Home অফ-বিট পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর নদী, ‘রামধনু নদী’ দেখুন আমাদের পাতায়~

পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর নদী, ‘রামধনু নদী’ দেখুন আমাদের পাতায়~

পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর নদী, ‘রামধনু নদী’ দেখুন আমাদের পাতায়~

‘রামধনু নদী’ না দেখলে জীবন অপূর্ণ 

সুদূর কলোম্বিয়ার সেরানিয়া ডে লা মার্কারেনা রাজ্যের মেটার শরীর বেয়ে বয়ে চলেছে ‘কানো ক্রিস্টালেস’ Caño Cristales  বা ক্রিস্টাল চ্যানেল। এটি এমন একটি নদী যা স্বপ্নে আসে রাজকন্যার সাথে। এক রাজপুত্র হেঁটে চলে সেই নদীর উপর দিয়ে। প্রতি পদক্ষেপে নতুন নতুন রঙ উদ্ভাসিত হয়। কিন্তু সত্যিতে বাস্তব। কল্পনার নদী বাস্তবেই এই ধরিত্রীতে। এই নদীকে পাঁচ রঙের নদী বলা হয়। অবাক করল তরল রামধনু নিজের চোখের সামনে দেখতে পাবেন। এবার পুজোতে বিদেশ যেতে হলে ঘুরে আসুন কলম্বিয়ায়। এই কানো ক্রিস্টালেস নদীতে জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত থাকে সবুজ, হলুদ, কালো, লাল ও নীল রঙ। এ হল শ্বাসরুদ্ধকর নদী, ‘রেইনবো রিভার’ এ সেল্ফি না তুললে তো জীবনই বৃথা। কোর্য়াজাইট পাথর দিয়ে এই স্থানটি সৃষ্টি হয়েছিল বারো কোটি বছর পূর্বে।

Image result for Caño Cristales

এই স্থানে যে সকল পর্যটকরা এ নদী স্বচক্ষে দেখেছেন তাদের কাছে, এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নদী। এর চেয়ে অদ্ভুত আর বিস্ময়কর নদী আর নেই।

রহস্যময় জাদুর এই নদী বয়ে চলেছে গুইয়ানা শিল্ড রক ফরমেশনের মধ্য দিয়ে। একে পৃথিবী গ্রহের সবচেয়ে প্রাচীন ভূতাত্ত্বিক গঠন বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। আন্দিজের আগেই এটা গঠিত হয়। এটা ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল আর কলোম্বিয়ার গা ছুঁয়েছে চলে গেছে। এই অঞ্চলের নিরক্ষীয় বনাঞ্চল পৃথিবীর ১৫ শতাংশ স্বাদু জল ধারণ করেছে। আর এ জলের ১৫ শতাংশই কানো ক্রিস্টালেসের প্রবাহিত হচ্ছে।

Image result for Caño Cristales

হয়তো আগেও নদীটির কথা শুনেছেন। যারা দেখেছেন তাদের মতে, মৃত্যুর আগে একবার হলেও এই নদীটা না দেখলে জীবনের স্বার্থকতা নেই। নদীর অদ্ভুত রং আপনার মন কেড়ে নেবে। জুলাইয়ে কলোম্বিয়ার বর্ষাকাল শেষ হলে নদীর জলের স্তর নেমে যায়। তখন জলজ উদ্ভিদ মাকারেনিয়া ক্লাভিগেরা ফোটে। এই উদ্ভিদ দ্রুত বয়ে চলা নদীর জলে পাথরকে আকড়ে ধরে। আসলে প্রকৃতির ভালবাসা যেখানে সর্বশক্তিমান দিয়েছে সেখানে প্রাণ ভরেই দিয়েছেন। এদের বিভিন্ন বর্ণের কারণেই নদীর চেহারাও এমন হয়ে যায়।

Image result for Caño Cristales

এই নদীটি সিয়েরা ডি লা মাকারেনা ন্যাশনাল ন্যাচারাল পার্কের একটি অংশ। এটা গঠিত হয় ১৯৭১ সালে। তবে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নদীর আশপাশে ২০ জনের বেশি মানুষকে ঐ স্থানে একসাথে যেতে দেওয়া হয় না। আসলে নদীর পরিবেশ ও প্রকৃতি বাঁচানোর জন্যই এমনটা করা হয়। এখানে রয়েছে চারশোরও বেশি প্রজাতির পাখি, দশটি প্রজাতির উভয়চড়, তেতাল্লিশ প্রজাতির সরীসৃপ প্রভৃতি।

আপনাকে স্থানটিতে পৌঁছাতে হলে প্রথমে লা মার্কারেনা, মেটা-এর মেটা বিভাগে পৌঁছাতে হবে। দিল্লি থেকে লন্ডন ও লন্ডন থেকে মার্কারেনা যেতেই পারেন। অথবা ব্রাজিল হয়েও এই স্থানটিতে আসতে পারেন বিমানে। সেখান থেকে ভিলাভিসেসিও থেকে ডিসি-৩ কার্গো ধরতে পারেন অথবা বোগোটা থেকে প্রতি সোম, বৃহস্পতি ও শনিবার সরাসরি বিমান এই স্থানটির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

Related image

এই ভার্জিন স্থানটিতে যাওয়ার আর কোনও রাস্তা তেমন নেই। এবং খুব কম সংখ্যক পর্যটককে প্রতিদিন যেতে দেওয়া হয়। তাহলে নিশ্চয়ই খবর ২৪-এর পাঠকেরা বুঝতেই পারছেন, পুজোর ছুটিতে জিএসটি-র দৌলতে বেড়ে যাওয়া জামাকাপড় না কিনে আমরা এ বছর যেতেই পারি – রামধনু নদীর খোঁজে। এ এক অনন্য রহস্য, জীবনদেবতার অপরূপ এক সৃষ্টি…

 

https://www.youtube.com/watch?v=xQrqil2BRqw

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here