যখন আমাতে ঈশ্বর ছিলো এখনও মনে আছে আমার পরিষ্কার আমার বাসার ভেতর ভেতর চমত্কার সমস্ত গাছ গাছালির সার ছিলো সবুজ বনানী ঝোপঝাড় । পাহাড় পর্বত বরণীয় ঋতুর খুবসুরত আবর্তন; আকাশ মেঘ ফিকা বৃষ্টির কুশলিত সমর্পণ; বাতাস মুখর পাখির গুঞ্জন আলোর বন্ধন; প্রতি মুহূর্ত সব দিন অগোচরে পরস্পরকে স্পর্শ করে অবসরে এক সাথে কাঁদতাম হাসতাম । বাকি আলম ভুলে শান্তিসয় আঙুলে আঙুল জড়াতাম । আমার দুঃখ হলে জলবন্ত নদীর কিনারায় এসে হাত রেখে হাতে প্রতিবাদের নিঃশব্দতায় ভেসে দুচোখের বাড়ান্দায় শরীরের কুসুমে কুসমে সুখ দুঃখের দুয়ার আগলে অভিমানের তর্পণ শেষে এক দুজনের ক্রমাগত প্রতীক্ষায় মদির থাকতাম । সমস্ত ফুলের গন্ধ নতুন শস্যের মতো মাটি আকঁড়ে অন্ধকারে পর্দা জড়িয়ে সমস্ত আলোর প্রবাহ ধরে ভালবাসার... নদীর প্রপাত আমার বুকের ভেতর বৃষ্টির মতো আকাশ মেঘ পাহাড় ঘরের দরজা জানলার মতো ভ্রমণ সুখসার । পথের বাঁক কাদার পাঁকে দিনের আলো রাতের আলো; সূর্যর ওঠা নামা ছিলো না সঙ্ঘহারা। রোদ্দুরের আঁচ ছায়া মদির মন্দির ধর্ম পীঠস্থান ছিলো না চোখের ধোকা ছন্ন ছাড়া । তখন এই মাটির খরতায় গ্রহের ফের, আকাশের প্রান্তরে অন্ধকারের পাটাতন উপোস মুখে পুজো আর্চা আরাধনা ইবাদত ঘরের দঙ্গলের ছিলো না প্রয়োজন আমাতে ঈশ্বর ছিলো । বিকাশ দাস ~ 13/07/2017