আমাদের জীবনে ভগবান এমন অনেক পরীক্ষা নেন যখন মনে হয় আমাদের সামনে পাথরের মূর্তি কিছুই পারে না। মনে হতেই পারে তাহলে তো গরীব মানুষগুলো ভাল করে জীবন যাপন করতে পারত। এই মূর্তি কেবলই পাথর। সময়ের সাথে সাথেই জীবন এতটাই কষ্টে ভরে যায় যে ভগবানের দিকে তাকিয়ে আমরা মনের ইচ্ছা পূরণ করতে চাই এবং সুখের দিন দেখতে চাই। তবু মনের মধ্যে একটু সঙ্কোচ থেকেই যায়। উত্তর মেলে না কোনও। মন ভেঙে যায়। এক সময় গিয়ে ইচ্ছাগুলি মনেই মরে যায়। আসলে বড় পাথরকে ঠেলে সরানো যায় না। চাই টেকনিক। মানে বাঁশ দিয়ে পাথরের নীচে চাপ দিলে নিজেই সরে যাবে। আজ আমরা তাই ভগবান শিবের এমন একটি মন্ত্রের সম্পর্কে আলোচনা করব, যা নিয়মিত জপ করলে যে কোনও ইচ্ছা পূরণ হবে। আমার কথায় বিশ্বাস করতে হবে না। জপ করেই দেখুন। সাইড এফেক্ট নেই। আছে শুধু লাভ। আস্থা রাখুন খবর ২৪-এ।
ভগবান শিব হলেন যোগী। যার শরীরে কোনও দোষের দাগ নেই। তিনি পবিত্র। তিনি কারও চোখের জল দেখতে পারেন না। তাই তো যে কারও মনের মনের ইচ্ছাপূরণ করতে পিছপা হন না। সেই কারণেই ভগবান শিবের এই মন্ত্র একবার উচ্চারণ করে দেখুন, আপনার জীবনের যাপনটাই বদলে যাবে। ফিরে পাবেন মনের শান্তি। শুধু তাই নয়, আমাদের মনের সব দোষ, সব পাপও ধুয়ে যাবে। (বিশ্বাসকে যারা কুসংস্কার ভাবেন তাদের কথা বলছি না।)
শিবের সেই মন্ত্র….
এই মন্ত্রটিকে শাস্ত্রে “রুদ্র মন্ত্র” বলা হয়ে থাকে। মন্ত্রটি হল – “ওম নম ভগবতে রুদ্রায়ও”। এটি জপ করলে দেখবেন শান্তি পাবেন, সুখ পাবেন। তবে মন্ত্রটি পাঠ করার আগে কিছু নিয়ম মানতে হয়। যেমন…
১. স্নান করার পর পরিস্কার জামা কাপড় পরে কম করে ১০৮ বার এই মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে। শাস্ত্রে লেখা আছে এমনটা প্রতিদিন করলে মনের ইচ্ছা সব পূরণ হবে, সেই সঙ্গে জীবনে শান্তি ফিরে আসবে।
২. ভগবান শিবের ছবি বা মূর্তিকে সামনে রেখে মন্ত্রটি পাঠ করবেন।
৩. দেবাদিদেবের পছন্দের ফুলে তাকে সাজিয়ে তুলবেন। তার পরে মন্ত্রটা পাঠ করা শুরু করবেন।
৪. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জপের সময় বাড়াবেন।
৫. সাধুরা মনে করেন রুদ্রাক্ষের মালা হাতে নিয়ে এই মন্ত্রটি জপ করলে তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যায়। ঐ যে বললাম বিশ্বাস। সত্যতা তো আপনারাই জানাবেন।
রুদ্র মন্ত্র পাঠ করার আটটি উপকারিতা…..
১. এই মন্ত্র প্রতিদিন জপ করলে আমাদের পাপ এবং দোষ সব ধুয়ে যাবে।
২. মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর হবে এবং ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, অ্যাংজাইটি এবং ডিপ্রেশন কমাতেও এই মন্ত্রটি দারুনভাবে সাহায্য করে।
৩. এই মন্ত্র যারা জপ করেন তাদের কেউ, কোনও ক্ষতি করতে পারে না।
৪. জীবন খুশিতে ভরে ওঠে। আর সফলতা রোজের সঙ্গী হয়।
৫. শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে এনার্জির ঘাটতি দূর হয়।
৬. যে কোনও মনের ইচ্ছা পূরণ হয়।
৭. ভয় চলে যায়।
৮. দুঃখ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।