Home আপডেট Potato price: এ বছর মিলছে না আলুর দাম, চাষের খরচ ওঠা নিয়ে চিন্তায় আলুচাষিরা

Potato price: এ বছর মিলছে না আলুর দাম, চাষের খরচ ওঠা নিয়ে চিন্তায় আলুচাষিরা

Potato price: এ বছর মিলছে না আলুর দাম, চাষের খরচ ওঠা নিয়ে চিন্তায় আলুচাষিরা

এ বছর মাঠ থেকে আলু তোলা শুরু হয়েছে, কিন্তু দাম পাচ্ছেন না আলুচাষিরা। ৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে আলু। ফলে বাজারদর কম থাকায় চাষের খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে আলুচাষিরা সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন। এই অবস্থায় চিন্তার মধ্যে রয়েছেন আলু চাষিরা। বীরভূমের খয়রাশলের বিভিন্ন গ্রামের আলুচাষিরা বাজার দর না থাকায় আক্ষেপ করছেন। তার ওপর দাম না মেলায় তাঁরা খুবই চিন্তিত। আলুচাষীদের বক্তব্য, তিন বিঘা জমিতে যেখানে আলু চাষ করতে খরচ হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সেখানে এ বছর আলুর দাম ৫০ হাজার টাকা উঠবে কিনা তা নিয়ে তাঁরা সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন। এ বছর ৫০ কেজি আলুর বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন আলুচাষিরা।

এক আলুচাষির বক্তব্য, তিনি ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। আলুর বীজ, অনুখাদ্য, সার, শ্রমিক-সহ চাষে ১ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আলুর যা দাম চলছে তাতে লাভ তো দূরের কথা খরচ করে উঠবে না বলেই তিনি মনে করছেন। ওই চাষি আবার বাজার না থাকায় আলু বাড়িতে রেখে দিয়েছেন। কিন্তু, এইভাবে আলু কত দিন রাখা যাবে তা নিয়েও তিনি চিন্তিত রয়েছেন। তাঁর মতো অনেক আলুচাষিরাই এনিয়ে উদ্বিগ্ন।

সাধারণত অজয় নদের কাছে খয়রাশোলের মুক্তিনগর, পারুলবোনা, চাপলা, রতনপুর, দুবরাজপুর, পলাশডাঙ্গায় বেশ ভালোই আলু চাষ হয়। খয়রাশোল ব্লক কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় প্রতিবছর ৩৮৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়ে থাকে। এই আলুর মধ্যে রয়েছে পোখরাজ এবং জ্যোতি আলু। কিন্তু, এখন আলুর বাজার দর ৪ টাকা কেজি হওয়ায় অনেকে আবার আলু তোলার কাজে হাতই দেননি।

চাষিরা জানাচ্ছেন, গত বছর ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম ছিল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। তার ওপর সরকার কুইন্টাল প্রতি ৬৫০ টাকা দিয়েছে। কিন্তু, এবার চাষিদের বক্তব্য, কুইন্টাল প্রতি ৮০০ টাকা ক্ষতিপূরণ না দিলে তারা সমস্যার মুখে পড়বেন। এর পাশাপাশি খয়রাশোল এলাকায় কোনও হিমঘর নেই। ফলে ৫০ কিলোমিটার দূরে মহম্মদবাজার বা সাঁইথিয়াতে আলু হিমঘরে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক খরচ বহন করতে হতে পারে। ফলে তারও কোনও উপায় নেই। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। এবছর শীতে বৃষ্টি না হওয়ায় আলুতে কোনও রোগ বা পোকার সংক্রমণ হয়নি। অনেকে শংসিত বীজ ব্যবহার করার ফলে ভালো ফলন পেয়েছেন। কিন্তু, দাম না মেলায় সমস্যার সুরহা হচ্ছে না।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here