কবিতা শৈলেন রায় মনে হলো কাকভোরে সন্ধ্যাপ্রদীপ হাতে বাঁশ- ঝাঁড়ের অপর পারে চলে এলে তুমি। আমি লেখার টেবিল থেকে চারপাশ তন্ন তন্ন করে পেলাম না কোথাও, উদাস এ মন তোমাকে খুঁজতে থাকে। মাথাটা যখন প্রচন্ড ভার, তোমার স্পর্শ সুখে বন্ধ হয়ে আসে চোখ, ছুটে ছুটে ক্লান্ত হয়ে দুজনেই ঘুমিয়ে পড়ি পোয়াতি ধানখেতের ঢেউয়ের মাথায়- সারাটা দুপুর। স্বপ্নে পাঁচালি কখনও দুর্বোধ্য তুমি, কখনও সহজ,তোমার দেহের ভাঁজে অমিত্রাক্ষরে পয়ারের ছন্দ খুঁজি সারা অঙ্গে কত অলঙ্কার! তাই তো আমার শির স্পর্শ করতে চায় শারদীয়া মেঘ। সেই মেঘ যদি জল ভারী হয়ে আসে ব্যাঙ্গ হাস্যরসে তুমি পড় খসে খসে। তোমাকে দেখে দেখ ছড়া কাটে সবে বড় অভাজন মোরা বিচিত্র রসের অভাবে। যে যা বলে বলুক, ওগো আধুনিকা রবীন্দ্র তোমার ভালে দিয়েছিল টিকা। সেই থেকে নানা রূপে নানা সাজে তুমি লঘ-ু চটুল স্বভাব তোমার, সেটা আমি শুধু জানি প্রয়োজনে বীর রসে বিদ্রোহিনী হও স্নেহ মায়া মমতা দিয়ে সমাজ বাঁচাও বিতর্ক, সাহিত্য- সভা কিংবা রাজনীতি সর্বত্র সমাদৃত হয় তোমার উদ্ধৃতি। তুমি সব শুরু করো, তুমি টানো ইতি অকস্মাৎ ভাঙ্গলো ঘোর মাথা তুলে দেখি, আমার টেবিলে আমি সম্পূর্ণ একাকী! তুমি ভিন্ন অসম্পূর্ণ ,সবটাই ফাঁকি কবিতা তোমায় আমি বড় ভালোবাসি।