
আর দু’তিনদিনের অপেক্ষা। তারপরই প্রাণের উৎসবে মেতে উঠবে বাঙালি। আর পুজোর শহরে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো কলকাতাকে মুড়ে ফেলা হবে নিরাপত্তার চাদরে। শহরের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, শপিং মল এবং পার্কে নজরদারি চালানো হবে। লালবাজার কন্ট্রোল রুম থেকে চালানো হবে নজরদারি। ২৩টি মেট্রো স্টেশনেও নজরদারি চালানো হবে। মেট্রোর সিসিটিভির ওপরেও নজরে রাখা হবে খোদ কন্ট্রোল রুম থেকে। পুজোর সময় শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তৎপর কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। গোটা শহরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়াররাও থাকছেন। গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও নয়া উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। গাড়ি নিয়ে বেরোলে, গাড়ি চালক, এবং আপনার নম্বর গাড়ির কাচে লিখে রাখার কথা বলা হয়েছে। ফেসবুক-টুইটারেও শহরের ট্রাফিক আপডেট দেওয়া থাকবে। কলকাতা পুলিশের বন্ধু ও উৎসব অ্যাপেও শহরবাসী নানারকম তথ্য পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
পুজোর জন্য শহরে মোতায়েন করা হবে ৮ হাজার পুলিস। থাকবে ৪০০টি পুলিস পিকেট। এছাড়া বসানো হচ্ছে ৭৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা। চতুর্থীর দিন থেকেই শহরের বড় পুজো মণ্ডপ চত্বরে পুলিশ মোতায়েন থাকছে৷ পঞ্চমী থেকে ছোটো-বড় মিলিয়ে শহরের সব পুজোয় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে লালবাজারের তরফ থেকে। কোথাও আগুন লাগলে তার মোকাবিলা করতেও প্রস্তুত কলকাতা পুলিস। দমকলের গাড়ি যাতে তাড়াতাড়ি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে, সেজন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় থাকছে ২৭টি অ্যাম্বুল্যান্স। পুজোর ভিড়ে কেউ হারিয়ে গেলে তাঁদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে লালবাজারের পক্ষ থেকে। কেউ নিখোঁজ হলে তাঁর সন্ধানের জন্য খোলা হয়েছে বিশেষ নম্বরও। সেটি হল ৯০০২৯–৯৯৯৯৯। এছাড়াও থাকছে কলকাতা পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর (১০০)।