Home ব্লগবাজি ঢেউ ~ বৈশাখী চ্যাটার্জী

ঢেউ ~ বৈশাখী চ্যাটার্জী

ঢেউ   ~   বৈশাখী চ্যাটার্জী

ঢেউ

বৈশাখী চ্যাটার্জী
নোনা জলের স্বাদ পেতে পেতে মেয়েটি বড় হয়ে উঠেছে সমুদ্রের বুকে -বাবা দুর
সমুদ্রে পাড়ি দেয় রোজ -মাছ ধরে, কত রকমের মাছ -কত রূপালী মাছ ,মেয়েটি দেখে
-সমুদ্রের নোনা জল তার গোটা শরীরজুড়ে -ফর্সা শরীরে কালচে দাগ পড়ে গেছে -তবুও
রূপের বহর মন্দ না -বাবার সাথে সেও মাঝে মাঝে পাড়ি দেয় ওই ভীষণ ঢেউএর বুকে
-সমুদ্র তাকে টানে- খুব টানে -বিরাট সমুদ্রের উথাল পাথাল ঢেউগুলো তার বুকে
আছড় মারে -ভরা যৌবনের স্বাদ আছে শরীরে -নোনা জলে রোজ ধুয়ে যায় রূপ -তবু
আহামরি শরীরের সব ভাঁজে আবার নতুন রূপ ভাসে -মনে ধরার মত এখনও কোন মানুষ আসেনি
চোখের পাতায় -ভিজে কাপড়ের আবরনে স্ফুলিঙ্গ শরীরের ভাঁজে দেখা না যাওয়া প্রতিটি
অনাবৃত আবরন দেখে কত পুরুষের- পৌরুষে আগুন জ্বলে ,তবুও ভালবাসা আসেনা মনে ,
মা -মরে গেছে সেই কোন যুগে ভাল করে মনেও পড়ে না তার ,-তবু খুব কষ্ট
হলে আকাশের দিকে তাকায় মাকে খোঁজে -চোখের জল ফেলে -বাবা ঘরে থাকলে নেশা করে
-বুঁদ হয়ে পড়ে থাকে, –
সে নিজেই- নিজের জন্য ভাত রাঁধে মন গেলে খায় -না হলে ওই নীল সমুদ্র দেখে-কত
রাত এভাবেই কেটে যায় ।
শিবু নামের ছেলেটা বড় আদিখ্যেতা দেখায় মাঝে মাঝে -কথা বলতে বলতে
গায়ে হাত দেয় -মুখ থেকে বুকে -বুক থেকে শরীরে চোখ নামে তার -রিরি করে মেয়েটার
গোটা শরীর -চোখ দুটো আগুনে ঝলসে ওঠে তবু চুপ থাকে কিছু বলে না -কেও নেই
-অন্ধকার রাত গুলো একা কাটে ভয়ে ,কতবার অভিশপ্ত হতে চেয়েছে রাতের নির্জনতা
তবুও জোড়ে খিল আঁটে দরজায় ,আরও জোড়ে বুকের সমস্ত নিঃশ্বাস চাপা দেয় সে
,আর্তনাদ করে ওই প্রতিটি ফিরে যাওয়া ঢেউএর দিকে তাকিয়ে ।
পাশের পাড়ার সুজার বাবার সাথে সমন্ধ হয় বিয়ের ,বউ টা মরেছে আগের
বর্ষায় সাপের কামড়ে -সুজার বয়স সাত ,
নীল তারাদের মাঝে মাকে খোঁজে সে ,
একটা কালো অন্ধকার রাতের শেষে আর একটা কালো রাতের হাতছানি -একমাথা সিঁদুর আর
তারপর আবার সেই সমুদ্র ,
সুজার সাথে রাত গুলো বেশ কাটে এখন -অনেক রান্না করে সুজাকে খেতে
দেয় -মাঝ সমুদ্রে সুজার বাবা -বুকে ঢেউ জমে -ঢেউ বাড়ে -জোয়ার ভাটায় জোৎস্না
রাত ওঠা নামা করে ॥

   বৈশাখী:21/07/2017

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here