আমাদের রোজকার জীবনে আমুল বদল এনেছে এই যন্ত্র – তার নাম এটিএম বা অটোমেটেড টেলার মেশিন – সোজা কথায় ব্যাংক থেকে ‘চিপ এ্যান্ড পিন’ কার্ড দিয়ে টাকা তোলার যন্ত্র।
এই যন্ত্রের উদ্ভাবন হয় আজ থেকে ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে, ব্রিটেনে – ১৯৬৭ সালের জুন মাসে। উত্তর লন্ডনের এনফিল্ড এলাকায় বার্কলেজ ব্যাংকেরএকটি শাখায় চালু করা হয়েছিল প্রথম এটিএম, যাকে ‘ক্যাশ মেশিন’ও বলেন অনেকে । উদ্বোধন করেছিলেন বিখ্যাত কমেডি অভিনেতা রেগ ভার্নি। প্রথম দিকে এটিএম থেকে টাকা তুলতে হলে ব্যাংকের ভাউচার নিতে হতো। একবারে তোলা যেতো দশটি ১ পাউন্ডের নোট।
১৯৭০এর দশকে চালু হয় কার্ড,আর চার অংকের ‘পিন কোড’ দিয়ে টাকা তোলার ব্যবস্থা।
সারা দুনিয়ায় এখন ত্রিশ লক্ষর মতো ক্যাশ মেশিন বা এটিএম আছে। সবশেষ চালু হয়েছে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা তোলার ব্যবস্থা। পৃথিবীর বহু দেশের শহরগুলোয় দোকানপাটের কাছাকাছি কিছু দূরে দূরেই এখন দেখা যায় ‘দেয়ালের গায়ে গর্ত’ – অনেক সময় পাশাপাশি একাধিক ব্যাংকের এটিএম। (বিদেশ)
আপনার অ্যাকাউন্টের টাকা তোলার জন্য আপনাকে এখন আর ব্যাংকে দৌঁড়োতে হয় না – বরং খুঁজে নিতে হয় কাছাকাছি একটা ক্যাশ মেশিন। এটিএম এখন পৃথিবীর ব্যাংকিং ব্যবস্থার সাথে এমনভাবে সংযুক্ত হয়ে গেছে যে, এক দেশের ব্যাংক কার্ড দিয়ে এখন পৃথিবীর অন্য প্রান্তের কোন দেশের এটিএম থেকেও টাকা তোলা সম্ভব।
আধুনিক এটিএম থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ব্যাংকের সাথে কথা বলার ব্যবস্থাও আছে। এমনকি এটিএম-এর পর্দায় আঙুল দিয়ে স্বাক্ষর করে আপনি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন, নিজের ছবিও তুলতে পারবেন। ভারতেও আধারের হাত ধরে এই উন্নত এটিএম ব্যবস্থা আসতে চলেছে। অপেক্ষা করুন আর কয়েক বছর। সবে তো এটিএম-এর হাফ সেঞ্চুরি হল…