Homeজিঘাংসা : ডিটেকটিভ উপন্যাস...

জিঘাংসা : ডিটেকটিভ উপন্যাস (প্রথম পর্ব)

আজ দিনের  শুরু তেই বুঝতে পেরেছিলাম আজও ঝামেলা আমাকে মুক্তি দেবেনা।  পুলিশ এর চাকরি তে যারা শুধু রোয়াব আর ঘুষ দেখেন, তাদের কাছে আমার অনুরোধ “Please একবারটি এই আধভাঙ্গা কেঠো chair টায়ে বসে দেখুন।

আমি মানে প্রবাল সরকার, B.com Graduate, পরীক্ষা আর ৭ বছরের চাকরি টিকিয়ে রাখার লড়াই এ উত্তীর্ণ হয়ে, আজ লেক থানার Sr. S.I. যদিও মাঝে মাঝে ভাবি পাড়ার বন্ধু দের মত এটা-ওটা চাকরীতে ঢুকলে atleast পুজো-পারবন বা আড্ডা টার এভাবে সর্বনাশ হতোনা জীবনে।। সংসার এর ঠেলা নেই নিজের বলতে বুড়ি মা, বউ থাকলে definitely তালাক দিত, 8দিন বাদে কাল ই Night Duty ছিলোনা, আজ নির্ঘাত তার খেসারৎ দিতে হবে office এ।।

আজ ৪ঠা জানুয়ারি বর্ষশেষ এর রেশ এখনোও কাটেনি বাঙালীর, গলির মোড়ে শুনলাম কোনও এক রাজনৈতিক দল এর পতাকা আর মাইক এ রবীন্দ্র সঙ্গীত, এদেরও একটা জীবন মাইরি। উফফফ… বাইক start করে O.C সাহেব এর উৎকণ্ঠা আর জরুরি তলব এর কারন জানতে পাড়ি দিলাম।

থানায় ঢুকে দেখি, duty তে সুভাষ বসে কাগজ পড়ছে, আমাকে দেখেই নামিয়ে বললো, “যাও বড়বাবু is waiting”

কেন গুরু আবার ক্যাচাল নাকি?

“কি জানি, বড়ে  লোগ, বড়ী বাঁতে…”

গায়ে না মেখে, বড়বাবুর চেম্বার এ ঢুকলাম, উইথ formal permission…

ঢুকে দেখি বড়বাবু টেবিল এর উলটো দিকএ ৩জন বসে আছেন। এদের একজন কে আমি অবশ্য চিনি অনিমেশ কর, পুলিশ এর একসময় বড় পদ এ ছিলেন, এখন স্ত্রী পুত্র নিয়ে অবসর কাটাচ্ছেন, আগে এই পাড়া তেই থাকতেন বছর-খানেক হল, রাজারহাট-নিউটাউন এ ফ্ল্যাট নিয়ে গেছেন। বাকিরা অচেনা , বড়বাবু ইশারা এ খালি চেয়ার টায় বসতে বললেন।

সামনে বসা, অপেক্ষাকৃত কমবয়সী যুবক টি মৃদু স্বরে কিছু বলছিলেন, উনি থামতেই,

বড় বাবু আমার দিকে তাকিয়ে বললেন “চা” ?

না স্যার, খেয়ে এসেছি।

“আচ্ছা যে জন্য তোমাকে ডাকা, অনিমেশ স্যার কে ত তুমি চেনোই, ইনি নিলাদ্রি মুখার্জি আর উনি ওর ছোট ভাই হিমাদ্রি,আমাদের থানা এলাকাতেই থাকেন” আমিও প্রতিনমস্কার করলাম, দুই ভাই এর চেহারা এ খুব একটা মিল নেই, শুধু মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা ,

“ওদের একটা সমস্যা নিয়ে এসেছেন, এমনি চোখে দেখলে হয়তো অন্যদের মতো এটাকে স্বাভাবিক ঘটনাই মনে হবে কিন্তু, যাই হোক আমি চাই তুমি ব্যাপার টা দেখো ” যান মিস্টার মুখার্জি, প্রবাল এর কাছে যা বললেন একটু পয়েন্ট গুলো লিখিয়ে আসুন,”

আমি দুই ভাই কে নিয়ে আমার টেবিল এ যেতে যেতে অনিমেশ বাবুর কাছে বড়বাবু র বলা আমার কিছু সুখ্যাতি ও  শুনতে পেলাম, জানি বড়ো ভাল বার খাওয়ান, তাও ভালই লাগলো ।

আমার টেবিল এ বসিয়ে ভদ্রতা করে চা এর কথা জিজ্ঞেস করলাম, দুজনেই না বললেন, বড়বাবুর ঘর এ খেয়েছেন। নিহারদা কে ডেকে এককাপ ই অর্ডার করে personal diary টা বের করে পেন খুঁজতে খুঁজতে বললাম, বলুন একটু গোড়া থেকে।

নিলাদ্রী শুরু করলেন,

আমাদের পৈতৃক কাপড়-জামা র wholesale ব্যাবসা, ঠাকুরদার আমলের, বড়বাজারে একটা দোকান Godown আছে, বছর দুয়েক হল আমি আর ভাই মিলে কসবা এ একটা মোবাইল এর showroom খুলেছি।

শয়তান এর নাম নিলেই শয়তান হাজির, হিমাদ্রির পকেট এর দামী mobile টা তার অস্থিত্ব প্রমাণ করে অসময় আর্তনাদ করে উঠলো, হিমাদ্রি সলজ্জ ভাবে মোবাইল টা silent করেও, নাম্বার টা দেখে নিল, তারপর ইশারায়  আমাদের বুঝিয়ে বাইরে গেল, মিনিট খানেক বাদে ও ফিরে আসাতে নিলাদ্রি আবার বলতে থাকলেন

“আমার বাবা মারা গেছেন গত নভেম্বর মানে ১১/১১/২০১৫, এখনও ২মাস হয়েনি,” আমি ছোট চুল এর রহস্য বুঝতে পারলাম, বললাম “কি হয়েছিল ওনার?”

এমনিতে বাবা বেশ সুস্থই ছিলেন, বেশ মিশুকে, হাসিখুশি, ৭১ বছরেও  কোনও বড় রোগ ছিলোনা, regular morning-walk এ যেতেন লেক এর ধারে। সেদিনও morning-walk সেরে ৭-৩০ নাগাদ বাড়ির দরজায় এসে, আমরা তখনো বিছানায়। আমরা বলতে আমি, আমার স্ত্রী, আমার এক মাত্র সন্তান সোহম, এদিকে ভাই আর রান্নার পিসি “অমুর মা”।

সেদিন সকাল ৭-৩০টায় বাইরে চেঁচামিচি শুনে দোউড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখি বাবা দরজার সামনে সিঁড়ির ধাপে দেয়ালএ ঠেশ দিয়ে নিথর হয়ে বসে, সামনের চা এর দোকানের বিশু আর পাড়ার অন্যরা মিলে মুখে জল ছেটাচ্ছে। অজ্ঞান ছিলেন সবাই মিলে তুলে নিয়ে ওনার বিছানায় শোয়া্য়।‌ ১০/১৫মিনিট পর Dr. সুবিনয় বসাক এসে বলেন, হঠাত কোনো shock থেকে heart failure, আর কোনও injury না থাকা, পাড়ার সবার সামনে এবং  বাড়ির premises এ হওয়ায় ডাক্তারবাবু ও Death Certificate দিয়ে দিলেন ।

আমার চা খাওয়া শেষ করে সিগারেট এর প্যাকেট টা বের করে ওনাদের offer করলাম, হিমাদ্রি নিলেন না, হয়ত দাদার সামনে তাই,  নিলাদ্রিবাবু একটা নিলেন, আমার থেকে দেশলাই টা নিয়ে অগ্নিসংযোগ করে বলতে থাকলেন

“বাবার মৃত্যুটা স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছিলাম, বাবা খুব পরিশ্রমী এবং একরোখা ছিলেন, মৃত্যুর দুইদিন আগে একটা ঘটনা এ একটু বিচলিত ও ছিলেন, আমাদের মোবাইল এর দোকানের একটি কর্মচারি কিছু টাকা সরিয়েছিল, এই হাজার তিনেক মত, সুবল দাস বাড়ি কৈখালীতে, ধরা পড়াতে কবুল ও করেছিল, বলেছিল “পুলিশ এ দেবেন না দয়া করে, আমার মাস-মাইনে থেকে দিয়ে দেব, ওকে ৬,০০০/- দিতাম মাসে, তাই রেহাই দিয়েছিলাম। বাবা শুনেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন আমাকে বললেন “সুবল এর টাকা মকুব করে এক্ষুনি বিদায় কর, দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল”, এমনিতে গত ৬বছর উনি হিসেব বা ব্যাবসায় কখনো মাথা ঘামাতেন না, বলতেন “আমার যতটুকু ক্ষমতা আমি করেছি, তোমরা দুই ভাই আছ, তোমাদের দায়িত্ব ব্যাবসা কে এগিয়ে নিয়ে চলা, আমার এখন অখণ্ড অবসর” কিন্তু সেদিন আমাকে বললেন “যাও বড়বাজার আর কসবার হিসেবের খাতা নিয়ে এস” আমিও সেই মতো পুরোনো খাতা গুলো এনে দিলাম, মৃত্যুর আগেরদিন রাতেও ১-৩০ অব্ধি আমাকে calculator নিয়ে বসে থাকতে হয়েছিল, বাবা ঠিক ৫-৩০ এ morning walk এ বেড়িয়ে গেছিলেন, আমি ঘুম থেকে সেই চেঁচামিচি শুনে উঠেছিলাম।

আমি বললাম, হিসেবের খাতায় কি কোনও গণ্ডগোল?

নিলাদ্রিঃ না, বড়জোর year-end এ ৪০০০/- – ৫০০০/- টাকা, যেটা চা-বিস্কুট এর খরচ মানে “লেখা হয়না”, বাবা যে ৬বছর বাড়িতে অবসর এ ছিলেন, check করে দেখতে পারেন বাজার এর অনুপাতে ব্যাবসা মোটামুটি ঠিকই আছে, আর পরের দুর্ঘটনা র সাথে ওই হিসেবের খাতার কোনো relation ও নেই

আমি সপ্রশ্ন নিলাদ্রির দিকে তাকালাম, উনি বলতে যাবেন এই সময়ে আলুথালু শাড়ি পড়া এক মধ্যবয়স্কা নিম্নবিত্ত মহিলা সোজা ঘর এ ঢুকে এলো, আমার সামনে এসে বললো “স্যার হাজত টা কোথায়ে, আমার ছেলে কে ধরে নিয়ে এসেছে ?” আমি হাঁক দিলাম “গোবিন্দবাবু” , গোবিন্দ কোঙার A.S.I সামনে এসে দাড়ালে বললাম “ওনাকে সুভাষ বাবুর কাছে নিয়ে যান তো, মহিলাকে নিয়ে গোবিন্দ চলে যাওয়ার পর বললাম “ আপনি বলুন নিলাদ্রি বাবু, তারপর?”

নিলাদ্রি বললেন, “তারপর আমার বোন….” এতক্ষণ হিমাদ্রি একমনে মোবাইল এর দিকে তাকিয়ে কিছু করছিল, হয়তো facebook, whatsapp এবার দেখলাম সেও মুখ তুলে দাদার দিকে তাকাল, তার চোখ ছলছল করছে, নিলাদ্রি বলতে থাকলেন “ আমার বোন মানে হিমাদ্রির দিদি মৌ ওর থেকে ৩বছরের বড়, আমার থেকে বছর পাঁচেক ছোট, ওর স্বামী পুনে তে posted, সন্তানাদি ছিলোনা, ভালই ছিল, বাবার মৃত্যুর খবর শুনে এসেছিল, কথা ছিল ডিসেম্বর এর ১৫-১৬ তারিখ ফিরে যাবে, ১১ ই ডিসেম্বর  বেলা তখন ১২-০০/১২-৩০ আমাদের ছাদে গেছিল সাথে অমুর মা, মানে রান্না পিসি।মৌ এর খুব গাছের শখ ছিল জানেন?, ওর বিয়ের আগে ছাদ না বাগান বোঝা  যেতোনা। এখন তো কেউ দেখার নেই, তাও কলকাতা এ এলে ওটাই ওর প্রিয় জায়েগা ছিল, সেদিন ও পিসি কে দিয়ে কোথা থেকে গোবর-সার আনিয়ে গাছের গোড়ায়ে দিচ্ছিল হঠাত পাশে বিছানো মাদুর টার উপর এলিয়ে পরে। বাড়িতে তখন ওর বউদি, সোহম আর পিসি ই ছিল, আমি ছিলাম বড়বাজার , হিমু কসবা এ আমরা আসার আগেই সব শেষ। নিলাদ্রি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। হিমাদ্রিও উঠে বেড়িয়ে গেলেন, আমি নীরব, কি বলব বুঝে পারছিনা, মিনিট দুয়েক বাদে নিলাদ্রি সামলে উঠেছেন দেখে বাইরে গিয়ে ৩ কাপ চা বলে এলাম, হিমাদ্রি ও toilet থেকে মুখে চোখে জল দিয়ে এসেছেন। চা আসার পর জিজ্ঞেস করলাম “Dr. Basak ই দেখেছিলেন বোন কে?”

হ্যাঁ, কিন্তু উনি post-mortem করার পরামর্শ দিলেন, সুদেব মানে আমার ভগ্নীপতি পরের দিন আসেন তার আগেই ওর থেকে সম্মতি নিয়ে আমরা post-mortem এ রাজি হই, যিনি duty officer আছেন আজ, আমি বললাম “কে? সুভাষ?” নিলাদ্রি বললেন, হ্যাঁ, উনিই গেছিলেন, পরেরদিন দাহ করা হয়। রিপোর্ট জানায়, Myocardial infarction, Cardiac arrest & CHF and No external/internal wounds.

আমি চা শেষ করে আরেকটা সিগারেট জ্বালিয়ে জিজ্ঞেস করলাম “এখন আপনারা কি কোনও আশঙ্কা করছেন? মানে কাউকে সন্দেহ হয় কি? আপনাদের ধারণা টা জানতে চাই” আপনি বলুন হিমাদ্রি বাবু

হিমাদ্রি মুখ খুলল , “না আসলে এক ই ডেট এ একই ভাবে দুটো মৃত্যু, ঠিক মানতে পারছিনা, ভয় হচ্ছে আবার সেই ১১ আসছে। আর মৃত্যুর কারন টাও তো একই  ”

হুমমম… সেটা আমাকেও ভাবাচ্ছে

একটা কাজ করুন আপনাদের নাম মোবাইল নাম্বার দোকান আর বাড়ির ঠিকানা টা একটু এই ডায়েরিতে লিখে দিন আমি দেখে আসছি বড়বাবু খালি আছেন কিনা, বলে আমি উঠে গিয়ে O.C র চেম্বার এ উঁকি দিলাম, যাক অনিমেশ বাবু নেই, সাহেব একাই আছেন,

স্যার আসছি,

এসো প্রবাল , সব জেনে নিয়েছ?

হ্যাঁ স্যার, ওদের সাথে কি আরেকবার দেখা করবেন?

না, ওরা আছেন নাকি এখনও? ছেড়ে দিয়ে একবার এস তুমি।।

Ok Sir,

দুই ভাই কে বললাম বিকেলের দিকে বাড়ি থাকতে আমি ৪টে নাগাদ যাব, আর আমার মোবাইল নাম্বার টা দিয়ে নতুন কিছু মনে পরলে জানানোর জন্য বলে দিয়ে বস এর চেম্বার এ ছুটলাম ।

স্যার আসছি…

এস, প্রবাল কিছু বুঝলে?

সবে তো শুনলাম স্যার,  এটা তো co-incidence মানে কাকতালীয় ও হতে পারে  তাইনা? বড়বাবু সপ্রশ্ন চাইতে বললাম, না মানে দুটো মৃত্যু দুটোই হার্ট ফেলিয়োর মানে মোটের উপর স্বাভাবিক মৃত্যু, কিন্তু দুজনেই এক family র আর দুটোই ১১তারিখ ঠিক একমাসের ব্যাবধানে, সেটাই খটকা। একটা ভোরবেলা একটা দুপুরে তাই কোনোকিছু থেকে ভয় পাওয়া টাও ঠিক,

বড়বাবু বললেন “না , সেটা ঠিক দাঁড়াবে না বুঝলে, তুমি বরং ওদের ওষুধ আর Doctor এর ব্যাপার টাও একটু investigate কোরে দেখো। বাড়ির মধ্যেই কেউ যদি, কখন যাবে বলেছ?

এই ৪টে নাগাদ, ভাবছি গোবিন্দবাবু কে নিয়ে যাব।

Ok, কি হল জানিয়ো ,

Sure Sir, এখন আসছি।

 

ঠিক বিকেল ৪টে নাগাদ নিলাদ্রিবাবু র বাড়ি হাজির হলাম আমি আর গোবিন্দবাবু আমার বাইক-এই, ওনাদের অনুরোধে ঠিকানা টা বলতে পারছিনা, কিন্তু এটি এই এলাকার বনেদি আর সম্ভ্রান্ত পাড়া, সরু গলির দুই পাশে পাশাপাশি দোতলা-তিনতলা বাড়ির সা্রি। ওদের বাড়ির সামনে এসে চারিদিকে একটু চোখ বুলিয়ে নিয়েই ওনাদের বাড়ির বেল টিপলাম, একটু পরে এক বয়স্কা মহিলা এসে দরজা খুললেন,

আমরা থানা থেকে আসছি, নিলাদ্রিবাবু আছেন?

আসুন, আপনারা একটু বসুন দাদাবাবু কে দেকে ডেকে দিচ্ছি, বলে বৃদ্ধা চলেগেলেন, আমরা একটা সাবেকি সাজে গোছানো বসবার ঘরের সোফায়ে বসে অপেক্ষায় রইলাম, একটু পরে দুই ভাই একে একে ঘরে এসে ঢুকলেন। পর্দার বাইরে এক জোড়া কচি পা দেখে বুঝলাম শ্রীমান সোহম  পুলিশ এর ভয়ে ভিতরে ঢুকতে পারেনি কিন্তু অদম্য কৌতূহল।

আমি আর সময় নষ্ট না করে বললাম, একবার ছাদের উপর টা দেখব আর রান্নার দিদি, মানে ওই মহিলা কেও একটু ছাদে ডেকে নেবেন, বাইরে টা দেখেই এসেছি। হিমাদ্রি আমাদের নিয়ে ছাদে চললেন আর নিলাদ্রি বাবু গেলেন “অমুর মা” কে ডাকতে।

উঠতে উঠতে হিমাদ্রিকে জিজ্ঞেস করলাম “আপনি একতলায় থাকেন?”

হ্যাঁ, দাদারা উপরে থাকে , দিদি র ও একটা ঘর আছে উপরে দেখবেন?

দেখা যাক, যদি প্রয়োজন পড়ে তখন দেখব।

ছাদে উঠে চারপাশ টা দেখলাম বেশ কয়েকটা ফুলের টব গোলাপ-গাদা এ ফুল আছে এখনও, কিছু ফুলের নাম ঠিক জানিনা, কয়েকটা টব খালি এই সব দিয়ে ছাদ টা ঘেরা। মাঝখানে একটি শীতলপাটি আরে ৩-৪টে আঁচার এর শিশি।

ছাদের একদিকে কিছুটা খালি জমি, গ্যারাজ ইত্যাদি, বাড়িটার দুইদিকেই রাস্তা মানে গলি বলা ভাল, হিমাদ্রির বাড়িটা একটা কর্নার প্লট এ । ঠিক উলটো দিকে একটি তিনতলা  বাড়ি গায়ের রঙ ও বাইরের সাজ দেখে বোঝা যায়ে  অবস্থ্যাপন্ন কারোর জিজ্ঞেস করলাম ওটা কার বাড়ি?

হিমাদ্রিঃ ওটা সুনিল আগ্রাওয়াল বড় ব্যাবসায়ি,

দেখলাম তারই ঠিক পাশের কোনায় একটা চায়ের দোকান সামনে বেঞ্চপাতা বললাম ওটাই কি?

হ্যাঁ , ওটাই বিশুর চায়ের দোকান।

এর মাঝেই নিলাদ্রি এসে হাজির পেছন পেছন অমুর মা, তার পেছনে সোহম

আচ্ছা আপনি কতদিন এখানে কাজ করছেন?

আজ্ঞ্যে প্রায় ৩০বছর।

সেদিন কি হয়েছিল বলুন তো, ছাদে

আমি আমাদের পাড়া থেকে ২কেজি গোবর সার এনে ছাদে রেখেছিলাম দিদিমনি ১০টা নাগাদ ঘর থেকে বেড়িয়ে আমার কথা শুনে উপরে এলেন আমিও এককাপ চা বানিয়ে দিয়ে নিচ্চে ছলে গেছিলাম রান্না এগুতে, কাজের একটা মেয়ে আছে সে কাপড় কেঁচে বাথরুম এর গামলায় রেখে গেছিল ১২টা নাগাদ আমি সেগুলো মেলতে ছাদে আসি, খানিক পরেই পেছনে তাকাতে দেখি দিদিমনি র চোখ বেড়িয়ে এসেছে কাত হয়ে এই ঠিক এই জায়েগা টা এ এলিয়ে পড়লো …

 

ক্রমশ…

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

- A word from our sponsors -

spot_img

Most Popular

আরও খবর...

শিন্ডের শিবসেনা শিবিরে যোগ দিলেন গোবিন্দা, লড়বেন লোকসভা ভোটেও

ভোটের বাজাারে চমক। একনাথ শিণ্ডের হাত ধরে শিবসেনায় যোগ দিলেন...

- A word from our sponsors -

spot_img

সব খবর...

প্রাক্তন বিচারপতির সঙ্গে মেয়রের ফোনে কথোপকথন, দু’‌পক্ষের মধ্যে কী কথা হল?‌

কলকাতায় বেআইনি বাড়ির বিরুদ্ধে চলা সাংবাদিক বৈঠকের মাঝে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। দুপুর ২.২৫ মিনিটে ফোনটি আসে প্রাক্তন বিচারপতির কাছে। তখন লাইভ সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন অশোকবাবু। তার মধ্যেই কথা হয় দু’‌জনের। অশোকবাবু পরে জানান, তাঁর জীবনে এরকম ঘটনা আগে...

বাড়িতে বসে EDর ওপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিল শাহজাহান, আদালতে বলল সিবিআই

ইডির ওপর হামলার মামলায় তৃণমূলি মাফিয়া শেখ শাহজাহানকে ১২ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠাল বসিরহাট আদালত। এদিন সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষে শাহজাহানকে আর নিজেদের হেফাজতে চাননি তাদের আইনজীবী। তবে শাহজাহানের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে তারা। এদিন আদালতে সিবিআই জানায়, গত ৫ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের...

শিন্ডের শিবসেনা শিবিরে যোগ দিলেন গোবিন্দা, লড়বেন লোকসভা ভোটেও

ভোটের বাজাারে চমক। একনাথ শিণ্ডের হাত ধরে শিবসেনায় যোগ দিলেন অভিনেতা তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ গোবিন্দা। সূত্রের খবর, তাঁকে প্রার্থীও করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, উত্তর পশ্চিম মুম্বই কেন্দ্র থেকে শিবসেনার টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়বেন তিনি। ২০০৪ সালে কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়ে ৫০ হাজার রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছিলেন...

রাজ্যে BJP ৩৬টা আসন পেলে ৬ মাসে রাজ্য সরকারকে বঙ্গোপসাগরে বিসর্জন দেব: শুভেন্দু

লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ৩৬টি আসন পেলে ৬ মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকারকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার যাদবপুর কেন্দ্রের রানিকুঠিতে নির্বাচনী সভায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ২০২১ সালে তৃণমূল সরকারকে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে সিপিএম।আরও পড়ুন: ব্যক্তি...

‘‌আমার বাংলায় একসঙ্গে সবাই যেন ভাল থাকতে পারি’‌, ব্যান্ডেজ নিয়ে ইফতারে মমতা

তিনি বারবারই বলেছেন, বিবিধের মধ্যে ঐক্য অটুট রাখতে হবে। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা। তাঁর সভা থেকে শোনা যায়, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি দুর্গাপুজোর উদ্বোধনও করেন, ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের নিয়ে রাস্তায় হাঁটেন, গুরুদ্বোয়ারায় গিয়ে পুজো...

কলকাতা মেট্রো এবার ছুটবে বিমানবন্দর পর্যন্ত, দুর্গাপুজোর আগে চালুর সম্ভাবনা

গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো এখন হাওড়া পৌঁছে গিয়েছে। তাতে যাত্রীদের মধ্যে একটা খুশির হাওয়া বইছে। কম সময়ে নিরাপদে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে হাওড়া স্টেশনে। এবার কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত কলকাতা মেট্রো পৌঁছে যাবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা চলতি বছরের দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে কাজ শেষ যাবে বলে সূত্রের...

বাংলায় নতুন আটটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন, চিকিৎসা জগতে বড় সুখবর

আরও আটটি মেডিক্যাল কলেজ পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। এই আটটি নতুন মেডিক্যাল কলেজের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সেই আটটিরই অনুমোদন মিলেছে বলে খবর। দেশজুড়ে নতুন মেডিকেল কলেজ চালুর জন্য আবেদন কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েছিল। তার মধ্যে থেকে মোট ১১২টির ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে...

Mamata calls Councillor: তোমাকে প্রার্থী করতে পারলাম না, বরাহনগরের কাউন্সিলরকে ফোন মমতার

বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে জল্পনার মধ্যেই স্থানীয় কাউন্সিলরকে ফোন তৃণমূলনেত্রী। বরাহনগর পুরসভার কাউন্সিলর রঞ্জন পালকে ফোন করে মমতা বলেন, তোমাকে প্রার্থী করতে পারলাম না। তবে ভালো প্রার্থী দিয়েছি।আরও পড়ুন: প্রচারে ব্যস্ত, ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন না...

নবীনবরণকে কেন্দ্র করে মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সরগরম

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ উৎসবের রাশ কার হাতে থাকবে?‌ এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ এই প্রশ্ন তুলে ধরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন পড়ুয়া। তাঁদের অভিযোগ, গত ২১ এবং ২২ মার্চ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। বরাবর...

PM Modi’s economic advisor on Kolkata: সিগারেট-মদেই ডুবে থাকে, বাঙালিদের তোপ মোদীর উপদেষ্টার, ‘অপমান’ মৃণাল সেনকে

জীবনে বড় কিছু করার কোনও ইচ্ছা নেই। মৃণাল সেনের সিনেমা পর্যন্তই দৌড় বাঙালিদের। এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তথা অর্থনীতিবিদ সঞ্জীব সান্যাল। সিদ্ধার্থ আহলুওয়ালির 'দ্য নিওন শো' পডকাস্টে কলকাতা ও বাঙালিদের ‘অধঃপতন' নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, বর্তমানে...

দু’সপ্তাহ, ৩৫০ ঘণ্টা পার, শ্বেতপত্র কই? প্রশ্ন অভিষেকের, জবাব দিল বিজেপিও

আবাস যোজনা এবং একশ দিনের কাজ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন বিজেপিকে। কিন্তু তা নিয়ে গেরুয়া শিবির কোনও হেলদোল না দেখানোয় ফের সেই প্রসঙ্গ তুলে  বিজেপি তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘প্রায় দু’সপ্তাহ ৩৫০ ঘণ্টা হয়ে গেল। বিজেপি এখনও আমার চ্যালেঞ্জ...

Rat inKMC: ইঁদুর মারা চলবে না, শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে তাড়ানোর ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুরসভা

কলকাতা পুরসভায় ইদুরের তাণ্ডব দীর্ঘদিনের। তার ওপর সম্প্রতি সাপের দেখা মিলেছে পুরসভার ট্রেজারি বিভাগে। যার ফলে পুরসভা কর্মীদের আতঙ্ক বেড়েছে। এমন অবস্থায় কামড়ের ভয়ে অনেকেই চেয়ারে পা তুলে বসে থাকছেন। এর ফলে আবার দেখা দিচ্ছে পায়ের ব্যাধি। তারওপর ইঁদুর মারার নির্দেশ নেই। কারণ বিশ্ব...