এই দুনিয়ার আজব কাণ্ডকারখানাঃ পড়ুন ও জেনে নিন

এই দুনিয়ার আজব কাণ্ডকারখানাঃ পড়ুন ও জেনে নিন

ওয়েব ডেস্কঃ  আমাদের জীবনের অনেক কিছুই অজানা। কারণ আমরা তো দশ-পাঁচটা থুরি ফেসবুকের যুগে বাস করছি। এই পৃথিবীতে সব  অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা আপনি হয়তো ভেবেও দেখেননি কখনও। এই যে আমরা হাঁচি দিই, কখনও কাউকে চোখ খুলে তা দিতে দেখেছেন। মানুষ আসলে চোখ খুলে হাঁচতে পারবেই না। আবার ধরুন আজ ভাবলেন চাঁদের আলোয় গিয়ে একটু দাঁড়াবেন, বসবেন, কবিতা লিখবেন, জানেন চাঁদ যখন আমাদের মাথার সরাসরি উপরে থাকে তখন আমাদের ওজন সামান্য কমে যায়? বাড়ির ছোট্ট শোনা যদি বলে আচ্ছা বলতো বারবি পুতুলের পুরো নাম কী….আপনি জানলে তবে তো বলবেন বারবারা মিলিসেন্ট রবার্টস। খুব মুশকিল, আমরা তো মোনালিসা হতে পারিনি। তবু লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এর ‘মোনালিসা’ যে কোনো ভ্রু নেই অনেকে খেয়াল করেই দেখিনি। যে মানুষটি এতো খেটে ফোন আবিস্কার করেছিলেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল তিনি তার মা ও স্ত্রীকে ফোন করেননি, আসলে শোনা যায় দুই জনেই নাকি বধির ছিলেন। এই শুনে চোখটা বড় বড় করছেন জানেন তো জন্মের পর থেকে আমাদের চোখের আকার সমান থাকে কিন্তু নাক কান বড় হয়। রেগে গিয়ে আমায় উটপাখির মতো তেড়ে আসবেন না কিন্তু উটপাখির চোখ তার মস্তিষ্ক থেকেও বড়। বলছি তো আজ আমার জন্মদিন নয় তবু হ্যাপি বার্থডে গানটি গাওয়ার সময় মনে রাখবেন, তার কিন্তু কপিরাইট রয়েছে। তাই কেউ মেরে আপনার পায়ের হাঁটুর মালাইচাকি ভেঙে দিতেই পারে। তবু তাকে বলবেন আমরা মালাইচাকি নিয়ে কেউ জন্মাই না। এই পা বলতেই মনে পড়ে গেল প্রজাপতি তার পায়ের পাতা দিয়ে ফুল বা পাতার স্বাদ গ্রহণ করে। বোরিং লাগতেই পারে এইসব কিন্তু আপনি চোখ খোলা রেখে ঘুমের সময় নাক ডাকার মতো করে ডাকতে পারবেন না। এটা শুনে সবাই লাফাতেই পারি কিন্তু জানেন তো হাতি একমাত্র প্রাণী যে বেচারা লাফাতে পারে না। হাতির মতো শক্তি চাইলে জিমে যেতেই পারেন তবু জানবেন শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী পেশী হল জিহ্বা। এসব ধুলো ভাবতেই পারেন, এখন আমরা কত কিছুই তো জানি তবু জানবেন মরুভুমির উড়ো ধুলো থেকে রক্ষা করার জন্য উটের চোখের তিনটি পাতা থাকে। ভাবছেন এবার আমার সাথে যুদ্ধ করবেন তাহলে জেনে রাখুন পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ের যুদ্ধটি হয়েছিল ১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ড আর জাঞ্জিবার এর মাঝে। যুদ্ধ শুরুর ৩৮ মিনিট এর মাথায় জাঞ্জিবার আত্মসমর্পণ করে নেয়। এসব পড়ে নিজের দম বন্ধ রেখে নিজেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করুন পারবেন না। কারণ তা সম্ভব নয়। এসব হজম হবে না জানি তো তবু বলি পাকস্থলীকে প্রতি দুই সপ্তাহের মাঝে নতুন শ্লেষ্মার আবরণ তৈরি করতে হয়। নাহলে তা নিজেই নিজেকে হজম করে ফেলতো। তাই জন্যই তো বলি হাঁসের প্যাঁক প্যাঁক শব্দ শুনুন তা কখনো প্রতিধ্বনিত হয় না। তাই তো আমাদের বাড়ির পোষ্য সারমেয়গুলিকে লক্ষ্য করে দেখবেন কুকুর আর বিড়ালও মানুষের মত ডানহাতি কিংবা বাহাতি হয়ে থাকে। তাই বোধহয় বাদুড় গুহা থেকে বের হওয়ার সময় বাম দিকে মোড় নেয়। এসব পৃথিবীতেই হয়, তাই তো শুক্র একমাত্র গ্রহ যা ঘড়ির কাটার দিকেই ঘোরে। একটু খাবার চান মধু খেতে পারেন, কারণ মধু একমাত্র খাবার যা কখনো নষ্ট হয় না। জিহ্বা দিয়ে খেলেন তো মধু জানবেন আঙুলের ছাপের মতন প্রত্যেক মানুষের জিহ্বার ছাপও ভিন্ন হয়। এসব পড়ে যদি মনে করেন এই ভূমিকম্প হবে নাকি, হতেই পারে কিন্তু জানবেন তখন মথ উড়তে পারে না।

যাক ভালই হল আমায় তো কেউ অস্কার দেবে না, সে প্রতিভা আমার নেই কিন্তু অস্কার পুরস্কার যে ধাতুর তৈরি তা দুর্লভ হওয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে প্লাস্টারের অস্কার পুরস্কার দেওয়া হত। সেই যে যুদ্ধ বা চলচ্চিত্র বললেই ব্রুস লি এর হাত পায়ের চালনার কথা মনে আসে। তার মারামারি দৃশ্য ধারণের সময় এতটাই দ্রুত ছিল ছবি নির্মাতাদের সেই দৃশ্য ধীর গতিতে রূপান্তর করতে হত। আমি কিন্তু প্রাকৃতিক মুক্তোকে কখনই ভিনিগারে ডোবাই না কারণ মুক্তো ভিনেগারে গলে যায়। এসব শুনে ঝামা পাথরকে জলের উপর রাখুন দেখবেন তা ভেসে থাকবে। না না একদম হাতের নখ খাবেন না, মানুষের হাতের নখ পায়ের নখের তুলনায় ৪ গুন দ্রুত বাড়ে। হিসেব করতে চান…ক্যালকুলেটরে লিখুন তো দেখি ১১১,১১১,১১১ X ১১১,১১১,১১১ উত্তর আসবে ১২৩৪৫৬৭৮৯৮৭৬৫৪৩২১। হাতটা দেখুন…মজা হল হাতের তালু আর পায়ের পাতায় কখনো লোম জন্মায় না। তাই তো বলি ডলফিনের মতো হয়ে উঠুন ডলফিন একই সময়ে ঘুমাতে আর সাঁতার কাটতে পারে। আসলে এসব বলছি কারণ মানব মস্তিষ্কের ৮০ ভাগই হল জল। আমার মাথাটাই মনে হয় গেছে। এসব পড়ে একটা সিগারেট খেতেই পারেন, তবু জানবেন এই লাইটার কিন্তু দেশলাই আবিস্কারের আগেই আবিস্কৃত হয়েছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here