
ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে টালমাটাল ওড়িশার পরিস্থিতি৷ বৃস্পতিবার ভোর বেলা থেকেই ওড়িশা উপকূলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা শুরু হয়। গতকাল থেকে উপকূলের পথ ধরে চলা বেশ কয়েকটি ট্রেনের গতিপথ বদলে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, বাতিলও করা হয়েছিলে বেশ কয়েকটি ট্রেন। এদিনও অবস্থা বিশেষ ভালো না হওয়ায় ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। এছাড়া, সড়ক যোগাযোগেও সমস্যা শুরু হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়েছে বেরহামপুর। ঝড়ের আশঙ্কা যতক্ষণ না কমছে, ততক্ষণ ওড়িশা উপকূল দিয়ে ট্রেন চালানো হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। যার ফলে আপ এবং ডাউন উভয় লাইনেই প্রভাব পড়বে। অনেক ট্রেনের সময়ই পাল্টানোর সম্ভবনা রয়েছে। আজকের জন্য বাতিল করা হয়েছে, ভূবনেশ্বর বেঙ্গালুরু প্রশান্তি এক্সপ্রেস ভুবনেশ্বর চেন্নাই এক্সপ্রেস, ভাগলপুর যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, বম্বলপুর জুনাগড় এক্সপ্রেস, বিশাখাপত্তনম রাইপুর এক্সপ্রেস সহ বেশ কিছু ট্রেন।
সামগ্রিক ভাবেই প্রভাবিত হয় রেলের দক্ষিণ পূর্ব শাখার যোগাযোগ ব্যবস্থা। বুধবার রাতে যে ট্রেনগুলির সময় পাল্টানো হয়, সেই হাওড়া চেন্নাই মেল ও শালিমার তিরুবনন্তপূরম এক্সপ্রেস সকালে হাওড়া থেকে ছেড়ে যাবে। এছাড়াও রেলের তরফে আরও বলা হয়েছে, যে একাধিক ট্রেন, যেগুলি ওড়িশাগামী ও দক্ষিণ ভারত গামী, সেগুলিকে আজও নির্দিষ্ট পথে না নিয়ে গিয়ে, ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
ঝড়ের আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিতলির প্রভাবে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের তিন থেকে চারটি স্টেশনে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার ছিঁড়ে গিয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে সিগন্যালিং ব্যবস্থাও। সেই কারণে বিজয়নগর থেকে খুরদা রোডের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় ট্রেনের ওভারহেড তার ছিঁড়ে যায়। সিগন্যালিং ব্যাবস্থাও খারাপ হয়ে যায় আবহাওয়ার জেরে। তিতলির প্রভাবে এদিন খড়্গপুরে দাঁড়িয়ে পড়ে আপ ফলকনামা এক্সপ্রেস। রেল সূত্রে বলা হয়, এই ট্রেনের যে রুট, সেই বালাসোর, ভূবনেশ্বর, কটক হয়ে না গিয়ে এটিকে ঘুর পথে সেকেন্দ্রাবাদ পাঠানো হবে। খুরদা রোড থেকে বিজয়নগরের মধ্যে ট্রেন চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।