কলকাতার ফুচকার নিজস্ব স্বাদ রয়েছে। ভারতের অন্যান্য যেকোনো জায়গার পানিপুরি বা গোলগাপ্পা থেকে কলকাতার ফুচকার স্বাদ আলাদা। এবার জেনে নিই, কলকাতার এমন কয়েকটি ফুচকার দোকানের হদিশ যেখানে ফুচকা খাওয়া এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে—
১. বিবেকানন্দ পার্ক
এই দোকানের টক জল বিখ্যাত। এখানকার তেঁতুল জল তৈরি করা হয় কাঁচা আমের টুকরো আর গন্ধরাজ লেবু দিয়ে। এই সবের মিশ্রণ এই দোকানের ফুচকাকে বিশিষ্ট স্বাদ দেয়। সাধারণ ফুচকা ছাড়াও এখানকার দই ফুচকা আর চুরমুরও বেশ বিখ্যাত।
২. রাসেল স্ট্রিট মোড়:
এই দোকানের ৬টা ফুচকার দাম পড়বে ২ টাকা, যদিও দামি তাও এই ফুচকা একবার খেলে অনেকদিন সেই স্বাদ থেকে যাবে আপনার মনে।
৩ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল:
ভিক্টোরিয়ার সামনের ফুচকার দোকানগুলির একটা আলাদা ঘরানা রয়েছে। এখানকার দোকানগুলোতে আলুর সঙ্গে মেশানো হয় এক ধরনের তেঁতুলের চাটনি, আর মশলা। তারপর সেই আলুর পুর ঢোকানো হয় ফুচকার পেটে। সব মিলিয়ে সেই ফুচকার স্বাদ কেমন দাঁড়ায় তা লিখে বোঝানো যাবে না। খেয়ে দেখতে হবে আপনাকে।
৪. চক্রবেড়িয়া (ত্রিকোণ পার্ক):
সাধারণ ফুচকার পাশাপাশি এই দোকানের বিশেষত্ব হল জৈন ফুচকা। এই ফুচকা পুর তৈরি হয় থেঁতলানো কলা দিয়ে। তার সঙ্গে মেশানো হয় লঙ্কা কুঁচি এবং জিরে গুঁড়ো। শুনতে যেমনই লাগুক এই ফুচকা খেতে কিন্তু অতীব সুস্বাদু।
৫. বর্ধন মার্কেট (ক্যামাক স্ট্রিট):
এই ফুচকার সুস্বাদের রহস্য হল বিভিন্ন মশলার যথাযথ মিশ্রণ। জিরে, মেথি, ধনে পাতা আর জোয়ান দিয়ে তৈরি করা হয় এই মশলা। এই মশলা দিয়ে মাখা আলু আর ফুচকার যুগলবন্দী যে কতটা সুস্বাদু হতে পারে তা যিনি এখানে একবার ফুচকা খেয়েছেন তিনিই জানেন।