পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক পরিস্তিতিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের আইন হাতে তুলে নিতে আগেই নিষেধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অশান্তি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এবার গোটা ঘটনার নেপথ্যে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ইস্যুকে সামনে রেখে কিছু ধর্মীয় কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দল পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মানুষকে হিংসাত্মক কাজকর্ম থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখারও আবেদন জানিয়েছেন মমতা।
রাজ্যে চলতি অশান্তি নিয়ে ইতোমধ্যে রাজ্য় সরকারকে আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। অশান্তির ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতাদের দায়ী করেছে তারা। শুধু তাই নয়, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া অন্য পথ খোলা থাকবে না বলে মন্তব্য করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা।
এমন এক চাপানউতরের মধ্যে রাজ্যজুড়ে সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখার জন্য ফের আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘কোনও হিংসাত্মক কাজকর্মে লিপ্ত হবেন না এবং রাজ্যজুড়ে সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখুন। রাজ্য সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘রাজ্য সরকার শান্তি নষ্ট করার যাবতীয় প্রচেষ্টারও ঘোর বিরোধী। যে কোনও ধরণের সম্পত্তির কোনওরকম ক্ষতি হলে তা রাজ্য সরকার কোনওমতেই বরদাস্ত করবে না। আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গণতান্ত্রিক এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসির বিরুদ্ধে যাবতীয় বিরোধিতা করতে চাই।’
এর রেশ ধরে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে রাজ্যজুড়ে অশান্তির আবহ ও দাঙ্গা তৈরি করার চেষ্টা করছে। এই অসাধু উদ্দেশ্যে কর্ণপাত না করার জন্য আমি সকলকে অনুরোধ করছি।’