শরশয্যা বলিলাম । আমার শরশয্যা ও ইচ্ছামৃত্যু দুই চাই । কোনো এক নির্জন দ্বীপে । সেইখানে অনেক কাকলী । সুগন্ধী রঙবাহারী নানান ফুল । অনেক ফলের গাছ । গায়ে গা ঠেকিয়ে বসে থাকবে কত পশু । আকাশে রঙধনুর গা বেয়ে ছোট ছোট বৃষ্টি ফুল ঝরবে । রাতের আকাশের সব তারা । তাদের কাজের ছুটি করে একে একে নেমে আসবে । সেই দ্বীপে সারা বাগান জুড়ে উড়ে বেড়াবে প্রজাপতির মতো ; যত জোনাকিদের সাথে নিয়ে - কাস্তের মতো বাঁকা চাঁদ ।একফালি ।অভিমানী । একে একে তীর এসে লাগে ।হাতে ।হাতের চেটোয় । দুই পায়ে প্রয়োজন মতো । পেটে ,বুকের দুপাশে ,গলায়,দুই চোখে ,কপালে । রক্তাক্ত এ শরীরে ভেঙে গেছে সব বন্ধন ; প্রভু শেষ তীর বিদ্ধ করো এ হদয়ে পার করে দাও এপার ওপার দূরে অভিমানী চাঁদ ক্ষয়িষ্ণু হয়ে ক্ষীণ অমাবশ্যায় ডুবে যায় । তুমি জানতে চাইছ কেন আমি এ । এতেই আমার সবচেয়ে স্বস্তি ।সবচেয়ে আরাম । আমার কবিতারা কিছু পারেনি । মিছিমিছি কারো পায়ে করেছিনু নিবেদন । জোর করে কবিতা শোনান ।বড় অপমান । কবি ও কবিতার । তাই স্থির হতে চাই মাটির সাথে - হাতে ।পায়ে ।কন্ঠে ।হৃদয়ে ।কপালে ।রুদ্ধ হয়ে । বুদ্ধের মতো ধ্যানে নীরব থাকতে চাই । প্রভু শেষ তীর বিদ্ধ করো -এ হদয়ে । শরশয্যায় থেকে এ হৃদয় একটু শান্তি পাক । এক যুগ ক্লান্তি ভুলে । ততক্ষণে অনেক ফুল ঝরে পড়ুক ।এ শরীরে । সাদা সব । ভোরের হিম শীতল করুক এ শরীর । তারপর একদিন মৃত্যু এসে ভিক্ষা করে চেয়ে নিয়ে যাবে আমার এ শরীর । মন চাইছে এইভাবে আরো কিছুক্ষণ থাকি আরামে । .......সুচেতনা সেনঃ০১/০৫/২০১৭