Home বিদেশ চীনের আঙুলে গোটা বিশ্ব? নৌঘাঁটিতেই লুকিয়ে রহস্য! সমুদ্র বাণিজ্যে বড় টার্ন, টেনশনে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

চীনের আঙুলে গোটা বিশ্ব? নৌঘাঁটিতেই লুকিয়ে রহস্য! সমুদ্র বাণিজ্যে বড় টার্ন, টেনশনে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

চীনের আঙুলে গোটা বিশ্ব? নৌঘাঁটিতেই লুকিয়ে রহস্য! সমুদ্র বাণিজ্যে বড় টার্ন, টেনশনে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

[ad_1]

নজরে যুক্তরাষ্ট্র, গোটা বিশ্বে সামরিক জাল বিছিয়ে দিচ্ছে চীন। দেশে দেশে আরও ৮ টি নৌঘাঁটির প্ল্যান, বড় কোনো ছক কষছেন শি জিনপিং? মানচিত্রে কোন কোন জায়গা হাইলাইটেড? চীনের সমুদ্র বাণিজ্যে বড়সড় পরিবর্তন, জোর ধাক্কা খাবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আমেরিকার পাট চুকিয়ে দেবে। ভারতের ঘাড়েও ফেলবে নিঃশ্বাস। কোন কাজে লাগানো হবে এসব নৌঘাঁটি? সিক্রেট ফাঁস! এবার কি গোটা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণের ছক? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন আগামী কয়েকটা বছর কিন্তু খুব ইম্পর্ট্যান্ট একদিন দুদিন নয়, ২১টা বছর ধরে পরিকল্পনা সাজিয়েছে বেইজিং। বিশ্বের ৪৬টা দেশে ৭৮টি বন্দরে ১২৩টি প্রজেক্টে টাকা ঢেলেছে।অবকাঠামো নির্মাণও কমপ্লিট। টার্গেট, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে দেওয়া।

এছাড়া বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং নিজের শক্তিমত্তার জানান দিতে বিভিন্ন মহাদেশে নৌঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা চীনের। নির্দিষ্ট আটটা জায়গার মধ্যে রয়েছে শ্রীলংকার হাম্বানটোটা, নিরক্ষীয় গিনির বাটা, পাকিস্তানের গোয়াদর, ক্যামেরুনের ক্রিবি, কম্বোডিয়ার রিম, ভানুয়াতুর লুগানভিল, মোজাম্বিকের নাকালা, মৌরিতানিয়ার নোয়াকচট শ্রীলংকার এই চীনা নৌঘাঁটি ভারতের রক্তচাপ বাড়াচ্ছে। কারণ এখান থেকেই চীন ভারত মহাসাগরে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। চীন এই বন্দরে অলরেডি ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করে ফেলেছে। যা এককভাবে কোনো বিদেশি বন্দরে চীনের সর্বোচ্চ খরচ। ২০১৭ সালে ৯৯ বছরের জন্য এই হাম্বানটোটা বন্দর ইজারা নেয় চীন। পশ্চিম আফ্রিকার গিনিতেও যথেষ্ট প্ল্যান করে বন্দর তৈরি করেছে চীন। এই ঘাঁটি আমেরিকা মহাদেশের খুব কাছে হওয়ায় এটা চীনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ফ্যাক্টর।

এখান থেকে পশ্চিম আটলান্টিকে চীন তার সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়। আর পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বেশ ভালো। পাকিস্তানের নৌবাহিনী চীনা অস্ত্রের বৃহত্তম বিদেশি ক্রেতা, পাকিস্তানের নৌবাহিনীর আধুনিকীকরণের কাজ করছে চীন। আর চীনা যুদ্ধজাহাজগুলো অলরেডি পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরে অবস্থান করছে। এখান থেকে চীন এশিয়ার একটি বিশাল অংশের ওপর তার প্রভাব বজায় রাখতে পারে। ক্যামেরুনের ক্রিবি বন্দরটিতেও চীনের বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। এখান থেকে মধ্য আটলান্টিকে চীন তার বাণিজ্যিক ও সামরিক কার্যক্রম চালায়।ঔ মধ্য-পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে এই বন্দর চীনের জন্য ইম্পরট্যান্ট। কম্বোডিয়ার অভিজাতরা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ। ভারত মহাসাগর থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের প্রবেশমুখে মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়াড মোকাবিলায় কম্বোডিয়ার রেমে অবস্থিত এই বন্দর চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া, ভানুয়াতুর এসপিরিতু সান্টো দ্বীপের পোর্ট লুগানভিলে অর্থায়ন করেছে চীন। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে নিজের সামরিক অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করতে ছোট্ট এই দ্বীপ দেশের বন্দরে চীনের সামরিক ঘাঁটির সম্ভাবনা দেখছেন গবেষকরা। এমনকি, মোজাম্বিকেও নৌঘাঁটি গড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া, পশ্চিম আফ্রিকার মৌরিতানিয়ার নোয়াকচট। ইউরোপের কাছাকাছি এবং জিব্রাল্টার প্রণালির মতো চোক পয়েন্টগুলোর- কাছাকাছি হওয়ায় এখানে চীন তার উপস্থিতি জরুরি বলে মনে করে। যদিও চীনের বিনিয়োগগুলো বেশিরভাগই উন্নয়নশীল দেশে তবুও চীন একাধিক রাশিয়ান নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ চীনা স্পষ্টভাবেই পশ্চিমাবিরোধী একটি উত্থান চায়। বিশ্লেষকদের মতে চীনা অর্থায়নে নির্মিত এই অবকাঠামোগুলো যে কোনো সময়ে চীন কিন্তু সামরিক কাজে ব্যবহার করতে পারবে। চীনা আইন অনুসারে এসব বেসামরিক বন্দরগুলো প্রয়োজনে চীনা নৌবাহিনীকে লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবে। যে দেশের প্রজেক্টে চীনের বিনিয়োগ যত বড়, সেখানে বেইজিং তত বেশি সুবিধা চাইবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here