“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥
যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥”
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥
যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥”
আহা, এই ছড়া কাটলেই বোনের মন আনন্দে ভরে ওঠে। আর আনন্দ হবেই না বা কেন বলুন তো? এ যে ভাইয়ের সাথে বোনের সংযোগ। কালীপূজো মানেই মনটা টান টান উত্তেজনায় ভরে ওঠে আর বলে ওঠে, এবার ভাইফোঁটা। কারণ কিছু দেওয়া নয়, পাওয়াও নয়, তবে ফোঁটা দিয়ে শুভ কামনা করা। কিন্তু, একবার ভাবুন তো যে, ফোঁটা ছাড়া কি শুভ কামনা চাওয়া যায় না? ভাইয়ের জন্য তো সকলসময়েই চাওয়া “ভালো থাকিস ভাই আমার “।কি ঠিক বলছি তো? তবে এখন নিশ্চয় কপালে ভাঁজ পড়েছে সবার, যে অনেক গল্পই তো শুনেছি, পুরাণ কি বলে, বলি তবে? আগে বিবিধ নামের উল্লেখ বলি, একটু পরিচিতি তারপর গল্প।
পৌরানিক দৃষ্টিতে ভাইফোঁটা……
কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। পাঁজি মতে শুক্লাপক্ষের প্রথম তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়।কথিত আছে যে, মৃত্যুর দেবতা যম নাকি তাঁর বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নেন। ভাবুন তবে মৃত্যুর দেবতাও এই উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। তাই একে যমদ্বিতীয়াও বলা হয়। কিন্তু আরো গল্প আছে, মনে হতে পারে কি সেই প্রাচীন মত। নরকাসুরকে বধ ফিরে আসতেই তাঁর বোন সুভদ্রা তাঁকে ফোঁটা দিয়ে মিষ্টি খাওয়ান। এখন নিশ্চয় মনে হচ্ছে বিষয়টা কি? কেনটি সত্যি? কিন্তু আমি বলব সবটাই কথিত কথা, আর পুরাণ ঘেঁষা ইতিহাস, যা প্রচলিত মত হিসাবে খ্যাত।
কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। পাঁজি মতে শুক্লাপক্ষের প্রথম তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়।কথিত আছে যে, মৃত্যুর দেবতা যম নাকি তাঁর বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নেন। ভাবুন তবে মৃত্যুর দেবতাও এই উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। তাই একে যমদ্বিতীয়াও বলা হয়। কিন্তু আরো গল্প আছে, মনে হতে পারে কি সেই প্রাচীন মত। নরকাসুরকে বধ ফিরে আসতেই তাঁর বোন সুভদ্রা তাঁকে ফোঁটা দিয়ে মিষ্টি খাওয়ান। এখন নিশ্চয় মনে হচ্ছে বিষয়টা কি? কেনটি সত্যি? কিন্তু আমি বলব সবটাই কথিত কথা, আর পুরাণ ঘেঁষা ইতিহাস, যা প্রচলিত মত হিসাবে খ্যাত।
ভাইফোঁটার বিভিন্ন নাম……
উত্তর ভারতে এই উৎসব “ভাইদুজ “ নামে পরিচিত। এদিকে, মহারাষ্ট্র, গোয়া ও কর্ণাটকে ভাইফোঁটা “ভাইবিজ” বলে। এতো গেল সমতলে ভাইফোঁটার বিভিন্ন নামাকরণ। এবার আসুন জেনে নি পার্বত্য অঞ্চলে এই দিনটিকে কি বলে। নেপাল ও পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসবকে “ভাইটিকা “ বলা হয়।
ভাইফোঁটার বিধি……
আচ্ছা, ভাইফোঁটা দেবো কিন্তু যথাযথ নিয়ম জানব না এমন আবার হয় নাকি? কি কি লাগে একটু দেখে নি আসুন।
দই, চন্দন, ধান, দুর্বা, শঙ্খ, প্রদী। দই দিনে চন্দন কে নিয়ে, কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে দিদি ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেবে। আর সেটা তিনবার করবে। ফোঁটা দেওয়া শেষ হলে ভাইয়ের মাথায় দুর্বা, ধান দিয়ে আশীর্বাদ করবে। এইখানেই প্রশ্ন, আচ্ছা যদি সে, বোন হয় তবে কি করবে? আরে চিন্তা কিসের এবার ভাই যখন বড়ো, তখন বোন দাদাকে প্রণাম করবে আর দাদা তার মাথায় ধান ও দুর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করবে। কি এবার নিশ্চয় নিশ্চিন্ত হওয়া গেলো।
তবে একটা কথা বলে রাখি উলুধ্বনি আর শঙ্খ বাজাতে কেউ ভুলবেন না। আর একটা কথা বলি, উপোস করে ফোঁটা দিচ্ছি তাই উপহার নিতে ভুলবেন না কেউ। আরে এটাই তো মজা – উপহার যত ছোট্ট হোক সেটা উপহার তো, তাতেই হবে। আর দিদিরা উপহার দিলে ভাইরা নিতে ভুলবেন না। এই তো সুযোগ আনন্দ, হিল্লোলে আসুন মাতিয়ে রাখি ” শুভ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া “।