নিয়োগ দুর্নীতিতে আদালতের নির্দেশে অযোগ্যদের চাকরি যাওয়ার পর্ব শুরু হতেই এই নিয়ে বিধানসভায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের জবাবি ভাষণে সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলে রাজনীতি করার জন্য শিক্ষকদের চাকরি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করলেন তিনি।
এদিন বিধানসভায় মমতা বলেন, ‘রাজনীতি করতে গিয়ে শিক্ষকদের চাকরি খেয়ে নিচ্ছে সিপিএম। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। রাম-বাম-শ্যাম এক হয়ে গেছে’।
মমতার পালটা চ্যালেঞ্জ, ‘ছেলেমেয়েদের চাকরি দিতে গেলেই কোর্টে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা চাকরি দিতে চাই। আইন মেনেই আমরা চকরি দেব। কেউ চাকরি দেওয়া থেকে আমাদের আটকাতে পারবে না’।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে রয়েছেন মমতার একদা ডেপুটি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এছাড়াও জেলে রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, দলের যুব রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। ওদিকে গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে ১৯১১ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছে SSC. নবম দশমে বেআইনিভাবে নিযুক্ত ৯৫২ জনের চাকরি সুতোয় ঝুলছে। তারই মধ্যে সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি ঘুরিয়ে আদালতকেই চ্যালেঞ্জ করছেন মমতা?