নবমীর ভোর , মাতৃ আরাধনা আজ
আজ নবমী। অষ্টমীতে মায়ের চক্ষুদানের সাথে সাথে নবমীর সুর আজ। মা এখানে এক অনন্য স্বরূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তবে এবার মাকে নৈবেদ্যতে সাজিয়ে অর্চনার শেষ সুযোগ। তাই তো
সন্ধিপূজাতে আমরা ১০৮ টি পদ্ম ও ১০৮ টি মাটির প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের সাথে মায়ের শ্রীপাদপদ্মে গোটা ফল, জবা, মিষ্টান্নতে মায়ের নৈবেদ্য। শাঁখা, সিঁদুরে মা মাতৃস্বরূপা আজ।
কিন্ত এ প্রথার পুরা অতীত কি বলে? অতীতে কি ভাবে এই পূজার সতর্কতা ছিল?
মা যখন এই পূজায় আপন রূপ ধারণ করে । আর সেটা হবে নাই বা কেন? মা যে এখানে অশুভের দাস থেকে সরে গিয়ে অশুভের পতন করেন। তাই এই পূজা হলো শ্রেষ্ঠ। তৎকালীন কালে মায়ের এই পূজার জন্য জমিদার বাড়িতে কামান দাগার তোপ দিয়ে সতর্ক করা হত। এই ক্ষণের মায়ের আগমন নিয়ে অনেক অতীত সার্থক ভক্তের কথা নিয়ে গল্প আছে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এই চরাচর শুদ্ধতায় মায়ের কাছে আকুতি ভক্তকুলে দুষ্টের দমন করো মা, সৃষ্টের পালনের ধারায় এসো মা ব্রহ্মময়ী।
অষ্টমীতে বৃষ্টি যখন বুকে তীর আর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, তখন নবমীর তিথিতে আসুন আরাধনার আর মায়ের উল্লাসে মাতি আমরা। নতুন করে পুজার রীতি মেলে উল্লাস সমারোহে। সমাজের অশুভ দূর হোক, শুভশক্তির জয় হোক। বিন্যাস হোক অসাম্য ভাব, স্থিতি পাক সাম্যের সমাজ।