অমৃতের সন্ধানে চলেছি।
ভোর থেকে রাত,দিন থেকে মাস
মাস থেকে….
রোদ ,বৃষ্টি,ঘাম,রক্ত সবটুকু ঢেলে
খুঁজেই চলেছি তাকে-
সেই কৈশোর থেকে।
আজ দেখি সময়েরা
ডিগবাজী দিতে দিতে
এখন খুঁড়িয়ে চলে।
দিনগুলো ছলকে যায় না আর
আগের মতন।
আতস কাঁচের নীচে
চারিদিক খুঁটিয়ে দেখি
হিসেবের ভুলগুলি গুটি গুটি পায়ে
এগিয়ে এসেছে কাছে, ঘরের ভেতর।
ঈশ্বর কে যা বলা যায়
আত্মজন বোঝে না সে ভাষা।
তাই তো করেছি পণ –
যদি পাই এতটুকু
সবটুকু দিয়ে দেব,নেব না কিছুই।
পেলে অমৃতকুম্ভ ,দেবো অমৃতের
শেষ বিন্দুটুকু।
কুমোর পাড়ায় হাড়ি-কলসীর এখন আকাল!
ওরা আজ অমৃতের আশে
কাজ খোঁজে ঝি আর দিন মজুরির
দিনান্তে একমুঠো মেলে কি না মেলে…
ওদের সাথি হতে বড় সাধ জাগে আজ।
অমৃতের পুত্র আমি
সমস্ত জীবন কোন্ অমৃতের করেছি সন্ধান!
পরশ পাথর,নাকি মরিচীকা?
অস্তিত্ব নেই যার,যা ছিল না কখনও
মিছে তার করেছি সন্ধান…
তবু পুত্র আমি ….অমৃতের!