Home আপডেট সাইকেল চালিয়ে বাজারে গিয়ে ইলিশ কিনলেন কীর্তি, চাপে শোরগোল পাকালেন বিরোধীরা

সাইকেল চালিয়ে বাজারে গিয়ে ইলিশ কিনলেন কীর্তি, চাপে শোরগোল পাকালেন বিরোধীরা

সাইকেল চালিয়ে বাজারে গিয়ে ইলিশ কিনলেন কীর্তি, চাপে শোরগোল পাকালেন বিরোধীরা

[ad_1]

তিনি ক্রিকেটের ময়দানে কীর্তি স্থাপন করেছেন। এবার রাজনীতির ময়দানেও যে তিনি কীর্তি স্থাপন করতে চলেছেন সেটা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না। এখন তিনি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। তাঁকে নিয়ে সাইকেল মিছিল করার কথা ছিল। দলের নেতা–কর্মীরা তেমন প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু প্রার্থী সাইকেল মিছিল করার সময় গতি বাড়িয়ে বাজারে ঢুকে পড়েন। এটা কর্মসূচিতে ছিল না। আর তা দেখে প্রথমে ঘাবড়ে যান তাঁরা। কিন্তু সেখানেও তিনি কীর্তি স্থাপন করলেন। হ্যাঁ, তিনি বর্ধমান–দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের চণ্ডীদাস বাজারে তাঁকেই দেখা গেল, বাজারে ঢুকে ফল, সবজি তো কিনলেই। তার সঙ্গে কিনলেন ইলিশ মাছ। আর তাতেই বিরোধীদের কটাক্ষ, বাঙালি আবেগ ধরতে লোক দেখানো কাজ কীর্তির।

এদিকে প্রাক্তন এই ক্রিকেট তারকা কীর্তি আজাদ সপরিবারে দুর্গাপুরে এসে পৌঁছেছেন। তাঁর অ্যাডভানটেজ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই কেন্দ্রে বিরোধীরা এখন প্রার্থী দিতে পারেনি। আর তিনি এই মওকায় দেদার প্রচার করে যাচ্ছেন। কীর্তি আজাদ জানান, নির্বাচনের মরসুমে পরিবার নিয়ে এখানেই থাকবেন। কীর্তির জোরদার প্রচারে মানুষের সঙ্গে রোজ জনসংযোগ হচ্ছে। খেলা থেকে রাজনীতি সব বিষয়েই আলোচনা হচ্ছে। এই আবহে ডিএসপি টাউনশিপে সাইকেল মিছিল বের হয়। কীর্তির সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং কর্মীরা। তখনই বাজারে ঢুকে পড়েন কীর্তি। আর ফল ও আনাজ কিনে মাছের বাজারে আসেন। সেখানে গিয়ে ইলিশ মাছ কেনেন।

আরও পড়ুন:‌ তৃণমূলের সকল কাউন্সিলরই নির্বাচনী কমিটির সদস্য, দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে বড় ঘোষণা

ইলিশ মাছ কেন কিনলেন?‌ ইলিশ মাছ খেতে তিনি ভালবাসেন। এটা তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রচার–পর্ব সেরে কীর্তি আজাদের দাবি, ‘এবার দিদির জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কারণ এখানে প্রত্যেকটি মানুষের কাছে তাঁর সামাজিক প্রকল্পের সুফল পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্যে বিজেপি এবার শূন্যে নামবে। আমরা ছক্কা হাঁকিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দেব ওদের। যখন সামনে মমতা দিদির মতো ‘ক্যাপ্টেন’ থাকেন, তখন অনেক বড় ব্যক্তির হালও খারাপ হয়ে যায়।’ কীর্তি এই দাবি করলেও পাল্টা কটাক্ষ করেছে সিপিএম। সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় বলেন, ‘অবাঙালিরা এখানে এসে কেউ রসগোল্লা, কেউ মাছ খান। উনিও তেমন একজন। বাজারে গেলেন, মাছ কিনলেন, কিন্তু ইস্পাত শিল্পের শ্রমিকদের বকেয়া নিয়ে কিছু বললেন না।’‌

বিজেপি ঠিক কী বলছে? বিজেপি এখানে এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি। তবে দেবে নিশ্চয়ই। এখানে যিনি সাংসদ ছিলেন বিজেপির তাঁর নামেই বারবার ‘‌নিখোঁজ’‌ পোস্টার পড়েছিল। এবার কীর্তি আজাদের মতো প্রার্থীকে তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় চাপ বেড়েছে বিজেপির। যদিও‌ বিজেপির দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের দাবি, ‘‌কীর্তি আজাদ ২০ বছর বিজেপি করেছেন। তার পরে কংগ্রেসে গিয়েছেন। এখন তৃণমূলে আছেন। যতই ইলিশ মাছ কিনুন, লাভ হবে না।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘বিরোধীরা কী বলছেন সেটা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।’

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here