পূর্ণিমা চাঁদ এখন পূর্নিমা চাঁদ আহত হয়েছি নিজে রাতের চাদরে ঢাকা আছে সমুদ্রের ঘুম ; বালুচরে শুধু তোর নাম লিখে ঘুরে বেরিয়েছি দিশাহীন - আমি ত জানি তোর ওই দুচোখে সবচেয়ে বেশি শান্তি ; সবচেয়ে বেশি ঘুম ; পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আশ্বাস - এই সন্ধ্যায় তোর মুখ মনে পড়ে ; যখন দু একটা পাতার পিছনে চাঁদ তার মোহিনী রূপে বিষাদ ছড়ায় ; আমার দুচোখ শুধু অঝোরে ঝরে - তবু ত বলেছি তোকে ; বিশ্বাস করি না - দুপুরের রোদে মেহগনি বাবলার শ্বাসে তখন তপ্ত হাওয়া ; দোয়েল শ্যামা তাদের গান থামিয়েছে ; যত বালিহাঁস উড়ে গেছে নদী ছেড়ে ; আমি শুধু সময়কে ধরে ছিলাম আঁকড়ে - সে যেন ছেড়ে না যায় -বলতে পারিনি ক্ষমা কোরো মোরে ; শুধু একটা অদৃশ্য আলো অন্ধকারে দুচোখ ঢাকা সব দেখেও কিছু দেখতে পাই না - ধুলো জমা আয়নায় চোখের জলে মুছে দুহাতে পাগলের মতো খুঁজি নিজেকে -নিজের মুখ; পাই না ; আমি তোকে বিশ্বাস না করলে - এই পৃথিবীর আকাশে চাঁদ তারা সূর্য থাকে না হাওয়া থমকে থেমে যায়- চলে না পাখি আর গান গায় না ; নদী মনমরা ক্ষীণ রোগা ; সমুদ্রকে ছোঁয়া যায় না ;সে তার ঢেউ গুটিয়ে নেয় রাতের চাদরে -হৃদয় বোবা কালা হয়ে যায় ; তবু কেন বলি ; বলতে ত চাই না কখনো - সব শেষ ; পোড়া এ শরীরে শুধু ক্ষত জেগে রয় অনিবার । সুচেতনা সেনঃ ২৭/০৪/২০১৭