ফেইসবুক-হোওয়াট্‌আপ-এর যুগে দাঁড়িয়েও ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে বিকোচ্ছে নারী!!……

0
ফেইসবুক-হোওয়াট্‌আপ-এর যুগে দাঁড়িয়েও ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে বিকোচ্ছে নারী!!……

ওয়েব ডেস্কঃ   সমাজ বদলাচ্ছে , কিন্তু প্রযুক্তির পাহাড়ে বিকোচ্ছে নারী মন। শোষণের অংশীদার নারী । দেহেরটানে ক্ষুধা  আর কামুক মননের সারিবদ্ধ আলাপ  যেন গ্রাস করছে সামাজিকতা । গ্রাম্য পরিবেশে সেই শোষণ উঠে আসছে বারে বারে । ভগ্নাংশ আজ কালের প্রভাব ।তবে এই শোষন কি কেবলমাত্র  অর্থের তাগিদ নাকি নেহাত ষড়রিপুর আঘাত ।  মানুষের দেহের তাগিদ , নাকি কেবলমাত্র গ্রামবাংলায় কাঁচা পয়সার অভাব মেয়েদেরর বিক্রি হতে দিচ্ছে সমাজের বুকে ।

গ্রামবাংলার মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ  নিয়ে  কিছু মুষ্টিমেয়  মানুষ প্রথার নামে দেহব্যবসা করছে । ধ্বংস করছে কৈশোর সুশীল মন । কৈশরের “অ্যডোলেসেন্স” কালের বা, বয়োসন্ধি বৃদ্ধি তাদের মতো মানুষের কাছে যথার্থ। এমনই অনেক গ্রাম আছে যেখানে দিনের পর দিন  কাজের নাম করে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বহু কৈশোরকাল । মধ্যপাচ্যের যেখানে  নারী শ্রমিকের নির্যাতনের ভূমিকা দেখেছি তার প্রকট উদাহরণ আজকের প্রযুক্তির উন্নয়নেও নারী শরীরের বিধ্বংসী লীলা ।

আজ এমনই তথ্য সম্ভারে “খবর২৪ঘন্টা”র  কলম……

Related image

মধ্যপ্রদেশে এমন এক গ্রাম শিবপুরীতে “ধারীচা” নামে এক প্রথা  আছে, যেখানে স্ট্যাম্প পেপারের স্বাক্ষর হওয়া সাথে সাথে তাঁদের স্বামী পাল্টে যান । আর সেখানে দশ টাকা থেকে একশ টাকার বিক্রি হয়ে যায় । এ যে পন্য ,অর্থের টানে বিকিয়ে যাচ্ছে ,  আর হাতবদল হচ্ছে নারীর শরীর।এখানে যার দেয় অর্থ পরিমাণ বেশী তার সম্ভোগের কাল বেশী আর কম , তার নির্যাতনও কম। এ যেন নারীর মর্যাদায় ব্যাবসা। নিলামে শরীরের ডাক , তবে প্রতিবাদের কোন নতুন মানুষ উঠে আসে নি ।কারণ পশরা যে নারী শরীর হয়েছে , আর পরিসংখ্যান বলছে প্রতি বছর ১০০ বেশী মহিলা এই ভাবে হাত বদল হন ।

Image result for সুন্দরবনে দেহ ব্যবসা

যেমন করে দারিদ্র কড়াল হয়ে ধরা দিচ্ছে বিবিধ গ্রাম্য প্রত্যন্তর এলাকাগুলোতে ।পাচার হচ্ছে সুন্দরবন এলাকায় । আবার প্রেমের টোপে নারী পাচার । যে প্রেমের শুরু প্রতিজ্ঞাদানে , তা শেষ হচ্ছে যৌনপল্লিতে । অর্থ হচ্ছে ধারক বাহক , তাই এ ডাক তো থাকবেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনা , ক্যানিং , গোসাবার নাম উঠে আসছে বারে বারে ।

আবার বিয়ে হচ্ছে প্রথা মেনেই ।উভয়ে অর্থের তাগিদ দেখিয়ে মুম্বাইয়ের মতো রোশনাই শহরে বিকোচ্ছে নারীত্ব ।আবার আশ্চর্য হতে হয় , তারা ফিরে এলে বাড়ীর লোক তাদের মেনে নিতে চায় না ।অর্থের অভাব দেখিয়ে তাকে সেই যৌন নিগ্রোহের সম্ভোগের বিলাসী করতে চায় ।তাই অনেকটাই তারা তখন বাধ্য হয়।  কলকাতা , বর্ধমানে প্রচুর পাচার হচ্ছে । তথ্যপ্রযুক্তির একটা বিশেষ মাধ্যম(ফেইসবুক) যেকানেই একটা “হাই “ হ্যালো “ , এই ভাবেই জড়িয়ে যাচ্ছে শত শত নারী । আর পাচার হচ্ছে ভিন্ন দেশে বন্ধুত্বের নামে , এখানে প্রযুক্তির নয় , প্রযুক্তির ব্যবহারের অভিসম্পাত ।

मियाद पूरी होते ही , फिर नया सौदा

ন্যাশানাল ক্রাইম বোর্ড বলছে , পশ্চিমবঙ্গ এই নারীর হাত বদল ও পাচারের ছবি প্রকট । মূলচক্রী , দালাল , সহযোগকারী , সংযোগকারী এই পথেই নারী পণ্য হচ্ছে , দেহ সম্ভোগের অবয়ব গড়ছে সমাজ ।বারবার প্রথার নামে  নারী শোষণের পর তাকে ডাইনি আখ্যান দিয়ে হত্যা করা হয় । এ এক নারী নির্যাতনের  গ্রাম্য অজ্ঞতার পরিচয় , আর অপরদিকে উচ্চবিত্তের ক্ষিদে মেটানো পুরুষের লালসার বহিঃপ্রকাশ।

Image result for সুন্দরবনে দেহ ব্যবসা

আজ নারী কলম ধরেছে নারীর অব্যক্ত কথনের ভাষা আমার কলমে কালির আঁচড় কাটবে । নিত্যদিনের প্রথা সর্বস্ব সমাজের অত্যাচার যেন কেঁদে বলছে তাঁর আকুতি স্বরূপ বোধ । আর আমরা তো কিছু অংশ স্বাধীন হয়েছি , কিন্তু সত্যি কি স্বাধীনতা পেয়েছি ? একি প্রেম , নাকি বৈধ অবয়ব , নাকি অবৈধে নেহাত ভালোলাগা ? কোথায় স্বাধীন আমরা ? আজও কলমে মনের প্রকাশ করলে গুলিতে মরতে হয় ।এ কি রাজ সম্মান ? নাকি নারীত্ব বিচার , কোনটা?

Image result for সুন্দরবনে দেহ ব্যবসা

“ক্ষুধা ও সৌন্দর্যবোধের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে । যে সব দেশে অধিকাংশ মানুষ অনাহারী , সেখানে মাংসল হওয়া রূপসী লক্ষণ; যে সব দেশে প্রচুর খাদ্য আছে , সেখানে মেদহীন হওয়া রূপসীর লক্ষণ। এ জন্যেই হিন্দি আর বাংলা ফ্লিমের নায়িকাদের দেহ থেকে মাংস চর্বি উপচে পড়ছে । ক্ষুধার্ত দর্শকেরা সিনেমা দেখে না , মাংস ও চর্বি দেখে ক্ষুধা নিবৃত্ত করে “।

 

 

 

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here