ওয়েব ডেস্কঃ ” বমি “, কথাটা শুনলেই প্রত্যেকে ভ্রু কুঁচকে ফেলে। এবার যদি সেটা বাসে বা দূরযাত্রা কালে পাশে বসে থাকা যাত্রী হয়, যার বাসে উঠলেই বমি, ইসস! ভাবলেই কেমন যেন মুখটা হয়ে উঠে। হবে নাই বা কেন, পাশের এমন যাত্রীর পাশে বসে থাকাটা, না না অস্বস্থিকর পরিবেশ। আর তাছাড়া বমি যিনি করেন তার মুখে গন্ধ যা, তা সহযাত্রীদের সহ্য করা অসম্ভব।
আচ্ছা এবার তো জানতে ইচ্ছা করছে এর থেকে কি উপায় বলে কিছু নেই? কিছু ঘরোয়া উপায় আছে, তবে বাজারে ঔষধ তো আছেই, কিন্তু আমরা অন্য উপায় অবলম্বন করতে পারি। আমরা সবাই জানি মনটাই সব। তাইতো বাচ্ছাদের খেলনা দিয়ে মন ভুলিয়ে খাওয়ানো হয়। তাই যদি জানলা দিয়ে মুখ বার করে একটু অন্যমনস্ক হয়ে যাওয়া যায়, আর কিন্তু বমি পায় না। আর যোগাচিকিৎসায় বলছে খোলা হাওয়ায় লম্বা শ্বাস নিলে প্রাকৃতীয়তায় বমি পাওয়া যায় না।
বমি রোধে আরো একটি উপকারী দ্রব্য হলো দারুচিনি। এই দারুচিনি হজমের উপযোগী। তাই বমি যদি বদহজমের কারণে হয়, তবে দারুচিনি চিবিয়ে নিতে পারেন। আর তাছাড়া দারুচিনি তো মিষ্টি হয়, খেতেও অসুবিধা নেই। উপরি পাওনা হলো এর সুমিষ্ট গন্ধ, যা ভীষণ উপযোগী।
- কোথাও যাত্রা কালে ডসপেরিডন জাতীয় ঔষধ নিশ্চয়ই সাথে নিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে গাড়ীতে ওঠার আধঘণ্টা আগে এই ঔষধ সেবন করতে পারেন। এতে বমিভাব হবে না।
- গাড়িব পিছনের দিকে বেশী বসবেন না। বেশী ঝাঁকুনি হলে বমি আসবে।
- মুখে পান সুপারি চিবোতে পারেন।
- চুইংগ্রাম চিবোতে পারেন।
- সম্ভব হলে জানালার কাছে সিট নিন। জানালাটা খুলে দিন। খোলা বাতাসে মন-প্রাণ থাকবে চনমনে।
- গাড়িতে আড়াআড়ি বা যেদিকে গাড়ি চলছে সেদিক পেছন দিয়ে বসবেন না।
- যাত্রা শুরুর একটু আগে একদম ভরপেট খাবেন না।
তবে আর বমির কারণে ভীতি কেন, আসুন ভীতি ছেড়ে এবার এই পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করি, আর সানন্দে স্বচ্ছ ভাবে যাত্রা করি।