বন্যার পর বিধ্বস্ত অবস্থা কেরলের৷ সেই অবস্থা কীভাবে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব তা জানতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্টেট কাউন্সিল ফর সায়েন্স এবং টেকনোলজি এন্ড এনভায়রনমেন্টকে নির্দেশ দেয় সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করে স্টেট কাউন্সিল ফর সায়েন্স৷ সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁরা জানিয়েছেন, ভয়াবহ বন্যার পর রাজ্যের সব নদীগুলি উপচে পড়েছিল৷ বন্যা পরিস্থিতি শেষ হতেই পেরিয়ার, পাম্পা, কাবানি নদীর জল অস্বাভাবিকহারে কমতে শুরু করেছে৷ শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে কুয়োর জলও৷ মাটির নিচের জলস্তরও নেমে গিয়েছে অনেকটা৷ এই ঘটনাগুলি সমীক্ষাকারীদের ভাবিয়ে তুলেছে৷ কেননা ঘটনাগুলি খুবই অস্বাভাবিক। এরই মধ্যে গরমও পড়তে শুরু করেছে। যেটাও অস্বাভাবিকভাবে বেশি।
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বন্যার পর ওয়ানন্দ জেলার মাটির সব উপাদান বন্যার জলে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে৷ তার জেরে মৃত্তিকা গঠনে পরিবর্তন এসেছে৷ কৃষকরা জানিয়েছে, সেই কারণে মাটি শুকিয়ে যাচ্ছে৷ ফলস্বরূপ জল টেনে নিচ্ছে৷ যার জেরে রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তে খরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কৃষি বিশেষজ্ঞরা৷ বন্যার পর যে প্রাকৃতিক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে রাজ্য জুড়ে সেই খবর ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার জানতে পেরেছে৷ তাই স্টেট কাউন্সিল ফর সায়েন্সকে দায়িত্ব দেন সমস্যার উৎস ও সেখান থেকে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার৷ রাজ্যের একাংশে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে কেরল সরকার। গরমের পারদ এমন চড়েছে যে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। অথচ কিছুদিন আগেও জলের নীচে চলে গিয়েছিল গোটা রাজ্য। রাজ্য সরকার এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ব্যাখা খোঁজার জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেছেন।