
২০১৮ সালের অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্ট (এএসইআর) চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে৷ এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে ‘ভারতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করা বাধ্যতামূলক, কিন্তু দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে কোনও দক্ষতা তো দূরের কথা, এমনকী প্রাথমিক স্তরটিও তাদের অত্যন্ত কাঁচা। পঞ্চম শ্রেণীর কিছু ছাত্র দ্বিতীয় শ্রেণীর বই পড়তে সক্ষম। বাদবাকিরা পড়তে পারে না।’
এই রিপোর্ট অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণীর প্রায় ৫০ শতাংশ এবং অষ্টম শ্রেণীর প্রায় ২৫ শতাংশ পড়ুয়া ঠিকমতো পাঠ্যবই পড়তে পারে না। এটাই দেশব্যাপী সরকারি স্কুলগুলির বাস্তব চিত্র। এএসইআরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, বেসরকারি সংগঠনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে ১৩টি একই ধরনের রিপোর্ট পেশ করা হয়। এই সংগঠন সরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখার পর জানায় যে, ২০১০ সালের শিক্ষার অধিকার আইনে স্কুলগুলির ঠিকমতো সংস্কার হয়নি। অভাব রয়েছে যোগ্য শিক্ষক–শিক্ষিকার। অধিকাংশ স্কুলে মেয়েদের জন্য আলাদা কোনও শৌচালয় নেই। তবে গোটা দেশের মধ্যে জম্মু–কাশ্মীর ও উত্তর–পূর্ব ভারতের সরকারি স্কুলগুলির অবস্থাটাই সবচেয়ে খারাপ। দেশের ১৫,৯৯৮টি সরকারি স্কুলে এই সংগঠনের প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে এএসইআর। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৩ থেকে ১৬ বছর বয়সী মোট ৫,৪৬,৫২৭ জন পড়ুয়ারা ৫৯৬টি গ্রামের সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। গণিতের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তৃতীয়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা সাধারণ অঙ্ক যেমন দুই অঙ্কের বিয়োগ বা সংখ্যা গুনতেও পারে না তারা। এএসইআর জানাচ্ছে, অঙ্কটা একেবারেই খারাপ সরকারি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের। পঞ্চম শ্রেণীরও অধিকাংশ পড়ুয়া ঠিকমতো গুনতে জানে না। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারি স্কুলের পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর অধিকাংশ পড়ুয়ারাই সাধারণ লেখা, বর্ণ, বাক্য এমনকী সাধারণ অনুচ্ছেদও ঠিকমতো পড়তে পারে না। দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠ্যবই পরতে তাদের সমস্যা হয়। এএসইআর রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের দপ্তরে পাঠাবে বলে জানিয়েছে।