বরাহ নন্দন ***************** তখন অনেক ছোট আমি সময় ছিল অনেক- ব্যস্ততা চঞ্চলতা গ্রাস করেনি আমাকে- খেলতাম ফিরতাম ছুটতাম অবাধ্য গতিতে, কোন পিছুটান ছিল না। খেলতে খেলতে এক অদ্ভুত প্রাণীকে দেখলাম- একটি নয়- একদল। একটি লোক তাদের নিয়ে চড়ে বেড়াচ্ছে পথে-ঘাটে-মাঠে আর তার মুখে অদ্ভূত এক শব্দ হুট-হুট,হুর-র-র-র-রে বেশ মোটা-সোটা, নাদস-নুদুস ছেহারার প্রাণীগুলি নোংড়া আবর্জনা ঘাটছে আর কচু-ঘেচু যা পাচ্ছে খাচ্ছে। খাচ্ছে মাটির বুকের প্রাণী কেঁচো। কেঁচো চাষীর বন্ধু। মূহুর্তের মধ্যে পুরো জায়গাটা খুঁড়ে-ফুঁড়ে-চষে একেবারে হুলুস্থুল! বাড়ি ফিরে জানতে চেয়েছিলাম মা’কে ঐ প্রাণীগুলির নাম। মা বলেছিলেন,বরাহনন্দন। জিজ্ঞেস করেছিলাম- ওরা কেন নোংড়া ঘাটে? মা রান্না করতে করতে বলেছিলেন, ‘ওটাই ওদের কাজ’। ‘ওটাই ওদের কাজ’! কথাটা আজও ঘুঙুরের মতো কানে বাজে। আজও পথে-ঘাটে-মাঠে দেখি কত শত বরাহনন্দন! নোংড়া ঘাটা বরাহনন্দন, নর্দমার নোংড়া ঘাটা যাদের একমাত্র স্বভাব। যারা নোংড়া মাখে,অন্যকে নোংড়া মাখায়। তারা কেঁচু-কচু খায় কিনা জানিনা তবে... ‘ওটাই ওদের কাজ’! বরাহনন্দন! দ্বি-পদী বরাহনন্দন! - তপন দাস:27/05/2017