Home আপডেট Jyotipriya Mallick Diary mystery: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়, সামনে একের পর এক ডায়েরি, উঠে আসছে ‘বালুর কীর্তি’

Jyotipriya Mallick Diary mystery: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়, সামনে একের পর এক ডায়েরি, উঠে আসছে ‘বালুর কীর্তি’

Jyotipriya Mallick Diary mystery: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়, সামনে একের পর এক ডায়েরি, উঠে আসছে ‘বালুর কীর্তি’

[ad_1]

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক ডায়েরি সামনে আসছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এই মামলায় সামনে এসেছিল ‘মেরুন ডায়েরি’। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসের থেকে মিলেছিল সেই ডায়েরি। সেই ডায়েরিতে নাকি ছিল এই দুর্নীতির আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত অনেক তথ্য। এদিকে ইডির দাবি, অভিজিতের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে আরও তিনটি ডায়েরি। সেই সব ডায়েরিতেও আছে প্রচুর তথ্য। অভিজিৎ আজ আবার দাবি করেন, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশেই তাঁর মা এবং স্ত্রীকে সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল। এমনকী এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই ডায়েরিতেই মন্ত্রীকে পাঠানো ব্যবসায়ীর মাসিক টাকার হিসেব মিলেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বালু সহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: চুপিসারে জারি নির্দেশিকা, কালীপুজোয় বিনামূল্যে মিলবে ১টি গ্যাস সিলিন্ডার)

ইডির থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একটি ডায়েরি মিলেছে। সেই ব্যবসায়ী আবার মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, সেই ডায়েরিতে দুর্নীতির চাল, আটা কেনার হিসেব রয়েছে। কত টাকা দিয়ে সেই সব খাদ্যদ্রব্য কেনা হত, তা উল্লেখ করা রেছে। কোন কোন ব্যবসায়ীকে আবার সেই দুর্নীতির চাল, আটা বিক্রি করা হয়েছে, তাও লেখা রয়েছে সেই ডায়েরিতে। একাধিক প্যাকেজিং সংস্থার নাম রয়েছে সেই তালিকায়। জেরার মুখে সেই ব্যবসায়ী নাকি মেনে নিয়েছেন যে এক দশক ধরে বেআইনি ভাবে তিনি চাল, আটা কিনে তা বিক্রি করতেন। রেশন দ্রব্য কেনা বেচার কোনও লাইসেন্সও তার নেই। এদিকে এই ডায়েরিতে যাদের নাম রয়েছে, তাদের নিয়ে তদন্তে নেমেছ ইডি। এছাড়া সেই ডায়েরিতে ‘মাসোহারা’ দেওয়ার হিসাব রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অবশ্য, ওই ডায়েরিতে লেনদেনের যে হিসাব রয়েছে, তাতে কোনও স্বাক্ষর নেই। তাই এই ডায়েরিকে প্রমাণ হিসেবে ধরা যাবে না। তবে তদন্তের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে এই সব ডায়েরির পাতা।

এদিকে ইডি সূত্রের দাবি, ১০ জনেরও বেশি ব্যক্তির নাম রয়েছে ওই ডায়েরিতে। জানা গিয়েছে, কেন তাঁরা মন্ত্রীকে নগদ টাকা পাঠাতেন এবং সেই টাকার উৎস কী, ইডি তা জানতে চাইবে তাঁদের কাছে। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির দাবি, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ১২ হাজারেরও বেশি ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, রেশন দোকানের মালিকের নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছিল। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই এক দশকে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ইডির। আর তদন্তকারীরা বলছেন, এই গোটা নেটওয়ার্কের মাস্টারমাইন্ড নাকি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই।

[ad_2]

খবরটি “খবর ২৪ ঘন্টা” অ্যাপে পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here