাদই আলাদা।  সেই সাথে স্বাস্থ্যকরও বটে।  ক্ষীরকদম্ব  খেতে তো সবাই খুব পছন্দ করে আর করবেই না কেন? যেমন স্বাদ তেমন আকর্ষণীয় একেবারে লোভ সামলানো যায় না।  এক মিষ্টিতে দুই মিষ্টির স্বাদ । আজ  এই  মিষ্টির রেসিপি আপনাদের জন্য ।

উপকরণ

  • দুধ ১ লিটার
  • খোয়া ক্ষীর / মেওয়া ৫০০ গ্রাম
  • ঘি
  • কন্ডেন্সড মিল্ক
  • চিনি ২ কাপ
  • চিনি পাউডার
  • গুঁড়ো দুধ
  • লেবুর রস

 রসগোল্লা বানানোর প্রণালী  

দুধ গরম করে ফুটে উঠলে তাতে ১ থেকে ২ চামচ লেবুর রস  দিয়ে  দিন ।

দুধ ঘনহয়ে আস্তে আস্তে ছানা ছানা হয়ে যাবে।

ছানা নামিয়ে একটা পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ঢেলে নিন।

পাতলা কাপড়ে বেঁধে টাঙ্গিয়ে রাখুন যাতে ছানা থেকে ভালো করে জল ঝরে যায়।

 

ছানা দুইভাগে ভাগ করে নিন ।

এক ভাগ ছানা হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন ।

মাখা ছানা দিয়ে  ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন।

একটি পাত্রে এক কাপ চিনি আর তিন কাপ জল দিয়ে পাতলা করে চিনির রস বানিয়ে নিন।

 

ছানার বলগুলো ফুটন্ত রসে ছেড়ে মিডিয়াম আঁচে  ২০ থেকে ২৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রান্না করলে রসগোল্লা তৈরি হয়ে যাবে।

ক্ষীরকদম্ব বানানোর প্রণালী

আগে থেকে ভাগ করে রাখা বাকি ছানার সঙ্গে আধা কাপ মেওয়া, কন্ডেন্সড মিল্ক ও ঘি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে গ্যাসে মিডিয়াম  আঁচে বসিয়ে দিন।

বারেবারে নাড়তে থাকুন।

যখন দেখবেন ঘন  হয়ে গেছে তখন নামিয়ে ফেলুন।

ক্ষীর দেখতে অনেকটা আটার ডো-এর মতো হয়।

এবার রসগোল্লা থেকে রস চিপে বের করে নিন।

যতগুলো রসগোল্লা হয়েছে ঠিক সেই কয়টা বলের আকার ক্ষীর দিয়ে  বল বানিয়ে ফেলুন।

 

এবার ক্ষীর এর বলগুলো বাটির মতো বানান অর্থাৎ মাঝাখানে গর্ত করে এর ভেতরে রসগোল্লা দিয়ে বাটির মুখ ভালো করে বন্ধ করে দিন হাত দিয়ে  চেপে।

 

এবার মেওয়ায় কোট করে  নিন একটা একটা করে।

 

ঘণ্টা খানেক ফ্রিজে রেখে দিন সেট হবার জন্য ।

তৈরি হয়ে গেল ক্ষীরকদম্ব।

ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন সুস্বাদু  ক্ষীর কদম্ব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here