Home পাঁচমিশালি হনুমানজী কি আজও আছেন!!!….

হনুমানজী কি আজও আছেন!!!….

হনুমানজী কি আজও আছেন!!!….

প্রশ্ন যদি উত্থাপন করি তবে ভক্তসমুদয় বলবেন নিশ্চয় হনুমানজী বেঁচে আছেন। শত ভক্তের অলিন্দে প্রভুর শ্রীপাদ তো বেঁচে থাকবেই। তাই তো তিনি অনেকের ইষ্ট। কিন্তু ঈশ্বরের নিরিখে প্রামাণ্য দলিল কি লাগে, কেন নয়! শত শত ভক্তের সাথে শত শত মন্দিরে মহাবীরের পূজা তাকে আস্বীকার করলে তো পুরাণ, রামায়ণ কেও অস্বীকার করতে হয়। তাই আধ্যাত্মবাদ বোধের করণে মহাবীরের পাদস্পর্শ করেই হনুমান চালিশা পাঠ। আজ মঙ্গলবার তাই লাল জবায় তাঁর পূজা অবশ্যম্ভাবী। আর সেই পূজা কে আকর করে ভক্ত কুলের আস্তায় নিবেদন রেখেই ব্রহ্মজ্ঞানী মহাবীরের অমরত্ব স্বপক্ষে যুক্তি নিম্নরূপ :

  •  ভক্তদের যুক্তি হলো রামায়ণে রামের পরলোক ব্যক্ত হয়েছে, কিন্তু রামভক্ত মহাবীরের মৃত্যু কোথাও ব্যক্ত নয়।
  • ভক্তদের মতে হিন্দু মাইথোলজি বলছি হনুমানজী অমর এবং পরম ব্রহ্মজ্ঞ।
  •  রামায়ণের ঘটনা ত্রেতা যুগের আর মহাভারত দাপর যুগে, আবার কলিযুগেও হনুমানজীর বর্ণনা পাওয়া যায়।
  • ১৬০০ তে তিনি তুলসীদাস কে রামায়ম লিখতে অনুমতি দেন। স্বয়িং তুলিসীদাস জীবনের অধিকাংশ সময় বারাণসীতে কাটান। বারাণসীর তীরে তুলসীঘাট তাঁর নামেই তৈরি।
  •  হনুমানজীর হনুমান চালিশা নাকি তাঁরই লেখা।
  • বারাণসীর মন্দিরের কাছেই তিনি সঙ্কটমোচন মন্দির তৈরি করেন। আর এইখানেই তাঁর হনুমানজীর সাথে সাক্ষাৎ হয়।
  • আসামে এক হর পার্বতীর মন্দিরে এক সাধক হনুমানজীর দেখা পান। হনুমানজী নিজে তাঁকে বগলা মুখী উপাচার শিখিয়েছিলেন।পরে বীরভূমে রুদ্রচণ্ডী মন্দিরে গুরু মাধবানন্দ অবধূতের প্রাপ্ত ডাইরে থেকে পাওয়া যায়। আসলে মাধবানন্দ অবধূতই সেই সাধক যিনি আসামের এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন।

হনুমানজীর পূজা মাঙ্গলিক উপাচারের বিষয়ী। শনিদেব রুষ্ট হলে মানুষ হনুমানজীর পূজায় ব্রতী হন। শনি সাড়ে সাতি রুখতে হনুমানজীর পাঠ বেশ শান্তি দায়ক। মহাবীরের অস্তিত্ব প্রশ্ন যাই হোক ভক্তের হৃদয়ে তিনি চিরদিন আসীন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here