Home আপডেট আজ শেষ হচ্ছে রাজ্য সরকারি অর্থবর্ষ, চাপে পড়ে গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর

আজ শেষ হচ্ছে রাজ্য সরকারি অর্থবর্ষ, চাপে পড়ে গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর

আজ শেষ হচ্ছে রাজ্য সরকারি অর্থবর্ষ, চাপে পড়ে গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতর

[ad_1]

৩১ তারিখ নয়, ২৮ মার্চ তারিখেই আর্থিক বছর শেষ হয়ে যাচ্ছে। কারণ আর্থিক বছরের শেষ তিনদিন ছুটি। সুতরাং বন্ধ থাকবে সরকারি অফিস। শুক্রবার গুড ফ্রাইডে, শনিবার এবং রবিবার উইকেন্ডের স্বাভাবিক ছুটি। আর তার জেরে ৩১ মার্চের বদলে ২৮ মার্চ তারিখই আর্থিক বছরের শেষদিন হিসেবে ধরা হবে। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টের পর নতুন করে আর কোনও বিল জমা দেওয়া যাবে না ট্রেজারি বা পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসে। তাছাড়া পরপর তিনদিন ছুটি থাকায় এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য অর্থদফতর। শুনতে অস্বাভাবিক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। আর্থিক বছর আজ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় একাধিক দফতর—বিশেষ করে পূর্ত, পরিবহণ, সেচ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি–সহ আরও কয়েকটি দফতর বড় সমস্যায় পড়ে গিয়েছে। কারণ, আর্থিক বছরের শেষে টানা তিন দিন ট্রেজারি বন্ধ থাকবে। সুতরাং সংশোধিত বাজেটের খরচ নিশ্চিত করা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আবার এই দফতরগুলিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হয়। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সব আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সমস্যা বেড়েছে। অর্থ দফতর তো অনেকদিন আগেই জানিয়েছিল। তা সত্ত্বেও কেন এই আশঙ্কা? উঠছে প্রশ্ন। নবান্ন সূত্রে খবর, সাধারণ সময়ে সমস্ত ওয়াকর্স দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করার উপরজোর দেন। আর মার্চের শেষে তাঁরা হয়ে যাওয়া কাজের বিল জমা দেন। এটাই চিরকাল হয়ে আসছে। তাই এবারও অন্যথা হয়নি। এই তিনদিন পাওয়া গেলে আরও বেশি টাকা ‘রিলিজ’ করা যেত।

আরও পড়ুন:‌ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে, বড় তথ্য ফাঁস করলেন তৃণমূলের দেবাংশু

অন্যদিকে চলতি মাসের শেষ তিনদিন ছুটি থাকবে সেটা আগেই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিল অর্থ দফতর। সেই নির্দেশিকা মেনে কাজ করতে বলা হয়েছিল সব দফতরকে। আর সেই নির্দেশিকা মানা হলে আজ দফতরগুলিকে বিপাকে পড়তে হতো না। আর বিপাকে পড়া দফতরগুলি পাল্টা যুক্তি দিয়েছে। অর্থ দফতরের নির্দেশিকা তাদের হাতে আসা মাত্রই সেটা মেনে কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু পূর্ত, পরিবহণ, সেচের মতো দফতরগুলিকে জেলায় প্রত্যেকদিন কোনও না কোনও নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়। সেক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে অনেক কাজ করতে হয়। তাই নির্দেশিকা আর বাস্তব পরিস্থিতির ফারাক হয়েই যায়।

এছাড়া গত শনিবার থেকে টানা ছুটি ছিল। গত শনিবার ও রবিবার ছুটি ছিল। যেটা নিয়ম অনুয়ায়ী থাকে। সোমবার এবং মঙ্গলবার দোল আর হোলি উৎসবে ছুটি থাকায় পর পর চার দিন ছুটি পড়ে গিয়েছিল। বুধবার ও বৃহস্পতিবার সরকারি অফিস খোলা থাকলেও, আবার শুক্রবার থেকে পর পর টানা তিন দিন ছুটি পড়েছে। অর্থাৎ এই মাসের শেষ ৯ দিনে মাত্র দু’দিন সরকারি দফতর খোলা ছিল। শেষ তিনদিনের ছুটির কথা আগেই জানিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছিল অর্থ দফতর। সেটা মেনেই কাজ করতে বলা হয়েছিল সমস্ত দফতর এবং ট্রেজারির অফিসারদের। ১৮ মার্চের পরে কোনও দফতর বিল জমা দিলে সেটা যাচাই করে সেদিনেই নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয় ট্রেজারির অফিসারদের।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here