ওয়েব ডেস্কঃ রাতের বারোটা। ৩০ জুন। এক দেশের এক কর ব্যবস্থা। তবু কেন্দ্রিয় সরকার নিজেই জানে না কী হতে চলেছে। নিজেরাই নাকি একটি আলাদা যুদ্ধকালীন সেল খুলেছেন। আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন মহাকাব্যিক ভুল করতে চলেছে কেন্দ্র। স্বাভাবিক। যে তৃতীয় বিশ্বের দেশে মানুষ খেতে পায় না দুই বেলা, চাকরির জন্য দুশো কিলোমিটার পর্যন্ত রোজ বাড়িতে থেকে যাতায়াত করে তাদের পক্ষে এতো নিয়ম মেনে কর দেওয়াটা সমস্যার। আর ভাবুন তো যে মানুষগুলি তেমন পড়াশুনো জানেন না, অথবা কম্পিউটারের বিষয়টা ভাল জানেন না, তাদের কাছে জিএসটি বাবদ কর দেওয়াটা সত্যই অবাক কান্ড। তাই তো বস্ত্র শিল্পের ব্যবসায়ীরা আজ থেকেই ময়দানে প্রতিবাদ শুরু করে দিয়েছেন। পরে আসছি সেই কথায়। চলচ্চিত্র শিল্পের একই অবস্থা। একেই বাংলা সিনেমা মানুষ কম দেখেন তার উপর কর হলে আরও কম মানুষ হল মুখী হবেন। অমিত মিত্র সেই বিষয় বিশেষ ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছেন। মোটের উপর সাধারণ মানুষ, যারা রোজ নিজের কাজ করে, রুটি রুজির জন্য সকলেই কোনও না কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। লাভবান হবেন কেন্দ্রিয় সরকার।
আসুন আমরা একটু জিএসটি-র মোটা বইটা উল্টে দেখেনি। কী আছে সেখানে। জিএসটি হল বিশেষ একপ্রকার কর ব্যবস্থা যা বর্তমানে পরোক্ষ করের পরিবর্তে কার্যকর হবে৷ পণ্য এবং পরিষেবা, দু’টির উপরই কার্যকর হবে জিএসটি৷ এই কর ব্যবস্থার দু’টি স্তর বা কাঠামো। কেন্দ্রিয় জিএসটি এবং রাজ্য জিএসটি ৷ পণ্য ও পরিষেবা কর চালু হলে কেন্দ্রে ও রাজ্যের একাধিক কর বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
কেন্দ্রিয় করের বিলুপ্তিতে রয়েছে, সেন্ট্রাল এক্সাইজ ডিউটি, অতিরিক্ত আবগারি ও কাস্টম ডিউটি, স্পেশাল অ্যাডিশনাল ডিউটি অফ কাস্টমস বা স্যাড, পরিষেবা কর৷ পণ্য ও পরিষেবা প্রদানে সেস ও সারচার্জ৷
রাজ্যের করের বিলুপ্তি রয়েছে, ভ্যাট, কেন্দ্রিয় বিক্রয় কর, পারচেজ ট্যাক্স, লাক্সারি ট্যাক্স, প্রবেশ কর, বিনোদন কর বিজ্ঞাপন, লটারি, বাজি ও জুয়ায় কর, স্টেট সেস অ্যান্ড সারচার্জ৷
অর্থনীতিবিদের একটা বড় অংশের মতে, জিএসটি চালু হলে লাভবান হবে দেশের অর্থনীতি। জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষও। জিএসটির সুবিধা হল করফাঁকি রোধ, কমবে করের হার, কমবে কর ব্যবস্থার জটিলতাও, ব্যবসা-বাণিজ্যের সরলীকরণ, বাড়বে জাতীয় আয়৷
এখন কোনও পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে, তা বিক্রির জায়গা পর্যন্ত নানা ধাপে কর দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যেগুলো বুঝতেও পারেন না ক্রেতা বা উপভোক্তা। পরতে পরতে কর না চাপিয়ে, দেশে একটি মাত্র কর ব্যবস্থা চালু করাই জিএসটির লক্ষ্য। কেউ কেউ এটাকেই বলছেন – মেক ইন ইন্ডিয়া।
আসলে আচ্ছে দিনের জন্য জানতে হবে জিএসটি’র ইতিহাস। ২০০০ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রথম অভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার কর প্রথা চালুর বিষয়ে সওয়াল করেন। কারণ, আর্থিকভাবে উন্নত যে কোনও দেশে এই প্রথাই চালু রয়েছে। কীভাবে সেই কর ব্যবস্থা চালু করা যায়, তা ঠিক করতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে একটি এমপাওয়ার্ড কমিটি তৈরি হয়। এই রাজ্যের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত ছিলেন সেই কমিটির চেয়ারম্যান। পরবর্তীকালে ইউপিএ সরকার জিএসটি চালুর পথে এগোয়। এখন বিজেপি সরকারও তাই চালু করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কমিটির চেয়ারম্যান এখন এ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
জিএসটি’র কাঠামোটি এসেছে সামনে। প্রধানত জানা গেছে, ১,২১১টি পণ্যের উপরে কী হারে কর বসবে, তা ঠিক করেছে জিএসটি কাউন্সিল। বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রেই করের হার রাখা হয়েছে ১৮ শতাংশ বা তার নীচে। ফলে এই কর ব্যবস্থা চালু হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, যেমন দানাশস্য, মাথার তেল, টুথপেস্ট, চিনি, কয়লার দাম কমবে।
জিএসটি চালু হলে আয়ুর্বেদিক, ইউনানি, হোমিওপ্যাথি থেকে শুরু করে প্রায় সব রকমের ওষুধের দাম কমার কথা। অ্যালাপাথি জীবনদায়ী ওষুধের দামও কমবে। ওষুধে এখন উৎপাদন শুল্ক, ভ্যাট মিলিয়ে ১৩ শতাংশ কর চাপে। জিএসটি-তে তা হবে ১২ শতাংশ। চিকিৎসার উপকরণ, অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতির উপরেও কর ১৩ শতাংশ থেকে কমে ১২ শতাংশ হবে।
জিএসটি চালু হলে স্মার্টফোনেরও দাম কমবে। জিএসটি-তে স্মার্টফোনের জন্য কর ১২ শতাংশ। এখন সিমেন্টে দিতে হয় ৩১ শতাংশ কর। তা ২৮ শতাংশ হয়ে যাবে। জিএসটি চালু হলে বিনোদনের খরচও অনেকটাই কমবে। কেব্ল টিভি, ডিটিএইচ পরিষেবায় বিভিন্ন রাজ্যে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ করের উপরে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত পরিষেবা কর দিতে হয়। সেখানে জিএসটি-তে ১৮ শতাংশ কর দিতে হবে গ্রাহকদের। সার্কাস থেকে নাটক, থিয়েটার বা গানবাজনার অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও টিকিটের দামের সঙ্গে ১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু হবে। ২৫০ টাকা পর্যন্ত টিকিটে খরচ কমবে।
আগে কেন্দ্রিয় এবং রাজ্য সরকার নিজেদের মতো করে আলাদা আলাদা নামে কর কেটে নিত বা নিচ্ছে। যেহেতু জিএসটি’র মূল লক্ষ্য হল অভিন্ন কর-কাঠামো গড়া, তাই এক্ষেত্রে মূল দু’টি ভাগ রাখা হয়েছে। একটি স্টেট জিএসটি বা এসজিএসটি, অন্যটি সেন্ট্রাল জিএসটি বা সিজিএসটি। নাম যাই-ই হোক না কেন, করের হার হবে একই। কোন কোন ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কর আদায় করবে, কোন ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব নেবে কেন্দ্র, তা ঠিক হবে খসড়া জিএসটি বিলে। কত টাকা ভাগাভাগি হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে, সেই বিষয়ও এখনও চুড়ান্ত হয়নি। দু’টি রাজ্যের মধ্যে কাঁচামাল বা পণ্য আদানপ্রদান হলে, করের সেইরকম হেরফের হবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন সুবিধা রয়েছে, এই কর ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে জিনিস পৌঁছাবে। কারণ, এখন কোনও পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে, তা বিক্রির জায়গা পর্যন্ত নানা ধাপে কর দিতে হয়। আর তার ফলেই একদিকে যেমন দাম বাড়ে, তেমনই তাতে জটিলতাও থাকে। জিএসটি চালু হলে প্রস্তুত হওয়া পণ্য কিনতে গেলে, একমাত্র সেই সময়ই কর চাপানো হবে। সেটি ধার্য হবে এমনভাবে, যাতে শেষ পর্যন্ত তা চাপবে উৎপাদন খরচের উপর। অর্থাৎ, হরেক করের চাপ মুক্ত হবে সেই পণ্য। পণ্যের দাম কমলেই বিক্রি হবে বেশি। তাতে উৎপাদন হবে বেশি। অর্থনীতি এগোবে।
আবার অন্যদিকে জিএসটি’র অসুবিধা সরকার লুকিয়ে ফেলছে। প্রধান বিষয়টা হল সরকার চাইছে সব জিনিসের থেকে কর নিতে। কিন্তু যে মানুষটি কোনও দিন এত কিছু বোঝে না, তারা তো ধোঁয়াশায়। ছোট ব্যবসায়ীরা তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেনই। বিক্রেতা নিজে বুঝবে না, কিছু লোক এসে বোকা বানাবে। আর পরিবর্তন মানুষ চায় ঠিকই তবে এই করের নাম বদলে আরও বেশি কর নেওয়া সেটা সত্যই সাধারণের পক্ষে চাপের। ভাবুন তো বাঙালির প্রিয় রসগোল্লা বা যেকোনও মিষ্টিতে ৫% কর দিতে হবে। তৃতীয় বিশ্বের দেশে মানুষকে বোকা বানিয়ে অনেক পণ্যে বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হবে। বিষয়টা এমন হবে, যে জিনিসটির দাম বাড়ার কথা নয়, সেই ব্যবসাইও জিএসটি বলে বেশি মুনাফা তুলে নেবে। এখানেই সমস্যা। সরকার তো প্রতিটি স্লটকে সুন্দর করে ভাগ করে বুঝিয়ে দিচ্ছে না। সে তো সাধারণ মানুষকে এসে সফটওয়্যার শিখিয়ে দিয়ে যাচ্ছে না। এখানেই সমস্যা। এক রাতের ভিতর সবাই শিক্ষিত হয়ে উঠবে কর দেওয়ার টেক গ্যাজেট অঙ্কে এটা ভাবাই সব থেকে বড় ভুল। নিত্যনৈমিত্তিক সব কিছুতে এই কর বিষয়টা সাধারণের কাছে অসহনীয়। মানলাম গাড়ি, বাইক, কম্পিউটার, দামী মোবাইল, টেলিযোগাযোগে দাম বাড়বে। সেগুলো বিলাসিতা। কিন্তু সাধারণ ঘরের গ্যাসের দাম, কেরোসিনের দাম বেড়ে যাওয়াটা মানা যায় না। এখানেই জিএসটি সাধারণ মানুষকে সরাসরি ক্ষতি করছে। আমরা ১৯৪৭ সালে এই কর দেব বলে স্বাধীনতা চাইনি। বিদেশের সাধারণত জিএসটি-র হার সর্বোচ্চ পনেরোর ভিতরে। বিদেশের মতো এখানেও জিএসটি চালু করার আগে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বের দেশের মতো বাকি সুবিধাগুলি দেওয়া প্রয়োজনীয়তা ছিল। সেখানে স্বাস্থ্য, সেবা, আইন আরও অনেক ক্ষেত্রে সরকারি যে সুবিধা ও বিনাশুল্কের সুবিধা মেলে সেটা করে তারপর এই আইনটি আনত। যে সরকার বলেছিল পনেরো লাখ টাকা ফিরিয়ে দেবে গরীবকে, সে সরকার ক্ষমতায় এসে বড়লোক শিল্পপতিদের সাথে ট্যুইট করেছে অনেক বেশি করে। বিদেশ সফরে গেছে অনেক বেশি। লাভ হয়েছে অন্য দেশের ও বড়লোকদের। বিজয় মাল্য সত্যই চিটিং করার মালা নিয়ে বিদেশে বসে। এ দেশের সরকারি ব্যাংক সমস্ত কিছুতে আরও সাধারণের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে নানা বিধি। কমিয়ে দিচ্ছে স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ। আসলে তুঘলকি শাসনে সবই সম্ভব।
আজ থেকে যে বস্ত্রশিল্পের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা ধর্মঘট করছেন আসুন তাদের প্রধান অসুবিধাটা একটু দেখেনি। জিএসটি চালু হলে কম দামের জামাকাপড়ের উপর ৫% কর, তাতে বস্ত্রশিল্প কিভাবে ধ্বংস হবে? ব্যবসায়ীদের কাছে জানা যাচ্ছে, ৫% কেন, ১% জিএসটি চাপলেও এই শিল্প ধ্বংস হতে বাধ্য। কারণ এখানে যে বিশাল মার্কেট আছে তার সবটাই প্রায় অশিক্ষিত ও অর্ধ-শিক্ষিত মানুষ দ্বারা পরিচালিত। কারোরই প্রায় কম্পিউটার নিয়ে কোনো জ্ঞানই নেই। বর্তমানে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না। কিন্তু জিএসটি চালু হলে প্রত্যেককে অন্তত একজন করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও একজন করে চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট রাখতে হবে সব কিছু ঠিকঠাক-ভাবে করার জন্য। যার জন্য বার্ষিক খরচ প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ টাকা বেড়ে যাবে। এখন এই অতিরিক্ত টাকা দিতে হলে জামাকাপড়ের উপর দাম বাড়াতে হবে, ফলে তা অনেক ক্ষেত্রেই ১২% ট্যাক্স জোনে চলে আসবে। ফলে আরও বেশি পয়সা গুণতে হবে ক্রেতাকে, যার-ফলে ধ্বস নামতে পারে বস্ত্রশিল্পে। ওই ব্যবসায়ীদের হিসাব অনুযায়ী, তারফলে অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন। সব মিলিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা ১৪.৫ লক্ষ মানুষের, যারা সরাসরি এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও এই ব্যবসার কাজে পরোক্ষে যারা লাগেন বা যাঁদের জীবিকা সরাসরি যুক্ত না হয়েও তার উপর অনেকখানি নির্ভরশীল সেই সংখ্যাটাও প্রায় ২৫-৩০ লক্ষের মত। আর তারফলে সারা বছরে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার মোট ব্যবসা নষ্ট হতে চলেছে। তাই জিএসটি বন্ধ না হলে ধর্মঘট করা ছাড়া তাঁদের কোনো উপায় নেই। এখন দেখার মোদী কিভাবে এই জনরোষকে সামাল দেয়। আর সেই দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক কারবারিরাও।
দেখে নিন কেমন হতে চলেছে কর ব্যবস্থা……
সোনা
সোনার উপর বর্তমান কর ২%। জিএসটি চালু হওয়ার পর তা সামান্য বেড়ে হবে ৩%। তাই টাকা ব্যাঙ্কে না রেখে, কিছু সোনা কিনে রাখতেই পারেন।
মোবাইল ফোন
১ জুলাই থেকে মোবাইল ফোনের ওপর কর বসবে ১২%। অর্থাৎ করের হার বাড়বে ৪ থেকে ৫%। দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের দাম বাড়বে। অতএব যদি আপনার মোবাইল ফোন লাগে, কিনে নিন চটপট।
ল্যাপটপ/ডেস্কটপ
জিএসটি চালু হওয়ার পর ল্যাপটপ/ডেস্কটপের ওপর কর বসবে ১৮%। বর্তমানে তা ১৪-১৫%। অতএব এগুলো লাগলে এখনই কিনে নেওয়া দরকার। এই সংক্রান্ত অন্যান্য পণ্য, যেমন প্রিন্টার ও ১৭ ইঞ্চির চেয়ে ছোটো মনিটরের দাম অবশ্য জিএসটি চালু হওয়ার পর কমবে। তাই ওগুলো কিনতে হলে কিছু দিন অপেক্ষা করুন।
গাড়ি
যদি আপনি সেডান, ডেজেল হ্যাচব্যাক, বড়ো এসইউভি বা কোনো বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে চান, তা হলে এখনই কিনে নিন। স্টক ক্লিয়ারেন্সের জন্য সংস্থাগুলি এখন নানারকম ছাড়ও দিচ্ছে। জিএসটি চালু হয়ে যাওয়ার পর কিন্তু দাম বেড়ে যাবে।
বিমা পলিসি
ছোটো ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের যদি কিছু বিমা করানোর থাকে, তা হলে এখনই করিয়ে নিন। বিমা পলিসির ওপর জিএসটি চালু হলে কর ১৫% থেকে বেড়ে ১৮% হয়ে যাবে। তাই যাঁদের অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত বিমা বা নৌবিমা করানোর দরকার (অর্থাৎ যেগুলিতে এককালীন প্রিমিয়াম দিতে হয়), তাঁরা এখনই করিয়ে নিন।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রক বা এয়ার কন্ডিশনার
বর্তমানে এয়ার কন্ডিশনারের ওপর কর গড়ে ২৩%। ১ জুলাই থেকে তা বেড়ে হবে ২৮%। ডিলাররা তাই ভালো ছাড় দিচ্ছেন এই পণ্যে। স্টক ক্লিয়ার করতে চান সকলেই। বর্ষায় গরম কিছুটা কমলেও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কেনার জন্য কিন্তু এটাই আসল সময়।
টেলিভিশন
বর্তমানে টিভির ওপর কর ২২-২৩%। জিএসটি চালু হওয়ার পর তা বেড়ে হবে ২৮%। তাই যাঁরা ফ্ল্যাট স্ক্রিন বা এলইডি কিনবেন বলে ভাবছেন, তাঁরা আর দেরি করবেন না।