
২০১৭ সাল থেকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে সতর্ক করা সত্ত্বেও আমেরিকার কথাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না ওই দেশের সরকার। এছাড়াও আফগানিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী আল–কায়দাও পাকিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে তাদের অপরেশন চালিয়ে চলেছে। সম্প্রতি আমেরিকার অপরাধ দমন শাখা তাদের প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ভারত–আমেরিকা যৌথ উদ্যোগে জঙ্গি দমনের হার আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের বিবিধ হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে আমেরিকা ও ভারত। ওই বছরের জুন মাসেই বিভিন্ন সন্ত্রাস গোষ্ঠীগুলিকে খতম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের বৈঠকে হিজবুল মুজাহিদিন এবং তার শীর্ষ নেতা মহম্মদ ইউসুফ শাহ ওরফে সৈয়দ সালাহুদ্দিনকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেওয়া হয়।
বুধবার আমেরিকা জানিয়েছে, জইশ–ই–মহম্মদ এবং লস্কর–ই–তৈবা এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠী পাকিস্তানের মাটিতে আশ্রয় পেয়ে ক্রমাগত তাদের ক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে। অথচ এই রিপোর্টে এটাও জানা গিয়েছে যে, সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে ভারত এগিয়ে রয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ভারতের জম্মু–কাশ্মীর, উত্তর–পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি এবং মধ্য ভারতের কিছু অংশে মাওবাদী–জঙ্গিরা সক্রিয় থেকেছে। কিন্তু ভারত সেই সংগঠনগুলিকে দমন করতে নিরন্তর চাপ সৃষ্টি করেছে। এমনকী দেশের অভ্যন্তরীণ যে সব সন্ত্রাস সংগঠন জন্ম নিয়েছিল, তাদেরকেও দমন করে বিচার বিভাগের আওতায় আনতে সফল হয়েছে ভারত। আমেরিকা সহ সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছে দিল্লি।