স্পোর্টস ডেস্ক~ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান্ডারার্সের রেকর্ড জয় দ:আফ্রিকার। মর্নি মর্কেলের এটাই ছিল শেষ টেস্ট ম্যাচ।
ম্যাচের তৃতীয় দিনে পায়ে চোট পেয়েছিলেন মর্কেল৷টেস্টে আগাগোড়া চালকের আসনে ছিল দ: আফ্রিকা৷ কাকতলীয়ভাবে ম্যাচের শেষ ওভারটিও করেন মর্কেল৷ তার বলে ন্যাথন লিয়ন রানআউট হলে ৪৯২ রানের ব্যবধানে ম্যাচ হারে অস্ট্রেলিয়া৷
১৯৩৪ সালের পর রানের ব্যবধানের নিরিখে টেস্ট ক্রিকেটে এটি বৃহত্তম জয়৷ ১৯২৮ সালে কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যানের অভিষেক ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া হেরেছিল ৬৭৫ রানের রেকর্ড ব্যবধানে৷ ৫০০ রানের বেশি ব্যবধানে হারের নজির টেস্ট ক্রিকেটে তিনটি রয়েছে৷ ১৯১১ সালে মেলবোর্নে দ: আফ্রিকাকে ৫৩০ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া৷ ১৯৩৪ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৬২ রানে জিতেছিল অজিরা৷
১৯৩৪ সালের পর থেকে টেস্টে এত বড় রানের ব্যবধানে ফলাফল নির্ধারণ হয়নি৷ টেস্টে এটিই এখনও পর্যন্ত দ: আফ্রিকার সব থেকে বড় রানের ব্যবধানে জয়৷ এর আগে ২০০৭-০৮ মরশুমে নিউজিল্যান্ডকে তারা ৩৫৮ রানে পরাজিত করেছিল৷ ওয়ান্ডারার্সে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬১৩ রানের৷ শেষ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে যায় ১১৯ রানে৷ জো বার্নস (৪২) ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব (২৪) ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি কোনও ব্যাটসম্যান৷
ভার্নন ফিল্যান্ডার ২১ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট তুলে নেন ৷ মর্নি মর্কেল ২৮ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন৷ ৮৬ ম্যাচে ৩০৯টি উইকেট নিয়ে টেস্ট কেরিয়ার শেষ করলেন মর্কেল৷ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রেকর্ড জয়ের নায়ক নির্বাচিত হয়েছেন ফিল্যান্ডার৷ সিরিজ সেরা হয়েছেন রাবাডা।
