Home ঘুরে আসি মনশুদ্ধির পথ ~ জয়রামবাটি-কামারপুকুর….

মনশুদ্ধির পথ ~ জয়রামবাটি-কামারপুকুর….

মনশুদ্ধির পথ ~ জয়রামবাটি-কামারপুকুর….

Image result for jayrambati

ওয়েব ডেস্কঃ   শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কথা শুনতে বেশ ভালই লাগে। কোথায় শুনলাম! সিরিয়ালে। সে তো ভালই। কিন্তু কলকাতায় থেকে যদি স্থানটি নিজের চোখে না দেখেন তাহলে সত্যিই বলছি অনেকটাই মিস করবেন। কারণ মনে শান্তি নেই আধুনিক সময়ে। মনের শান্তি দেবে এই স্থান দুটি।

শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাসভূমি কামারপুকুরের খ্যাতি সকলের জানা অথবা কামারপুকুর থেকে প্রায় ৭ কিমি. পশ্চিমে অবস্থিত জয়রামবাটি স্থানটিও বিশেষ ভাবে ঐতিহ্যমণ্ডিত কারণ সেখানেই সারদা দেবীর জন্মস্থান। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার অন্তর্গত জয়রামবাটি ও কামারপুকুর।

Image result for jayrambati

এই দুই স্থান দর্শনের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পূর্ণার্থী আসেন। কারণ বাঙালির জীবনে শেষ মিরাক্কেল ঘটিয়েছিলেন এই পরমহংস রামকৃষ্ণ-মা সারদা-স্বামী বিবেকানন্দ। আধ্যাত্মিকতার ঊর্দ্ধে গিয়ে মানুষের জন্য কাজ করেছিলেন। এটাই মজা। এটাই বেঁচে থাকার অঙ্গীকার বাঙালি জীবনে। তাই বাঙালির সত্য আইডল যারা সর্ব ধর্মের মূল চেতনার কথা বলেছিলেন, তাদের জন্মস্থানে সেলফি ক্লিক করা যেতেই পারে।

  • কী কী দেখবেন?

. কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ — ১৯৫১ সালে রামকৃষ্ণ মঠের সন্ন্যাসীরা এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সদস্যরা একত্রিত হয়ে ‘রামকৃষ্ণ মঠ’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই রামকৃষ্ণ মঠ পরিদর্শনে সারা পৃথিবী থেকে প্রায় হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন। এই মঠটির উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট। এর ভিতরেই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের একটি মূর্তি রয়েছে, এই মূর্তিটির পরিকল্পনা করেন নন্দলাল বসু।

Related image

২. মাতৃ মন্দির — মাতৃ মন্দির এখানকার একটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। এখানেও প্রতিবছর বহু ভক্ত সমাগম হয়। এটি জয়রামবাটি মঠ নামেও পরিচিত। স্বামী সারদানন্দ ১৯২৩ সালে এই মন্দিরটি মা সারদের নামে উৎসর্গ করেন।

  • কীভাবে যাবেন?

জয়রামবাটি বা কামারপুকুরে কোনও রেলওয়ে স্টেশন নেই। তারকেশ্বর রেলওয়ে স্টেশনই এর নিকটবর্তী। তারকেশ্বর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই দর্শনীয় স্থান। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বেশ কয়েকটি লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন পাওয়া যায়। তারকেশ্বর থেকে বাস এবং ট্যাক্সি করে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে জয়রামবাটি ও কামারপুকুর। এছাড়াও, সড়কপথে বাস পরিষেবা রয়েছে। ধর্মতলা থেকে প্রতি দেড় ঘণ্টায় কামারপুকুরের বাস পাওয়া যায়। 

  • কী খাবেন?

জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর — উভয় জায়গাতেই দুপুরে ও রাতে ঠাকুরের ভোগ পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সকল পূর্ণার্থীর উদ্দেশ্যেই এই নিরামিষ ভোগ বিতরণ করা হয়। তবে তার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভোগের কুপন কাটতে হয়। এছাড়াও নানা হোটেল তো রয়েছে। তবে নিজের সাধ্য মত বেড়িয়ে পড়ুন। হয়তো আপনার সাথে আমাদেরও দেখা হয়ে যেতে পারে ঘুরতে ঘুরতে…

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here