[ad_1]
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থার সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিতে বলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কিন্তু ইডি যে তথ্য জমা দিয়েছে তা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিচারপতি। তিনি সোমবার কার্যত ইডি আধিকারিকদের তুলোধোনা করেন বলে খবর।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা কেন উল্লেখ করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। বিচারপতির প্রশ্ন, তিনি সাংসদ। তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? এটা কী হতে পারে! সাংসদ হিসাবে তাঁর বেতন কোথায় জমা পড়ে? তবে ইডি জানিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তখন বিচারপতির প্রশ্ন সেই তথ্য তাহলে জমা দেননি কেন?
এমনকী ইডি পোস্ট অফিসের মতো কাজ করছে বলেও মন্তব্য বিচারপতির। অর্থাৎ যেটাই পাচ্ছে সেটাই জমা দিয়ে দিচ্ছে। এমনকী তদন্তকারীদের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন ১৮৮ এ হরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িটি কার মালিকানাধীনে আপনারা জানেন? সম্পত্তির খতিয়ানে তার উল্লেখ নেই কেন? ৩০ বি হরিশ চ্যাটার্জি কার ঠিকানা সেটা কেন উল্লেখ করা নেই।
এবার লিপস অ্যান্ড বাউন্ড নিয়ে কড়া প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কী ব্যবসা করত?
ইডি কর্তার দাবি, পরামর্শদান, ট্রেডিং কারখানা।
বিচারপতির প্রশ্ন, কীসের কারখানা?
ইডির জবাব, জলের বোতলের।
বিচারপতির প্রশ্ন, একতলায় অফিস বলছেন। সেটা কি কেনা হয়েছে নাকি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ? বাকি তলাগুলোকে কী আছে?
ইডি এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেয়নি।
বিচারপতির প্রশ্ন, এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেন। তারপর থেকে আর কোনও বিস্তারিত নথি নেই। ওই ব্যক্তির সম্পত্তি খুঁজে বের করতেই ২০২৩ এর জুন হয়ে গেল। …তদন্তে চারটি মোটরগাড়ি, একটি সাইকেল মিলেছে। একাধিক এসি মিলেছে। এগুলি কার নামে?
এরপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতির প্রশ্ন, আপনারা কি প্রশিক্ষিত? এই ধরনের তদন্ত করতে কি দক্ষ? কারও সাহায্য় প্রয়োজন?
ইডি এরপর জানায়, তাদের কিছু অফিসার দরকার।
এরপর সিবিআইকে বিচারপতি জানিয়ে দেন, কাজ করতে হবে। শুধু নোট নিলে চলবে না। চোখ বুজে থাকতে পারবেন না।
এদিকে আদালতে বিচারপতির একাধিক প্রশ্নে নিরুত্তর ছিল ইডি। তবে কি তদন্তে খেই হারিয়ে ফেলছে ইডি? নাকি অভিষেককে আড়াল করার চেষ্টা? এই প্রশ্ন কিন্তু এবার ঘুরতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলেই।