Home বিনোদন তীব্র জলসংকট, বন্ধ শ্যুটিংয়ে বৃষ্টির দৃশ্যের চিত্রায়ণ

তীব্র জলসংকট, বন্ধ শ্যুটিংয়ে বৃষ্টির দৃশ্যের চিত্রায়ণ

তীব্র জলসংকট, বন্ধ শ্যুটিংয়ে বৃষ্টির দৃশ্যের চিত্রায়ণ

দেশজুড়ে জলসংকটের আশঙ্কা।  আর সে কারণে ছবিতে বৃষ্টির দৃশ্য একেবারেই না রাখার উদ্যোগ নিলেন নির্মাতারা। তামিল পরিচালক জি ধনঞ্জয়ন বলেন, “বৃষ্টির দৃশ্য এখন এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেশি পরিমাণে জল অপচয় অপরাধের সামিল। এব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।”

কিন্তু কোনও ছবিতে বৃষ্টির দৃশ্য যদি অপরিহার্য হয়? সেক্ষেত্রে একটি গোটা বাড়ির দৃশ্য শ্যুট করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র একটি জানলার দৃশ্যপটে দেখানো হবে বৃষ্টি। এর জন্য মাত্র এক বালতি জলই দরকার। ফলে বন্ধ হবে জলের অপচয়।

‘ব্লু ওশন ফিল্ম ও টেলিভিশন অ্যাকাডেমি’র পরিচালক বলেন, “বৃষ্টির দৃশ্যের মাধ্যমে ছবিতে আমেজ আসে।” কিন্তু জলসংকটের অনেক আগে থেকেই বৃষ্টির দৃশ্যের জন্য পর্যাপ্ত জলের ঘাটতি হয়েছে। জলের ট্যাঙ্কারগুলি যথেষ্ট জলের যোগান দিতে পারে না। সে কারণে অনেক প্রযোজকরাই হায়দরাবাদের মতো শহরে ছবির শ্যুটিং করেন। অজিত অভিনীত ‘বিশ্বসম’ এবং রজনীকান্তের ‘কালা’ ছবির বৃষ্টির দৃশ্য শ্যুট হয়েছিল হায়দরাবাদ ও মুম্বইয়ে।

এদিন আকাশবাণীতে ‘মন কি বাত’ শীর্ষক মাসিক অনুষ্ঠানে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জল সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য ৩টি পরামর্শ দেন দেশবাসীকে। প্রথম, সচেতনতা। ক্রীড়া, বিনোদন, শিক্ষা জগতের মানুষ সংস্থার কাছে তাঁর আবেদন, জল সংরক্ষণের জন্য প্রচার চালাতে তাঁরা মুখ্য ভূমিকা নিক। দ্বিতীয়, জল সংরক্ষণের প্রথাগত জ্ঞানকে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। তৃতীয়, কোনও ব্যক্তি বা অলাভজনক সংস্থা যদি এ বিষয়ে কাজ করে থাকে, তাদের কর্মকাণ্ড আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে।

বলে রাখি, নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে, আগামী ১৫ মাসের মধ্যে চেন্নাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ-সহ ২১ একটি শহরে জলের অভাব দেখা দিতে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে থাকবে না খাওয়ার মতো পানীয় জল।