Home বিনোদন ১৯তম বছরে পদার্পন করল মা সারদা ভক্তমন্ডলীর সরস্বতী পুজো

১৯তম বছরে পদার্পন করল মা সারদা ভক্তমন্ডলীর সরস্বতী পুজো

১৯তম বছরে পদার্পন করল মা সারদা ভক্তমন্ডলীর সরস্বতী পুজো
ছবি সৌজন্য অনুষ্টুপ ভট্টাচার্য

স্বরসতী পূজো মানেই বাঙালির কাছে এক অন‍্য ধরনের ‘মাদকতা’। বাতাসে প্রেম প্রেম গন্ধের আনাগোনাতে অনেকেই এই পূজোকে বাঙালির ‘ভ‍্যালেন্টাইনস ডে’র’ ও মর্যাদা দিয়েছেন। বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছে মা সারদা ভক্ত মন্ডলী।
পুজো মানেই নতুন থিমের স্পর্শ। দুর্গা পুজো,
কালি পুজোর পাশাপাশি থিমের মোড়কে সেজেছে সরস্বতী পুজোও। কলকাতার মানিকতলা বাজারে থিমের জাদু নিয়ে ১৯তম বছরে পদার্পন করল মা সারদা ভক্ত মন্ডলীর সরস্বতী পুজো।

ছবি সৌজন্য অনুষ্টুপ ভট্টাচার্য

পাঁচদিন ব্যাপী এই পুজোর থিম মেকার সোমনাথ দাসের অভাবনীয় চিন্তাভাবনায় ফুটে উঠেছে প্রাচীন এবং নতুন সভ্যতার মেলবন্ধন। মণ্ডপের প্রবেশদ্বারে সুখ এবং শান্তির প্রতীক হিসেবে রয়েছে ঘূর্ণীয়মান সূর্য চক্র। কাঠের সরু আস্তারণ দিয়ে তৈরি সুসজ্জিত
মণ্ডপে থাকছে প্রাচীন সভ্যতার হাতছানি। মণ্ডপের উপরিভাগে মনুষ্য মূর্তির অভ্যন্তর থেকে ফেংসুই উইন্ড চাইমের মধ্যে দিয়ে মেলে ধরা হয়েছে ভালো মন্দের মানদণ্ড যা এক কথায় অনবদ্য। পাশাপাশি নতুন সভ্যতার প্রতীক হিসাবে শিল্পীর ভাবনায় উঠে এসেছে বিজ্ঞান প্রযুক্তি। টিস্যু কাগজের কারুকার্যে প্রতিমার চালচিত্রে আলাদা মাত্রা যোগ হয়েছে। শুধুমাত্র মণ্ডপ সজ্জাতেই নয় প্রতিমাতেও রয়েছে চমক। বিশেষ আলোর সাহায্যে প্রায় আট ফুট দৈঘ্যের দেবীর ত্রিনয়ন থেকে
বিচ্ছুরিত হচ্ছে জ্ঞানের পুণ্য জ্যোতি।পুজোর পাশাপাশি থাকছে ভিন্নসাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,ভোগ বিতরণ, পুরস্কার এবং পুস্তক বিতরণ।

প্রেসিডেন্ট শ্রী প্রকাশ জসওয়াল জানান, “প্রতিবছর আমরা নতুনত্ব কিছু করার চেষ্টা করি। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য গরিব বাচ্চাদের সাহায্য করা। প্রতি বছর এটাই করে যাচ্ছি আর আগামী দিনে আমরা এ ধরনের কাজ আরো করতে চাই।”