
রাফাল চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছে কংগ্রেস এবং প্রশান্ত ভূষণ–সহ কয়েকজন সমাজকর্মী। এভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফাল ইস্যুতে শাসক বিজেপি–কে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যে রাজ্যে তারা রাফাল ইস্যু নিয়ে জনমত তৈরি করতে সাংবাদিক সম্মেলন করছে। প্রশান্ত ভূষণও একই উদ্দেশ্যে আজ আমেদাবাদে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। ইতিমধ্যে এই চুক্তি বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। সর্বোচ্চ আদালত তা গ্রহণ করেছে। দিন কয়েকের মধ্যেই শুনানি হওয়ার কথা।
রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত মিথ্যে বলে চলেছেন। রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে ৪১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস৷ রাফাল ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এই নয়া অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা৷ দলের বক্তব্য, ইউপিএ আমলে রাফাল যুদ্ধবিমান ও তাতে ব্যবহারের জন্য যে সব সরঞ্জাম ও অস্ত্রশস্ত্র কেনার বিষয়ে কথা চলছিল, নরেন্দ্র মোদির সরকারের করা চুক্তিতেও সেগুলিই আছে। বাড়তি ব্যবস্থার যে যুক্তি মোদি সরকারের তরফে দেওয়া হচ্ছে, তা মিথ্যে। তাহলে তখন যুদ্ধবিমান পিছু ৫২৬ কোটি টাকা দর থাকলে, মোদি সরকারের আমলে তা বেড়ে ১৬৭০ কোটি টাকা কীভাবে হল?
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদঁ ও নরেন্দ্র মোদির যৌথ বিবৃতির কথা উল্লেখ করেন সুরজেওয়ালা। সেই বিবৃতি নিয়ে পিআইবি–র প্রেস রিলিজ দেখিয়ে তিনি দাবি করেন, ইউপিএ আমলে ভারতীয় বায়ুসেনার দ্বারা ‘পরীক্ষিত ও অনুমোদিত কনফিগারেশন’ নতুন চুক্তিতে অপরিবর্তিত রাখা রয়েছে। এর ভিত্তিতে কংগ্রেসের প্রশ্ন, সব কিছু একই থাকা সত্ত্বেও কীভাবে বিমানপিছু দাম তিনগুণ হয়ে গেল? আর বিমানবাহিনীর সঙ্গে কথা না বলে ১২৬ থেকে কমিয়ে মাত্র ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হল কেন? এতে জাতীয় সুরক্ষার বিষয়টি খাটো করা হয়েছে।