ওঁ নমস্তভ্যঃ বিরূপাক্ষ নমস্তে দিব্যচক্ষুসে নমঃ ।
পিণাকহস্তায় বজ্রহস্তায় বৈ নমঃ ।।
নমত্রিশূলহস্তায় দন্ড পাশাংসিপাণয়ে ।
নমঃ স্ত্রৈলোক্যনাথায় ভূতানাং পতয়ে নমঃ ।।
ওঁ বানেশ্বরায় নরকার্ণবতারনায় , জ্ঞানপ্রদায় করুণাময়সাগরায় ।
কর্পূরকুন্ডবলেন্দুজটাধরায় , দারিদ্রদুঃখদহনায় নমঃ শিবায় ।।
হিন্দু ধর্মের প্রধান তিন দেবতা ব্রক্ষ্মা , বিষ্ণু , মহেশ্বর । ব্রহ্মা সৃষ্টির দেবতা , বিষ্ণু স্থিতি ও মহাদেব লয়ের দেবতা। শিব অর্থে পরমাত্মা , যিনি পরম পুরুষের সঙ্গে যুক্ত এবং সতী হলেন প্রকৃতি । আর সেই অনন্ত পুরুষ হলেন মহাদেব ।
তবে আজ অল্প কিছু জনশ্রুতি বলি , সাধারণ ভাবে আমরা মহাদেবের পূজো সোমবার করে থাকি । জনশ্রতি আছে যে , যারা সোমবার করেন তাঁদের কোন রকম মনোবাঞ্ছা অপূর্ণ থাকে না । আবার কুমারী মেয়েরা সু স্বামী পাওয়ার জন্য শিব পূজা করে। শিবের মন্ত্র জপে নাকি শাপ দূর হয় । এই গেলো শিবের মাহাত্ব আলোচনা ।কিন্তু যদি সত্যি তিনি আমদের সামনে আসেন , আমাদের অনের কামনা পূরণ করেন , এ আশা যেন কম বেশী সকলের । যা চাই তাই যেন পাই , এই পাবার আশায় আমরা ছুটে চলেছি ।আর এমন তো হতেই পারে যে আশ্চর্যের মতো করে সে ঘটনা সত্যি হল , ঠিক আজ এমনই সেই রকম এক ঘটনার মুখোমুখি আমরা ।
এবার আমরা বলব এক আশ্চর্য ঘটনার কথা । ভারতের বেশ কিছু জায়গায় আমরা নান রকমের আশ্চর্যপূর্ণ ঘটনা দেখে থাকি ।কিছুটা ভ্রান্ত হলেও আমরা অজানা বিষয়ের জানার আগ্রহ নিয়ে জানবার চেষ্টা করি । তবে আজ সত্য অন্বেষনে তারই সন্ধানে আমরা ।আমরা অনেকেই কন্যকুমারীর কথা শুনেছি । জায়গাটির কথা ভাবলেই মনে হয় যে , সেই বিবেকানন্দ , সেই “জীব জ্ঞানে শিব সেবা “। তবে সমুদ্রের সেই শত ঢেউয়ের মধ্যে একবারে মাঝ সমুদ্রের মন্দিরের কথা হয়ত অনেকের অজানা ।এটি একটি শিব মন্দির । আর আরব সাগরের মধ্যে থাকা গুজরাট থেকে এর দূরত্ব ১ কিলোমিটার । স্থানীয় মানুষের মুখে এই মন্দির নিশকলঙ্গেশ্বর মন্দির হিসাবে পরিচিত । এখানে মন্দিরে যদি কিছু চাওয়া যায় , তবে তা পাওয়া যায় , একথাও লোকমুখে শোনা যায়। আর ফলের আশায় মানুষের ভিড় , সেটাকে অগ্রাহ্য করাই যায় না ।তাই পর্যটকের ভিড় বেড়েই চলেছে , তার সাথে মন্দিরের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ।
You-tube থেকে সংগৃহীত মন্দিরের একটি ভিডিও……
চারদিকে জল আর মাঝখানে মহাদেব , একটু জমির উপর তৈরি মন্দির । এই মন্দিরে ৫ টি শিবলিঙ্গ আছে ।আর চারদিকে জলের জন্য সকল যাত্রী সহজেই সেখানে পৌঁছাতে পারেন না। তবে সেখানে শিব দর্শন করতে হলে বেলা ১ টা থেকে ১০ টার মধ্যে । অন্য সময় জলের তলায় থাকে মন্দিরের প্রবেশ পথ । কি আশ্চর্য তাই না ? জোয়ারের সময় মন্দির জলের নীচে থাকে । উপরে থাকে কেবল মাত্র ২০ ফুট লম্বা পাথরের তৈরি থামটি আর ধ্বজাটি ছাড়া। দুপুর ১ টার পর মন্দিরের উপর থেকে জল নেমে যায় , কেমন আশ্চর্য বিষয় ।
এই মন্দির নিয়ে অনেক মত আছে । কেউ বলেন নিশকলঙ্গেশ্বর মন্দিরের শিব, বাবা ভোলানাথ নাকি কারোর ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেন না ।আবার অনেকে বলেন বাবাকে দেখতে পাওয়া নাকি সৌভাগ্যের বিষয় । অনেকে বলেন যে ,পাণ্ডবদের কালে ,
এই মন্দির নাকি তৈরি হয় ।তবে নানা মুনির নানা মত । আনেকের মতে তারকাসুর কে হত্যার পর কার্তিকের খুব অনুশোচনা হয় , কারণ তারকাসুর শিবের ভক্ত ছিলেন । তাই কার্তিক তখন ,পিতা শিবের আরাধনা করতে শুরু করেন । এ ঘটনাও লোকমুখে শোনা ঘটনা ।এর বিশেষত হলো এটি জোয়ারের সময় এই মন্দির অদৃশ্য ,আর
ভাটার সময় কেবল এই মন্দিরটি দেখা যায় ।তাই মন্দিরটি “ মহাদেবের অদৃশ্যমন্দির “ নামে খ্যাত ।