Home ব্লগবাজি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় তথ্যপ্রযুক্তি ~ সুপ্রকাশ দে

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় তথ্যপ্রযুক্তি ~ সুপ্রকাশ দে

0
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় তথ্যপ্রযুক্তি  ~  সুপ্রকাশ দে

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় তথ্যপ্রযুক্তি

সুপ্রকাশ দে

শিক্ষা

প্রযুক্তির অভাবনীয় বিকাশের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বদলে যাচ্ছে পৃথিবী । চার দেওয়ালে বন্দী শিক্ষাব্যবস্থাও আস্তে আস্তে বিলুপ্তির পথে । শিক্ষা মানেই এখন বৈশ্বিক ভাবনা, বৈশ্বিক যোগাযোগ । বর্তমান প্রজন্মের কাছে দিনের দিন জনপ্রিয় হচ্ছে পড়াশোনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার । টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণের বিষয়টি নিয়েই গড়ে উঠেছে বিজ্ঞানের পৃথক শাখা যাকে ‘এডুকেশন টেকনোলজি’ বলা হয়, যা বর্তমানে কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা ।

ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থাকে বলা হয় ‘ই-লার্নিং’ বা ‘এম-লার্নিং’, যা এই ব্যবস্থার একটি অঙ্গ । ই-লার্নিং ব্যবস্থা পুরোটাই দাঁড়িয়ে আছে ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে । এখনকার দিনে আর কম্পিউটারও লাগে না যদি হাতে থাকে একটি স্মার্টফোন । ‘ই-লার্নিং’ হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো বিষয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা, যাতে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে বা যে কোনো জায়গায় যে কোনো প্রান্ত থেকে পড়তে বা শিখতে পারে । এই ব্যবস্থায় পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ বিনামূল্যে বা নির্দিষ্ট কোর্স ফি দিয়ে কোনো বিষয়ের উপর পড়াশোনা করতে পারে । বিশ্বের বেশ কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় এই পদ্ধতিতে ডিগ্রী প্রদানও করে ।

ই-লার্নিং এর ওয়েবসাইট গুলিতে অনেক ভিডিও লেকচার ও কোর্সওয়্যার আপলোড করা থাকে । এর সাথে থাকে রেফারেন্স বইয়ের নামের তালিকা, আলোচোনার ফোরাম, ইত্যাদি । বিষয়ভিত্তিক অডিও ও ভিডিও ক্লিপিংসের মাধ্যমে এবং টু-ডি বা থ্রি-ডি অ্যানিমেশনের ‘ল্যাবরেটরি ডেমনস্ট্রেশনের’ মাধ্যমে কোনো একটি বিষয়ে শিক্ষার্থীকে বোঝানো হয় । বিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে ভার্চুয়াল গবেষণাগারে কম্পিউটার অ্যানিমেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা-নীরিক্ষার সুযোগও থাকে । কোনো বিষয়ে কোনো ছাত্র-ছাত্রীর মনে কোনো প্রশ্ন জাগলে বা দ্বিধা-দ্বন্দ থাকলে, ই-মেল করে প্রশ্ন পাঠিয়ে উত্তর জেনে নেওয়া যায় । এর সাথে যুক্ত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার এর মত জনপ্রিয় মাধ্যম । চ্যাটিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজের দ্বিধা-দ্বন্দ দূর করে নিতে পারে । ভিডিও কনফারেন্সিং এর সাহায্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী আলাদা আলাদা জায়গায় থেকেও সরাসরি কথা বলে নিতে পারে ।

ই-লার্নিং এর কাঠামোটা হলো ‘লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’, সংক্ষেপে ‘এলএমএস’ । ‘কম্পিউটার বেসড টিউটরিয়াল’ বা ‘সিবিটি’ বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ভীষণভাবে জনপ্রিয় হচ্ছে । এই ব্যবস্থায় কোনো শিক্ষার্থী কম্পিউটারের সামনে বসে কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে পারে । কম্পিউটার স্ক্রিনে পর পর অডিও ভিসুয়াল ক্লিপিংস আসতে থাকে, বা অ্যানিমেশনের সাথে ব্যাকগ্রাউন্ডে ভয়েস ওভারের সাহায্যে কোনো বিষয়ে বোঝানো হয় । শিক্ষার্থী কতটা শিখলো তা পরীক্ষা করার জন্য ইন্টারাক্টিভ প্রশ্নোত্তর পর্বের ব্যবস্থা থাকে ।

সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে স্মার্টফোন ভিত্তিক অ্যাপস । ধারণা করা হচ্ছে, আগামীদিনে শিক্ষাক্ষেত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য করবে স্মার্টফোন ভিত্তিক অ্যাপসের ব্যবহার ।

এই প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা একদিকে যেমন সহজলভ্য, অন্যদিকে সাশ্রয়ী । সম্পূর্ণ ফ্রি ই-লার্নিং কোর্স যেমন আছে, তেমনি বাণিজ্যিক ই-লার্নিং কোর্সও আছে । আবার এমন অনেক কোর্স আছে যেখানে শিখতে টাকা লাগে না, কিন্তু সার্টিফিকেট নিতে অল্প কিছু খরচ লাগে ।

ই লার্নিং এর একটি মজার ব্যাপার হলো এই যে, ক্লাস করার জন্য ক্লাসরুমে যেতে হবে না । ইচ্ছে মত যখন খুশি বাড়িতে বসেই বুঝে নিচ্ছে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের কোনো জটিল বর্ণণা, তাও আবার পৃথিবীখ্যাত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা কোনো অধ্যাপকের কাছ থেকে ।

ই-লার্নিং এর কোর্সগুলির আরেকটা সুবিধা হলো এরা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলে । শিক্ষা বা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রতিদিনই নিত্যনতুন পরিবর্তন ঘটে চলেছে, আর তার ছোঁয়া পাওয়া যায় ই-লার্নিং এ । যে বিষয় শিখছি তার একেবারে নতুন থেকে নতুনতর বিভিন্ন দিকের ব্যাপারে সন্ধান পাওয়া যায় ই-লার্নিং এর মাধ্যমে । আজকাল বিদেশের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলো নিজেদের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্যও ই-লার্নিং ব্যবহার করে থাকে ।

স্কুল বলতেই সারি সারি ক্লাসরুম, ব্ল্যাকবোর্ড, চক, ডাস্টার, রুম ভর্তি ছাত্র-ছাত্রী আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে । কিন্তু সমগ্র পৃথিবীজুড়ে প্রযুক্তির বিকাশ ছুঁয়ে গেছে শিক্ষাব্যবস্থাকে । তাই ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে চিরপরিচিত রূপের অনেকটা । ভবিষ্যতে এমন একটি ক্লাসরুম আমরা কল্পনা করতেই পারি যেখানে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ভারী ভারী বইয়ের ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাবে না । বই খাতার বদলে একটা করে পাতলা ই-প্যাড নিয়ে স্কুলে যাবে । যার মধ্যে সব বিষয়ের ই-বুক, পিডিএফ, স্লাইড-শো, ইত্যাদি স্টোর করা থাকবে । যখন যে বিষয় পড়ানো হবে তখন সেই বিষয়ের ই-বুক খুলে নেবে । চক ডাস্টারের বোর্ডের জায়গায় বড় ইলেকট্রনিক স্মার্ট-বোর্ডে পড়া বোঝানো হবে । আজকাল তো অনেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রোজেক্টরের সাহায্যে পড়া বোঝানো হয় । বোর্ড ওয়ার্কের প্রতিটি পাতা ছাত্রছাত্রীরা ই-প্যাডের ব্লু-টুথ অন করে স্যারের কাছ থেকে নিয়ে নেবে । ক্লাসে যা পড়ানো হলো, তা হয়তো রেকর্ড করে রাখা হল । কোনো ছাত্র হয়তো অসুস্থতার কারণে একদিন স্কুলে আসতে পারলো না । ওই দিন স্কুলে কোন স্যার কি পড়ালেন তা পরের দিন পেন-ড্রাইভে সংগ্রহ করে নিয়ে সে বাড়িতে দেখে নিলো । এরকম ‘স্মার্ট’ ক্লাসরুম হয়তো আমরা আগামীদিনে দেখবো । ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহারে পড়াশোনার জগৎ আরো আকর্ষণীয় ও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে আগামীদিনে ।

 

স্বাস্থ্য

টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দূর থেকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করার পোষাকি নাম ‘টেলি-মেডিসিন’ । ভারত সহ পৃথিবীর বেশীরভাগ উন্নয়নশীল দেশে গ্রামে চিকিৎসকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত । গ্রামের মানুষদের একটা বড় অংশ আজও চিকিৎসার প্রয়োজনে হাতুড়েদের উপর নির্ভরশীল । এছাড়া স্পেশালাইজড ডাক্তারদের পরামর্শও মেলে না । এই প্রেক্ষাপটে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে । ধরা যাক, কোনো একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে বা হেলথ কিয়স্কে নির্দিষ্ট সুবিধাযুক্ত কিছু যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্স আছে । কোনো রোগী সেখানে উপস্থিত হলেন । স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীর ব্লাড প্রেশার মাপলেন, পালস রেট দেখা হল, ইসিজি করা হল । ওই কিয়স্কের কম্পিউটারে একটি বিশেষ ধরনের ‘অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার’ ইনস্টল করা আছে, বা স্বাস্থ্যকর্মীর স্মার্টফোনে একটি বিশেষ ধরণের অ্যাপস ইনস্টল করা আছে । সেখানে রোগের নাম, বয়স, ব্লাড প্রেশার, পালস রেট, ওজন, সমস্যার বিবরণ, ইসিজি রিপোর্টের স্ক্যান কপি, পুরনো কোনো রোগ থাকলে তার ইতিহাস, ইত্যাদি তথ্য তুলে দেওয়া হল । সেই সব তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক দূরের কোনো ডাক্তার বাবুর কাছে পৌঁছলো । ডাক্তার বাবু সেইসব বিবরণের ভিত্তিতে কিছু উপদেশ দিলেন, আরো কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে বললেন এবং কিছু ওষুধ দিলেন । সেই পরামর্শ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওই কিয়স্কে পৌঁছলো । ওখানকার স্বাস্থ্যকর্মী প্রেসক্রিপশনের প্রিন্ট আউট রোগীর হাতে ধরিয়ে দিলেন । প্রয়োজন পড়লে রোগী হয়তো ওয়েব-ক্যামেরার সামনে বসে ভিডিও-কনফারেন্সিং ব্যবস্থার মাধ্যমে দূরের ওই ডাক্তারবাবুর সাথে কথা বলে নিলেন ।

ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড সিস্টেম – এই ব্যবস্থায় কোনো একজন রোগীর যাবতীয় তথ্য যেমন- কেস হিস্ট্রী, কি কি ওষুধ বর্তমানে খান, কোনো অ্যালার্জি আছে কিনা, পরীক্ষা-নীরিক্ষার রিপোর্ট, সিটি স্ক্যান ও আলট্রাসাউন্ডের ছবি, ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য কম্পিউটারের তথ্যভান্ডারে মজুত থাকবে । পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কোনো সময় ওই তথ্য অ্যাকসেস করা যাবে । আপনি হয়তো কোলকাতার কোনো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন । পরবর্তীকালে বছর খানেক পর হয়তো চিকিৎসার প্রয়োজনে আপনি চেন্নাইয়ের কোনো হাসপাতালে ভর্তি হলেন । ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওখানকার ডাক্তারবাবুরা আপনার চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওই তথ্যভান্ডার থেকে তৎক্ষণাৎ পেয়ে গেলেন ।

রিমোট পেশেন্ট মনিটরিং সিস্টেম- রোগীর শরীরে সেন্সর বা মোবাইল ডিভাইস লাগানো থাকবে যার সাহায্যে রোগীর শরীরের কিছু নির্দিষ্ট প্যারামিটারের প্রতি মূহুর্তের তথ্য ইন্টানেটের মাধ্যমে দূরের কোনো হেলথকেয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার বা হাসপাতালে পৌঁছে যাবে । রোগী যেখানেই থাকুক না কেন, দূর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর নজরদারি চালিয়ে প্রয়োজনভিত্তিক ব্যবস্থা নিতে পারবে । এতে ওয়ার্নিং সিস্টেমেরও ব্যবস্থা থাকবে । ধরা যাক, হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি ছিলেন, এখন একটু সুস্থ, কিন্তু আরো কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখলে ভালো হয় । রোগীকে হাসপাতালে রাখলে প্রতিদিনের খরচও বেড়েই চলে । এই অবস্থায় রোগীকে বাড়ি নিয়ে চলে আসা হল । ‘রিমোট পেশেন্ট মনিটরিং সিস্টেমের’  মাধ্যমে দূর থেকেই রোগীর উপর হাসপাতালের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষেণ চালানো হল । বিশেষ করে হার্টের রোগী, ডায়াবিটিসের রোগী, হাঁপানির রোগী, এই সব রোগীদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা খুব কার্যকর ।

টেলি-সার্জারি – রোগী ও ডাক্তার এক জায়গায় নেই । রোগী দূরের কোনো অপারেশন থিয়েটারে টেবিলের উপর শুয়ে । তার সারা শরীরে সেন্সর লাগানো যার মাধ্যমে অপারেশন চলাকালীন তার শারীরিক অবস্থা মনিটর করা হবে । থ্রি-ডি মনিটরে চোখ রেখে ‘রোবোট সার্জিক্যাল সিস্টেমের’ মাধ্যমে ডাক্তারবাবু দূর থেকে অপারেশন পরিচালনা করছেন । ‘ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ এজেন্সি’-র অধীনে আমেরিকার সৈন্যবাহিনীতে এই ধরণের ব্যবস্থা প্রচলনের ভাবনা শুরু হয়েছিলো আহত সৈন্যদের চিকিৎসায় যুদ্ধক্ষেত্রে দক্ষ ডাক্তারবাবুদের উপস্থিতি ছাড়াই । এছাড়া জরুরী প্রয়োজনে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে মহাকাশচারীদের অপারেশনের প্রয়োজনে নাসা-র পক্ষ থেকেও এই ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়েছে ।

ভারতবর্ষে টেলি-মেডিসিনের ক্ষেত্রটিকে আরো সমৃদ্ধ করার জন্য নানা রকম গবেষণা চলছে । ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি রিসার্চ অ্যাকাডেমি’-র আর্থিক সহায়তায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের বেশ কয়েকটি নামি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা চলছে ‘ক্লাউড এবং সেন্সর টেকনোলজির’ সহায়তায় ‘রিমোট হেলথ কেয়ার সার্ভিস’ বা ‘টেলি মেডিসিনের’ ক্ষেত্রটিকে আরো উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে । দেশের বেশ কিছু গ্রামে পরীক্ষামূলক ভাবে টেলি মেডিসিন ব্যবস্থা চালুও রয়েছে যার সাহায্যে ওই গ্রামের মানুষরা পরিষেবা পাচ্ছেন ।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here