জল সই শৈলেন রায় মরা মাজা ডোবাটার মাঝখানে কাঠির উপর বসে পানকৌরি দার্শনিক চোখে একমনে ঘোলা জলের অভ্যন্তর দেখে। জীবনের প্রতিকৃতি স্রোতের মতন কল কল রবে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়, প্রতিটি ঢেউ আনন্দ বেদনার মৃদু ওঠাপড়া। সুযোগ সন্ধানী বাতাস দুর্গন্ধ ডেকে আনে আলো ছায়া হাতে হাত রেখে সব বাঁধা ছুঁড়ে ফেলে ডানা ঝাপটায়। কানা কড়িতেও বিকোবে না ছবি গ্রহীতার মনে প্রকৃতির রং যদি নাড়া না দেয়। লেখনি ক্লান্ত হলে রুধিরাশ্রু ঝড়ে পড়ে খাতার পাতায়। শুধু বেঁচে থাকার প্রমাণটা দিতে ঘাম রক্ত পরীক্ষাগারে পাঠানোর কি একান্ত প্রয়োজন? পদে পদে পরীক্ষা দিতে দিতে জীবনটাই তো বিশাল এক পরীক্ষাগার। নিস্তরঙ্গ কোনো কিছু কখনও চলে না বিপদের পুর্বাভাস ভাবনা অতীত অতীত তো জীবনের স্মৃতি হয়ে বাঁচে। বাঁচার তাগিদে পানকৌরি ডুব দেয় কচুরিপানার অভ্যন্তরে মজাপুকুর দেমাকী গর্ভিনী নারীর মতন ঐ কাদাজল ছুঁয়ে কাঠিতে বসল এসে দুইটি ফড়িং।।