
“আমরা সবাই মাইস্পেস থেকে সরে এসেছি। ফেসবুক থেকেও আমরা সরে যেতে পারি।” – অনবরত এরকম বার্তা চোখে পড়ছে আরেক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে।
It is time. #deletefacebook
— Brian Acton (@brianacton) March 20, 2018
হোয়াটসঅ্যাপের প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা ব্রায়ান অ্যাকটনের টুইট
যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ কোটিরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্যে ব্যবহার করা হয়েছিলো- এই অভিযোগ ওঠার পর #ডিলিটফেসবুক কিম্বা #বয়কটফেসবুক ট্যাগে এধরনের টুইট চোখে পড়ছে।
অভিযোগটি উঠেছে লন্ডন-ভিত্তিক ব্রিটিশ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে। অভিযোগ হলো এই প্রতিষ্ঠানটি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে ব্যবহার করা হয়েছিলো। ২০১৩ সালে তৈরি হওয়া এই ব্রিটিশ সংস্থাটিকে প্রায় দেড় কোটি ডলার অর্থ সাহায্য করেন রিপাবলিকান সমর্থক রবার্ট মের্কের। ফেসবুক তো বটেই, বিষয়টি সামনে আসায় নড়েচড়ে বসেছে ট্রাম্প প্রশাসনও। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
তা নিয়ে ঘোর বিপাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। ব্যবহারকারীদের (ইউজার) ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত করার অভিযোগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর খবরেই নড়ে গিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট। দু’দিনে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের সম্পত্তি বেহাত হয়েছে মার্ক জুকেরবার্গ তথা ফেসবুকের। মার্কিন সেনেটে রিপাবলিকাল থেকে ডেমোক্র্যাট, দু’দলই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে। বেশ কয়েক জন সেনেটর তো ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকেরবার্গকে অবিলম্বে জিজ্ঞাসাবাদের আর্জিও জানিয়েছেন। আমেরিকা তো বটেই, বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও।