Home আপডেট বিএনপি নির্বাচনে? পিছোতে পারে বাংলাদেশের ভোট

বিএনপি নির্বাচনে? পিছোতে পারে বাংলাদেশের ভোট

0
বিএনপি নির্বাচনে? পিছোতে পারে বাংলাদেশের ভোট

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ ডিসেম্বর ভোট হওয়ার কথ বাংলাদেশে। সেদিনই ফল ঘোষণা। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রবিবারের মধ্যে জানানোর কথা ছিল কারা কারা জোটবদ্ধ হয়ে লড়বে। বিএনপি জোটবদ্ধ ভাবে লড়াই করার কথাও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে। তাদের প্রতীক ধানের শিস নিয়ে ৮টি দল লড়বে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপি–‌র সিদ্ধান্ত ঘোষণায় নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে। শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগের জোটের বিরুদ্ধে এবার লড়াই খালেদার বিএনপি–র। দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে খালেদা জেলে থাকায় তিনি সম্ভবত ভোটে লড়তে পারবেন না। বিএনপি ছাড়া অন্য দলগুলি হল‌ কল্যাণ পার্টি, লিবারাল ডেমোক্র‌্যাটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্ট (জাগপা), বাংলাদেশ মুসলিম লিগ ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। আওয়ামি লিগও জোট করে লড়বে। জোটে কারা থাকবে, আলোচনা শুরু হয়েছে। বাম দলগুলো ছাড়াও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেন মহম্মদ এরশাদও শেখ হাসিনার জোটে থাকতে পারে। এরশাদ আগেই জানিয়েছিলেন, বিএনপি ভোটে লড়লে তাঁর দল আওয়ামি লিগের সঙ্গে জোট গড়ে ভোটে লড়বে।
তবে বিএনপি ভোটের দিনক্ষণ এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছে। ভোট পিছোনো হলে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নির্বাচন কমিশন খতিয়ে দেখছে ভোটের দিনক্ষণ বদলের বিষয়টি। সিদ্ধান্ত নেবে কাল, সোমবার।
২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। এবার দীর্ঘ টালবাহানার পর নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিল। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী জোট ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের লিখিত বিবৃতি পড়ে বিএনপি–র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত খুবই কঠিন। কিন্তু ভীষণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সে–‌দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্বাচন পিছোনো হবে কি না, সে–‌বিষয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন৷