প্রগতি ************* পৃথিবীর কক্ষপথে দ্রাঘিমাংশের বদল হয় না। বাস্তু-শাস্ত্রের জেরে আমার নীল সোফাসেট দিক বদলায় যখন তখন। এনজিও ফাণ্ডের ব্যাল্যান্স শীট আমার সকালের সুগার-ফ্রি চায়ের ঘনিষ্ঠতায় হাসে। গাজার স্কুলের দেওয়ালে প্যালেস্টাইন শিশুর রক্তাক্ত শরীর আমায় লজ্জা দেয় না। কায়রোর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীর হাতের পাথরটা আমার দিকে নিশানা করে না কখনো। পাস্তা আরাবিয়াতা আর একটু ক্যালিফোর্নিয়ান শার্দোনে আমার খাবার টেবিলে যথেষ্ট নয়। সোমালিয়ার রান্নাঘরে কোন মা তার সন্তানকে অভুক্ত ঘুম পাড়ায়, জানার প্রয়োজন নেই। আফগান মেয়েটির বোরখার নিচে উড়তে চাওয়া লাল ফিতে আমার বিকেলের পড়ন্ত রোদের উষ্ণতা বাড়ায়। হাতের ডায়েট পেপসিতে আর এক টুকরো বরফ ঢেলে নিই। আজিজ আহমেদ : 27/06/2017