ঘূর্ণিঝড় এবং আগত বর্ষা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বৈঠক হয় বৃহস্পতিবার। এর পরই বর্ষা, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য জরুরি ব্যবস্থা নিতে নবান্ন থেকে নির্দেশ পৌঁছায় জেলাশাসকদের উদ্দেশে।
কী বলা হল নির্দেশে…
১. পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়, সে কথা মাথায় রেখে ছুটি বাতিল করা হবে।
২. ২১ জুন থেকে শুরু করে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময়কালে জেলা, মহকুমা, ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম কার্যকর রাখতে হবে।
৩. সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগকে নিয়ে অবিলম্বে বৈঠকে বসতে হবে।
৪. মোবাইল সংযোগ ঠিক রাখার জন্য টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গেও বৈঠক করতে হবে।
৫. বন্যা, ঘূর্ণঝড় ত্রাণ শিবির, স্কুল, কলেজগুলিকে কোভিডবিধি মেনে প্রস্তুত রাখতে হবে।
৬. বন্যাপ্রবণ এলাকার জনসংখ্যার তথ্য কম্পিউটারাইজড হয়েছে, তা আপডেট করতে হবে।
৭. উপকূলীয় এলাকায়, বিশেষত উপকূলীয় ব্লকগুলিতে ২৪x৭ কন্ট্রোল রুম চালু করে মানুষকে সতর্ক করতে হবে। মাছ ধরতে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ জারি করতে হবে।
৮. অ-সামরিক সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কুইক রেসপন্স টিমকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
৯. জরুরিকালীন পরিস্থিতি তদারকির জন্য জেলায় বাধ্যতামূলক ভাবে ড্রোন নজরদারি ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে।
১০. সেচ বাঁধগুলির পরীক্ষা এবং মেরামত করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে।
১১. উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের জন্য মাস্ক, পিপিই কিট মজুত রাখতে হবে।
১২. রাস্তায় গাছ, বৈদ্যুতিন খুঁটি ভেঙে পড়লে তা সরানোর জন্য কর্মী তৈরি রাখতে হবে।
১৩. অস্বাভাবিক উচ্চ জোয়ার বরোকোটাল জুনের দ্বিতীয়ার্ধে এবং ষাঁড়াষাঁড়ি বান আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে আসতে পারে। ওই সময় পরিস্থিতি মোকাবিলার বন্দোবস্ত রাখতে হবে।
১৪. প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হওয়া মানুষের জন্য হাসপাতালের বেড এবং হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহ/জেনারেটর নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে গাছ ছাঁটাই এবং নিকাশির কাজ করবেন।
১৬. সমস্ত ব্যবস্থাপনাই কোভিডবিধি মেনে করতে হবে।