‘জয় গণেশ জয় গণেশ
জয় গণেশ দেবা।
মাতা জাকি পার্বতী পিতা মহাদেবা।।
একদন্ত দয়াবন্ত চার ভূজাধারী।
মাথে সিঁন্দুর সোহে মুসে কী সবারী।।
দীনন কি লাজ রাখো শম্ভু পুত্রয়ারী।
মনোরথ কো পুরা করো
জয় বলিহারী।’
ভাদ্রমাসের শুক্লা চতুর্থীতে শুরু হয় শ্রীগণেশের পবিত্র জন্মোৎসব উদযাপন। দশ দিনের এই গণপতি উৎসব শেষ হয় শুক্লা চতুর্দশীতে। ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্দশীকে বলা হয় ‘অনন্ত চতুর্দশী’। শাস্ত্রে রয়েছে যে কোনও পুজোর আগেই গণেশ পুজো করতেই হয় ৷ মঙ্গলজনক কাজের শুরু হয় শ্রীগণেশেরই হাত দিয়ে৷ আজ গণেশ চতুর্থী ৷ গোটা দেশে আড়ম্বর সহকারে পূজিত হবেন বাপ্পা ৷ কোথাও প্রায় ১০ দিন, কোথাও ৫ দিন ধরে চলবে গণেশ পূজোর উৎসব ৷ সংসারে শ্রীবৃদ্ধি – সুখ আনতে, সিদ্ধি লাভের জন্য গণেশ পুজো অত্যন্ত জরুরী ৷ আপনাদের সবাইকে জানাই গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা। মোদকেই তুষ্ট সিদ্ধিদাতা । জন্মষ্টমীতে যেমন তালের বড়া, লক্ষ্মীপুজোয় যেমন নারকেল নাড়ু, তেমনই মোদক ছাড়া গণেশ পুজো অসম্পূর্ণ। দুরকম ভাবে মোদক তৈরি করা যায় । এক স্টিমড মোদক ও ফ্রাইড মোদক । তাই আপনাদের জন্য রইল দুরকম লোভনীয় মোদকের রেসিপি।
চকলেট মোদক
উপকরণ
- চালের গুঁড়ো – ১ কাপ
- তেল / মাখন
- নুন
পুরের জন্য
- চকলেট সিরাপ
- চকলেট চিপস
- আলমন্ড
- চিনি
প্রণালী
একটি পাত্রে জল গরম বসিয়ে দিন।
নুন ও তেল / মাখন দিয়ে ভাল করে ফুটতে দিন।
জল ফুটতে থাকলে তাতে চালের গুঁড়ো দিয়ে দিন।
সঙ্গে সঙ্গে একটি হাতার সাহায্যে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন, যাতে কোনওরকম দলা না পাকিয়ে যায়।
আপনি চাইলে চালের গুড়ো মাখার সময় তাতে চকলেট সিরাপ বা গ্রেট করা চকলেট দিয়ে মাখতে পারেন।
তাহলে মোদকের রঙ বদলাবে।
চালের গুঁড়ো একটু ঠান্ডা হলে আবারও ভাল করে হাত দিয়ে ঠেসে ঠেসে মেখে নিন।
এবার একটি পাত্রে পুরের জন্য উপকরণগুলি নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
হাতের তালুতে একটু তেল / ঘি লাগিয়ে নিন।
এবার চালের গুঁড়ো মাখা থেকে সমান আকারের ১০ টি লেচি বানিয়ে নিন।
প্রথমে লুচির আকারে লেচিগুলো বেলে নিন।
হাতের আঙুলের সাহায্যে বাটির আকারে গড়ে নিন।
এর মধ্যে একটি চামচে করে পুর ভরুন।
তারপর পিঠের আকারে বা মোমোর মতো করে গড়ে নিন।
ছোট ছোট প্লিট দিন, দিয়ে মাথার কাছে একগোছা করে ধরুন।
মাথাটা টিপে দিন।
যাতে পুটুলির মতো আকার হয়।
স্টিমারে ১২ মিনিটের জন্য স্টিম করে নিন।
তৈরি বাপ্পার ভোগের জন্য চকলেট মোদক।
ময়দা ও সুজির মদক
উপকরণ
- ১ কাপ ময়দা
- ১ কাপ সুজি
- ঘি
- ১টি গোটা নারকেল কোড়ানো
- ১/২ কাপ চিনি
- ড্রাই ফ্রুটস
- এলাচ গুঁড়ো
- ১ কাপ ছোটো ছোটো টুকরো করা খেজুর
- ২ চামচ আখরোট গুঁড়ো
- কনডেন্সড মিল্ক
প্রণালী
একটি পাত্রে ময়দা ও সুজি মিশিয়ে নিন।
এবার তাতে ঘি দিয়ে একে একে সব উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
কিছুক্ষণ মাখার পর বাটিতে দুধ মেশান।
ভালোভাবে উপকরণগুলো মাখা হয়ে গেলে বাটিটি ঘণ্টাখানেকের জন্য ঢেকে রেখে দিন।
একটি পাত্রে নারকেল কোড়া ও চিনি মিশিয়ে মিডিয়াম আঁচে রান্না করুন ।
ঠিক যেভাবে নারকেলের নাড়ু বানান ।
কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে এলাচ গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন ।
ড্রাই ফ্রুটস গুলো ছোট ছোট করে কেটে মিশিয়ে নিন ।
এবার হাতে ঘি লাগান।
ময়দার ডো থেকে ছোটো ছোটো বল গড়ে নিন ।
সেগুলোকেই লুচির আকারে গড়ে নিন।
এবার তাতে নারকেল-ড্রাই ফ্রুটসের মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে লুচির মুখ বন্ধ করে দিন।
একটি কড়াইতে তেল গরম করুন ।
মদক গুলি গরম তেলে লালচে করে ভেজে তুলে নিন।
তৈরি বাপ্পার প্রিয় ভোগ ময়দা ও সুজির মোদক ।