Home আপডেট স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও কি দুর্নীতি? আরজিকর নিয়ে তদন্তের দাবিতে ইডিকে চিঠি সুকান্তর

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও কি দুর্নীতি? আরজিকর নিয়ে তদন্তের দাবিতে ইডিকে চিঠি সুকান্তর

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও কি দুর্নীতি? আরজিকর নিয়ে তদন্তের দাবিতে ইডিকে চিঠি সুকান্তর

[ad_1]

সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন বন্টন দুর্নীতিতে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এ সংক্রান্ত মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই আবহেই রাজ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এবার সেই অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবিতে ইডিকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দিন কয়েক আগেই তিনি এবিষয়ে ইডিকে চিঠি লিখেছেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে এবার কি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এমনকী আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

আরও পড়ুন: আরজিকরের মর্গে দেহ হস্তান্তরের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে আরজিকর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে। সেক্ষেত্রে এই অভিযোগ উঠেছে খোদ হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। এবার এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার। কারণ পরপর দুবার বদলির পরেও পুনরায় আরজিকরের অধ্যক্ষ হিসেবেই রয়ে গিয়েছেন সন্দীপ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, এই অভিযোগে মাসখানেক আগেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। আর এবার ইডিকে চিঠি দিলেন। আগামী দিন তিনি আদালতে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সন্দীপ ঘোষ। তবে তিনি বলেন, কেউ প্রশ্ন করলেই উত্তর দিতে হবে এমন নয়। 

প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে আরজিকর হাসপাতালে টেন্ডার দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল।মেডিক্যাল কলেজের সুপার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। অভিযোগ ছিল, আরজিকর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা বর্জ্য কোটি-কোটি টাকায় বাংলাদেশের বাজারে পাচার করা হচ্ছে। হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। সেই সংস্থার তরফেও অভিযোগ করা হয়েছিল যে হাসপাতাল থেকে অনেক চিকিৎসা বর্জ্য তাঁরা পাচ্ছিলেন না। যার মধ্যে রয়েছে ব্যবহার করা স্যালাইনের বোতল, তার, সিরিঞ্জ, গ্লাভস প্রভৃতি। এই অভিযোগ ওঠার পরে তদন্ত শুরু করে স্বাস্থ্য ভবন। আবার স্কিল ল্যাবের পরিকাঠামো তৈরিতে রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের থেকে আরজিকরে ২ কোটিরও বেশি টাকার বরাত দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সুকান্ত মজুমদারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।  

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here