এই ব্যস্ততার লাইফ স্টাইলে আমাদের দেহটা যেন একটা জ্বল জ্যান্ত সুপার মেশিন হয়ে গেছে। হ্যাঁ, তাই তো একই সময়ে আমরা কত কাজ করতে সক্ষম হচ্ছি। এমনকি বিজ্ঞানীরাও এই মানব দেহকে একটি রহস্যময় আবিস্কার বলে মনে করে থাকেন।
যেই মাত্র আপনার প্রতীত হবে যে আপনি এই ব্যপারে সব জানেন সেই মাত্র এমন কিছু তথ্য বেরিয়ে আসবে যে আপনি হতবুদ্ধি হয়ে পরবেন ! যেমন, আপনি কি কখনো জানতেন যে আপনার চোখের পাতায় রয়েছে অতি ক্ষুদ্র পরজীবী কীটবিশেষ, তাই কখনো কখনো আমাদের চোখের পাতায় আকস্মিক টানের অনুভূতি হয় এবং যা clinically ‘demodex’ নামে পরিচিত। সরীসৃপ প্রাণীদের মত আমাদের দেহের ত্বকও এক নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পরিবর্তিত হয়, তাই বলে আমরা সরীসৃপ প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত নই এবং আশ্চর্যজনক ভাবে ঘরের ভিতরের পাওয়া ধূলিকণার এক উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে এই dead skin !! অথবা আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে কোন ফেয়ারনেস ক্রিমের উপর সময় ব্যতীত করছেন যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ত্বককে আরও ফর্সা করার দাবী করে থাকে, এই তথ্যটি জেনে আপনি আরও বেশী অবাক হয়ে যাবেন যে মানব দেহের ত্বক অন্ধকারেও glow করতে পারে,শুধুমাত্র ত্বক থেকে যেই রশ্মি নির্গত হয় তা এতো কম যে আমাদের খালি চোখে তা ধরা পরে না।
এমনই অনেক মজাদার ব্যপার রয়েছে আমাদের এই দেহকে জুড়ে …আসুন জেনে নেই তার কিছু কিছু অংশ
১. মানব মস্তিষ্ক দিনের তুলনায় রাত্রি বেলায় বেশী সক্রিয় থাকে। কেন এমনটা হয় তা বিজ্ঞানীদেরও সঠিক জানা নেই।
২. আপনার IQ যত বেশী হবে ততই বেশী আপনি স্বপ্ন দেখবেন।
৩. হাতের মধ্যমা আঙ্গুলের নখ অন্যান্য আঙ্গুলের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি হয়।
৪. আপনার পাকস্থলীতে সৃষ্টি অ্যাসিড যথেষ্ট শক্তিশালী কোন zinc (এমনকি razor bladesকেও) কে গলানোর জন্য, কিন্তু তাই বলে এ পাকস্থলীর ক্ষতি করছে না কারন পাকস্থলীর কোষের প্রতিনিয়ত পুননবীকরণ হচ্ছে।
৫. আমাদের মস্তিষ্ক পুরো দেহের প্রায় ২০ শতাংশ অক্সিজেন ও ক্যালরি ব্যবহার করে।
৬ পুরুষদের হৃদয়ের তুলনায় মহিলাদের হৃদয় দ্রুত স্পন্দিত হয়।
৭ পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের চোখের পলক দ্বিগুণ বেশী পড়ে।
৮ জম্ম থেকেই মহিলাদের গন্ধানুভুতি পুরুষদের তুলনায় উত্তম হয় এবং আজম্ম এমনটাই থাকে।
৯ মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা দ্রুত চর্বি বা মেদ ঝরাতে পারেন, প্রতিদিন আনুমানিক ৫০ ক্যালরির মত।
১০ মহিলাদের চাইতে পুরুষদের হেঁচকি বেশী হয়ে থাকে।
১১ পুরুষরা দেহে প্রায় ৬.৮ লিটার রক্ত বহন করে, যেখানে মহিলাদের দেহে প্রায় ৫ লিটার রক্ত থাকে।
১২ মানব দেহের সবচাইতে বৃহৎ কোষ হল ডিম্বাশয় এবং ক্ষুদ্রতম কোষ হল শুক্রাণু।
১৩ আপনার পুরো জীবনকালে এতখানি মুখের লালার (saliva) সৃষ্টি হয় যে, দুটো সুইমিং পুল ভরানোর জন্য যথেষ্ট।
১৪ মুখের লালা যতক্ষণ না খাদ্যের সাথে মিশ্রিত হচ্ছে ততক্ষণ আপনি সেই খাদ্যের স্বাদ অনুভূতি করতে পারবেন না। ( জিহ্বাকে পুরোপুরি শুঁকিয়ে কোন খাদ্য চেখে দেখুন)।
১৫ খুব বেশী পরিমাণ খাবারের পর স্রবণ শক্তি কিছুটা কমে যায়।
১৬ শিশুরা সাধারণত নীল রঙের চোখ নিয়ে জম্মায়। ultraviolet রশ্মির দ্বারা চোখের ম্যালানিনের সম্পূর্ণ গাড় হতে কিছুটা সময় লাগে।
১৭ জম্মের পর শিশুরা সবকিছুই সাদা কাল রূপে দেখে।
১৮ আপনার চোখের cornea ই দেহের এমন অংশ যেখানে কোন রক্ত সরবরাহ হয় না। হাওয়া থেকে সরাসরি সে তার অক্সিজেন পেয়ে থাকে।
১৯ আপনাদের অনেকেরই জানা আছে যে দেহে ৭৫ শতাংশে রয়েছে জল, কিন্তু সেটা কি জানা আছে যে মস্তিস্কের ৮০ শতাংশতেই রয়েছে জল !!
২০ মানব চুলের আনুমানিক আয়ুষ্কাল প্রায় তিন থেকে সাত বছর।
২১ চুল বা কেশ অগ্নিদাহ্য, তা আমরা সবাই জানি কিন্তু এরছারা চুলকে আর কোন উপায়েই ধ্বংস করা অতীব কঠিন, এমনকি শক্তিশালী অ্যাসিড দ্বারাও নয়।
২২ প্রত্যেক ব্যক্তির রয়েছে তার নিজস্ব অনন্য গন্ধ, অনন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং অনন্য জিহ্বাপ্রিন্টও !!
২৩ ৬০ বছর বয়সের মধ্যে প্রায় অধিকাংশ লোকেদের অর্ধেকের মত স্বাদ কুঁড়ি হারিয়ে যায়।
২৪ জম্মের পর থেকে আপনার চোখের আয়তন একই থাকে কিন্তু নাক ও কান ক্রমবর্ধমান।
২৫ সন্ধ্যাকালের তুলনায় সকালবেলায় আমরা সাধারণত ১ সিমি লম্বা হয়ে থাকি।
২৬ একজন স্বাভাবিক ব্যক্তি কোন খাদ্য ছাড়া প্রায় ২০ দিন বেঁচে থাকতে পারবেন, কিন্তু পানীয় ছাড়া মাত্র ২ দিন বেঁচে থাকতে পারবেন।
২৭ দেহের সবচাইতে শক্তিশালী পেশী হল জিহ্বা।
২৮ দেহের সবচাইতে কঠিনতম হাড় হল চোয়ালের হাড়।
২৯ ত্বকের প্রত্যেক ইঞ্চিতে রয়েছে প্রায় ৩২ মিলিয়নের মত ব্যাকটেরিয়া, যা বেশীরভাগই অক্ষতিকর।
৩০ প্রত্যেক সাতাশ দিন অন্তর দেহের বহিরাগত ত্বকের পুনরুৎপাদন হয়।