উপার্জনের একমাত্র পথ ভিক্ষাবৃত্তিঃ তবু মন্দিরে দান ২.৫ লক্ষ টাকা……

0
উপার্জনের একমাত্র পথ ভিক্ষাবৃত্তিঃ তবু মন্দিরে দান ২.৫ লক্ষ টাকা……

ওয়েব ডেস্কঃ   ভিক্ষা শিক্ষা নয়, বরং প্রকৃত দানী মনটাই শিক্ষা। মন্দিরে ঈশ্বর আছেন, তবু কোথাও গীতার কথা সত্য সার । ঈশ্বর মানুষের মধ্যে অবস্থান করেন আর প্রতিক্ষণ প্রতীক্ষা সেই শিষ্যের টানে। কারণ শিষ্যের যেমন ” গুরু কৃপাহি কেবলম “, গুরুর কাছে শিষ্যের ভক্তি আর বিশ্বাস। তাই হয়ত বারে বারে সেই ফিরে ফিরে যাওয়া – আর খুঁজতেই পাওয়া নিরন্ন মানুষের আদলে সীতালক্ষ্মী দেবী। প্রশ্ন আসবে সে কে? এমন নাম তো আগে শুনি নি, তবে আসুন পরিচিতি হোক কলমে।

Image result for beggar donates 2.5 lakh rupee

চিত্রঃ  সীতালক্ষ্মী দেবী

পরিচয়? মাইসুরুর ইয়াদাভাগরিতে ভাই আর সেভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে থাকেন সীতালক্ষ্মী দেবী। হতে পারেন নিরন্নের প্রতিনিধি, তবু গলগ্রহ হবেন কেন? তাই তো আগে খেটে খেতেন। কিন্তু শরীর কি সাথ দিয়েছে কখনও? না, বারে বারে শরীর বয়সের ভারে নুব্জ হয়েছে আর কর্মক্ষমতা হারিয়েছে সে। আর ভন্টিকোপ্পালে প্রসন্ন অঞ্জনেয় স্বামীর মন্দিরকেই উপায়ের অন্তিম জায়গা করে নিয়েছেন। আর হাত পেতে ভিক্ষা করেছেন ঠিকই তবে তাকে সেই প্রভুর দ্বারে সেবায় দিয়েছেন। হনুমান জয়ন্তীতে ২.৫ লক্ষ, গণেশ উৎসবে ৩০,০০০ টাকা দান করেছেন, আবার ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যানকে ব্যাঙ্কে গিয়ে ২ লাখ টাকা দান করেছেন।

প্রশ্ন আসছে কেন? নিজের উপার্জনের মূল্য ওদের কেন? উওর আসে, ঈশ্বরই সব তাঁর কাছে। কি আর আছে তাঁর? শুধুই এই বয়সে একটু আদর আর যত্ন চায় মানুষ। তাঁর মতে সে কাজ করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাঁর দেখাশুনা করে মন্দিরের কর্মী রাজশ্বরী। তিনি কারোর কাছে কিছু চান না, সবটাই তাঁকে ভক্তরা দেন। তাই প্রতিবেশী, বিধায়াক তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। হয়ত এই জন্য বলা হয়, ” জন্ম হোক যত্র তত্র, কর্ম হোক ভালো। “

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here